মাধবীলতা! কোথায় ছিলে তুমি?
কতোদিন দেখিনি তোমায়
জানো, তোমায় খুব মনে পড়তো;
সেই যে যখন থাকতাম তোমার পাশে।
মনেপরে, বসন্তে তুমি যখন বাসন্তি রাঙা শাড়ি পড়ে হাটতে সারা বিকেল, আমার হাতটি ধরে।
বলতে দেখো দেখো কৃষ্ণচূড়া গাছটি পুরো লাল হয়ে ফুটেছে ফুল।
তুমি বলতে হয়তো তারই জন্য কোকিল গুলো এতো ডাকাডাকি করে।
আমি বলতাম, ঐ কৃষ্ণচূড়া লাল হয়েছে  তোমার হাতটি দেখেছে বলে।
মাধবীলতা, মনে আছে তোমার?
তুমি খুব মেহেদি পড়তে ভালবাসতে।
আমি তোমায় বলতাম দেখো তোমার হাতটা না দেখতে, গোধুলী বেলার সূর্যের মতো লাল হয়েছে।
তুমি তখন সে দু'হাতে মুখ লুকোতে।
মাধবীলতা, আজও কি তুমি দেখো
আগের মতো, সকালের শিশির ভেজা ভোর।
নাকি এখন আর সূর্যাস্ত দেখো না,
আগে যেমন দেখতে কাঁধে মাথা রেখে।
হয়তো এখন আর কাঁচা ধানের ঘ্রাণ নিতে ইচ্ছে করে না, আগে যা ছিল তোমার প্রিয়।
জানো মাধবীলতা! আমরা যখন পহেলা বৈশাখে ঘুরে বেড়াতাম, মনে পড়ে তোমার? হয়তো ভুলেই গেছো!
মেলায় যেতাম, রঙিন হাতপাখা পছন্দ করতে।


কতো দোকানই না ঘুড়তে হতো, মনে আছে?
শেষবার যখন খুজে পেলাম না।
কি রাগটাই না করলে।
শেষমেষ যখন না পেয়ে ঘেমে অস্থির। তখন একটা মুচকি হাসি দিয়ে বললে থাক আর লাগবে না, তুমি শান্ত হও।
এই বলে শাড়ীর আঁচলে মুখটি মুছে দিলে।
মাধবীলতা, তুমি কি ভুলে গেছো?
একদিন যদি তোমার সাথে দেখা না করতাম, তুমি না খেয়ে রাতভর কান্না করতে।
এখন বুঝি আর দেখতে ইচ্ছে করে না তাই না, মাধবীলতা?
গোলাপ তোমার খুবই পছন্দের ছিলো,
তাইতো সেদিন না দিতে পারা ফুলটা আজও আমার  পাঞ্জাবীর পকেটে ওমনি রাখা আছে।
মাধবীলতা, সবই ভুলে গেছো তাই না!
তাইতো ভুলে গেছো হারানো স্মৃতির পাতা।
যেখানে লিখা ছিল তোমার আমার অনেকটা সময়।
মাধবীলতা, আজও যে তোমায় ভালবাসি সেই কথাটাও যে বুঝতে পারলে না,
তবুও ভাল থেকো,
"মাধবীলতা"