এক মৃত কবি
উঠে আসে মাঝরাতে
শব্দভুক পাঠকের কাছে
দু হাতের আস্তিন গুটিয়ে
সু-শ্রাব্য শব্দের থালা হাতে গুটি পায়ে
সে এসেছিল একদিন আমার ঘরেও ।


তবু খুৎ পিপাসা মেটে না আমার
ঢক ঢক গিলি তার আবৃত্তি যত
প্যঁচার পাঁচালি থামে নারকেল গাছে
বুনো বেলীর গন্ধে যে বাতাস মাতাল
তারই তোড়ে নিভে যায় জোৎস্না তখন।


প্রেয়সীর চোখ ব্যকুল বিবাগী শুণ্যতায়
ঘরময় অস্থির আলোর লেহন ভ্রুযুগলে
সেমেটিক কোন নীরব প্রাচীন ভাষাই
মুখ থুবরে পড়ে যখন ঠোটে
অস্পর্শার কাছে।


মৃত কবিও খুজে পায়না কোন শব্দ আর
মূক আর মূঢ় হয়ে ভ্যাবাচ্যাকা খায়
অতঃপর যে প্রসব বেদনা শব্দের তা না বাড়িয়ে ফিরে যায় কবি তার গোটানো আস্তিন খুলতে খুলতে গাঢ় অন্ধকারে
মিলিয়ে যায়।


আমরা চাই তখন
ঘুম এসে দু হাত বাড়াক
আমরা দুজন পাশ ফিরে শুই
মাঝখানে রেখে এক রাতের ফারাক।