তোমার মনের দক্ষিণের দেয়ালে, কিছু কথা লিখেছিলাম।
আজও কি অমনি লেখা আছে?
নাকি মুছে ফেলেছো খুব যত্ন করে?


তোমার শাড়ীর আঁচলে, কিছু স্বপ্ন বেঁধে রেখেছিলাম।
তুমি কি খুলে দেখেছিলে?
নাকি আজও গিঁট দেয়া শাড়ীই পড়া হয়?


তোমার হাতের মেহেদিতে,  আগে যেভাবে আমার নাম লিখতে।
আজও কি তেমনি করেই মেহেদি পরো?
নাকি আমার নামের মেহেদি  হাতে ভাল দেখায় না?


তোমার চুল গুলো যখন খোপা করতে, আর আমি সেই খোপায় একটা দোলন চাপা গুঁজে দিতাম।
আজও কি কেউ তোমার খোপায় ফুল গুঁজে দেয়?
আজও কি দোলন চাপা বিষন পছন্দ তোমার?


পহেলা বৈশাখে যে কাঁচের চুড়ি কিনতে চাইতে, আর হাত ভরে চুড়ি পরিয়ে দিতাম। মনে হতো আকাশের রঙধনুটা যেন তোমার হাতে নেমে এসেছে।
আচ্ছা আজও কি চুড়ি পড়া হয়?
নাকি কাঁচের চুড়ি এখন বড্ড সস্তা আর বেখেয়ালিপনা ছাড়া কিছুই নয় মনে হয়?


যখন গাঢ় করে চোখে কাজল পরতে, আর আমি যখন তোমাকে রাগাতাম আর তুমি কান্না করে সেই কাজল লেপটে একাকার করে ফেলতে। আর আমার বসে বসে সেই কাজল ঠিক করতে হতো।
আজও কি কেউ কাজল ঠিক করে দেয়?
নাকি এখন আর কাজল পরা হয় না?


আগে যখন তুমি আর আমি বৃষ্টিতে ভিজতাম, তুমি জড়োসড়ো হয়ে আমার হাতটা ধরে রাখতে।
আর বিদ্যুৎ চম্‌কালে খুব ভয় পেতে। আর আমাকে জোরে চেপে ধরতে।
আজও কি তেমনি বিদ্যুৎ চম্‌কালে ভয় পাও?
আজও কি কাউকে চেপে ধরো?


জানো আজও তেমনি বৃষ্টিতে ভিজতে বের হই, তবে একা।
আমার পাশে কেউ আর থাকে না,  থাকে একরাশ বিষন্নতা আর নি রব চোখের জল যা বৃষ্টির জলের সাথে গড়িয়ে পড়ে।
আর আড়াল করে পৃথিবীর কাছ থেকে ঘিরব চোখের জল। তবে খুব জানতে ইচ্ছে করে আজও কি তুমি একা।