ভিড়ের মাঝে দাঁড়িয়ে, আমি একা;
নতুনত্বের হাতছানি চারিদিকে,
তবুও জীর্ণ স্মৃতিগুলোকে যাচ্ছেনা রোখা।
এগিয়ে তো এলাম অনেক,
তবুও কেন স্মৃতিগুলো অশ্রু ঝড়ায়?
সেই বর্ষার কচু পাতার ছাতি,
আজকের দামী রেইনকোটকে হার মানায়।
বটের তলে ভাঁড়ের সস্তা চা,
কফি হাউজের দামি কেপাচিনোকে ফিকে করে দেয়।
একাকীত্বের স্মৃতিচারণে দোলা দেয় অনেক কিছু,
কোনো এক খামখেয়ালী সাঁঝে
দীঘির পাড়ে আড্ডা;
পূর্ণিমার বসন্তে বেলি ফুলের সুবাস;
প্রাইভেট টিউশনের দৌড় আর অসমাপ্ত সিলেবাস;
অপরিণত ভাললাগা, ভালবাসার মিষ্টি অনুভূতি;
স্বাধীনচেতা, বিপ্লবী মনের প্রথম বিপ্লব;
সবই যেন হাসছে আজ। করছে বিদ্রুপ।
কেন বড় হলাম! কেন এগিয়ে এলাম।
চলতে চলতে স্কুলের সামনে থমকে দাড়াই;
স্কুলের সেই টেবিলটা কি মনে রেখেছে আমায়!
সেই ক্যান্টিনের চেয়ার?
এরাও কি আমায় গেছে ভুলে;
যেমনটা করছি চেষ্টা আমিও।
দীঘির জলে আলসে করে ঢিল ছোঁড়া কি চলছে এখনো?
নাকি গেছে থেমে!
অনেকদিন পর আজ হঠাৎ,
পুরানো বন্ধুর ডাক,
‘ভাল আছিস?’
স্মৃতিগুলো এলোমেলো,
হাতরে চলেছে নাম;
কে সে? সেকি আমার সেই একসাথে বসা বন্ধু।
সেকি ঐ ছেলেটা, যার সঙ্গে করেছিলাম আড়ি;
নাকি আমার প্রথম প্রেম ছিনিয়ে নেওয়া,
ঘৃণ্য অচ্ছুত লোকটা!
খুঁজে পায়না মন। হেসে বলি,
‘খুব ভাল’।
অন্তরে আলোড়িত অনুভূতি ডেকে উঠে,
‘ঠিক কি তাই? সত্যি কি আছিস ভাল?’