প্রথম ক্রন্দন সেই জীবনের শুরু
আমি কাঁদলে সবাই হাসে
কি চমৎকার এক নিপুন নির্দয় নিখিল ধরিত্রী! পিতৃ পরিচয়হীন কিশোরকে পথের ধুলোও মারে লাথি! তবু ধুলোকেই সাথী ভাবে বাপ মরা শকুন; এঁটো ভাত বাসি ডাল সুস্বাদু ঠেকে;গ্যারেজের গ্রীজ পোঁড়া মবিল লোশনের মত আদরে মাখে;ক্লান্ত পেটে তবু অশান্ত ক্ষুধা;এই ক্ষুধা নামক প্রেমিকার প্রেমেই বাঁচে;
ক্ষুধা আছে বলেই জোৎস্না খাই
চোখের জল শুষে খাই;রক্ত ঘামে
চটকে খাই শুকনা রুটি;
খসখসে হাতের তালুতে কিশোরীর সাদা হাত নরম ঠেকে;কচি বয়সেই
শিখে দেই প্রেমের পর আর কি করতে হয় ।তল পেটে কলম চালাই
আমার ইচ্ছে মতো কবিতা লিখি;
যতক্ষন কালি থাকে উত্তাল মাতাল শরীরে;
বিনিময়ে একগাল হেসে চকচকে নোট টেনে নিয়ে চলে যায় ত্রিপল ছাউনির কবরের নিচে।এভাবে প্রতিদিন লাশ হয় শব হয় ।সব হয় না তবু  কিছু সখ ছুড়ে ফেলে অদ্ভুত রাস্তায় শুয়ে থাকে আর শুকরের মতন মন যোগায় লালসার লোলুপ ঠোটে । আবার হাসবে ফুল বেঁচা মালা বেঁচা এই কিশোরী;আবার কাঁদবে গ্যারেজে কাম করা এই এতিম কিশোর।
কেঁদে কেঁদে আসা যাওয়ার বিলাসী
এই পৃথিবীতে!