মূল কবিতা : একটি বিল্ ও গাঁ’র বৃত্তান্ত  
(বাকি অংশ পরে দেব পর পর)
আনন্দ গাথা  (১ম অংশ)
*১৮ অক্ষর যুক্ত*
*******************
ছোটো গাঁওটির কয়টি কথা শুনবে এসো ভাই,
সুখ-দুঃখ ছিল সদাই এই কথা বলে যাই ৷
একদিকে তে ছিল গাঁয়ের বিরাট একটা বিল্,
তাঁরে নিয়েই সুখ,দুঃখে জাগিতো গাঁয়ের দিল্ ৷


জল থাকিতো সারা বছর তাঁহার বুকটি ভ’রে,
মিন সন্তান খেলিতো আবার তাঁর বুকের ‘পরে ৷
ধীবরেরা প্রভাতে প্রত্যুষে তাদের জালক দিয়ে,
সারা সকাল মৎস ধ’রে বাজারে যেতো নিয়ে ৷
বিক্রয় কইরে তাই তাহারা আসিতো  ফিরে বাড়ি
হেসে খেলে যেতো দিন আর উনানে চড়িতো হাড়ি ৷
চাষি’র সুখ-দুখের ভার আছিল বিলের হাতে,
বুক হইতে জল নিয়ে তারা সেচ্ দিতো জমিতে ৷
সোনার শস্য ফলতো রে ভাই তাদের হাত দিয়ে,
থাকিতো সবাই মিলেমিশে অনেক আনন্দ নিয়ে ৷
পৌষের পিঠা নিয়ে সবাই আসিতো এ বিল্ পাড়ে,
পূজা দিতো মন ভ’রে সব তাদের এই মাতা রে ৷
মাগিতো সবাই মাতার দ্বারে জোড়হাতটি করি,
পরের বার পানি যেন থাকে তোমা’ বুকটি ভরি ৷
বিলের চড়ায় আসিতো বক শালিক ঝাঁকে ঝাঁকে,
আরো কত পাখি সব খেলিতো বিলের বাঁকে বাঁকে ৷
হংস চঞ্চু চরিতো এথায় হারাইতো আনন্দে,
বাজপাখি উড়িতো হেথা শিকার পাওয়ার গন্ধে ৷
পড়ুয়ারা নিত্য এথায় আসিতো সকালে বিকালে,
তৃপ্ত মনে ফিরিতো তারা তাদের নিজ শালে শালে ৷
গাঁওটি ছিল ধর আর বিল্ ছিল তাঁহার প্রাণ,
পুলকে কণ্ঠে সবার উঠিতো বেজে আনন্দ গান ৷
পাখিদের কূজন আর রাখালের বাঁশের বাঁশি,
গ্রামখানি উঠিতো মেতে তুলে সবার মুখে হাসি ৷
                     *******
                       ****
                         **