রাজ-পাট ত্যাগ করে অযোধ্যা নন্দন।
বনবাসে রাম-সীতা, অনুজ লক্ষ্মন।।
রাজসুখ, রাজধর্ম সবই দিলেন ত্যাজি।
পিতৃবাক্য রক্ষার্থে বনবাসে আজি।।
সোনার মুকুট আর পশম চাদর।
সব ত্যাজি চড়ালেন মুনির কাপড়।।
এক হাতে কমন্ডুল, অন্য হস্তে ছড়ি।
কাঁধেতে গান্ঢীব আর পীঠে বানের ঝুড়ি।।
পতিধর্ম নিমিত্ত জানকী কানন।
হাসিমুখে ত্যাজিলেন সব আভুষন।।
চুড় আর চুড়ামণি খুলিলেন ফলা।
শূন্য হস্তে শোভিত রুদ্রজপ মালা।।
হাসিমুখে রাজপুত্র রাজরথ ছাড়ি।
চলিলেন পদব্রজে রাজপথ ধরি।।
সঙ্গে চলে মাতা সীতা, কনিঠ লক্ষ্মন।
অন্তপুর কাঁদে আর মুর্ছিত রাজন।।
প্রজাদের প্রিয় রাজা বনবাসে যায়।
করজোরে প্রজারা প্রভু প্রতি চায়।।
একি দিন এল প্রভু অযোধ্যাতে আজি।
চলিলেন রামচন্দ্র রাজ্যপট ত্যাজি।।
কৈকেয়ী কাঁদে তবু হাসে মন্থরা।
বিধির বিধান লেখা খন্ডাবে কারা।।
এইস্থলে শুরু হয় রামায়ন বানী।
বাল্মিকী রচিত অপুর্ব কাহিনী।।