(১)
পরাধীনের মতন যাব না কখনও
পিছিয়ে পিছাবনী!
স্বপ্নে যখন জেগে উঠবে
সামনে অমরবাণী!
আকাশে যখন আকাশবাণী
রাত্রি প্রদীপ আমি!
পুরনো যদিও ধ্বংস হয়
নতুন নতুন আসছি আমি!
কল্পনা আমার আকাশছোঁয়া
অসময়ে ডাকে কোকিল!
স্বপ্ন আমার সৃষ্টি ধোঁয়া
সকল মনের মিল!
চলার পথে কুয়াশা এলে
শতাব্দী গানে টুনটুনি!
স্বপ্ন যদি সত্যি না হয়
তবু আমি জিদ পিছাবনী!
ঈগল যখন পরাজয়
তখন আমি চিল!
দুঃখের পথে বৃষ্টিধোঁয়া
নদী খাল বিল!
অন্যায়ের রথে বিস্ফরণ
নব নবজাগরণ!
আমি ক্ষুদ্রণু বালিকণা এ মন
পরমাণু গগন!
আমি সৃষ্টির জিদ লয়
সপ্ত,সুরসাগর!
আমি মহাকাশ শূর্ন্য সময়
প্রশ্ন তারার উত্তর!
শতাব্দী রাজধানী আমি
LOVE চিহ্নের নগর!
ফুলবনের ঘড়ি বুণি
তিন কাঁটার এক সফর!
আমি পৃথিবীর মেরুদণ্ড ঐ
ধ্রুবতারা গড়াই!
মানব সৃষ্টি জেটবিমান যত
ওঠানামা করাই!
আমি অম্যাবসার গভীর রাতে
সপ্ত প্রদীপ তারা!
মহাকালীর কৃষ্ণ কোকিল
আমি নবদ্বীপও গড়া!
আমি মাটির ঘরেও স্বর্ণ আলো
প্রদীপ আলাদ্দীণ!
দেবালয়ের ত্রিলোক আমি
সর্বধর্মের সূর্যজিন!
আবার আমি রাধাকৃষ্ণের
রাসপূর্ণিমা!
প্রেম সাগরে ঝিনুক মুক্তার
উজ্জ্বল মহিমা!
সপ্ত বাঁশির সপ্ত ধ্বনি
আমিই পিছাবনী!
সপ্ত শঁখের সপ্ত সাগর
ঢেউর প্রতিধ্বনি!
হিংসাহীন নিন্দাহীন
প্রেমমন্ত্র বুণি!
সবযুদ্ধের শান্তি কথা
রাধাশ্যাম বাণী!
স্বপ্ন যদি সত্যি না হয়
তবু আমি পিছাবনী!
প্রেমমন্ত্র ব্যর্থ হলে
ময়ূর সর্প গুঁনি!
রবী নজরুল সব ছবিঐ
আমিই পিছাবনী!
গান্ধী সুভাষ মমতা মোদী
শতাব্দী রাজধানী!
সকল মুখের মিষ্টি হাসি
আমিই প্রতিধ্বনি!
পরাধীনের মতন যাবও না কখনও
পিছিয়ে পিছাবনী!
(২)
আমি রজনী নতুন প্রভাত
আয়নার দৃষ্টি!
আমি গোধূলি ঐ সন্ধ্যা রাত
লক্ষ তারার সৃষ্টি!
তোমার আলো ব্যর্থ হলে
আমার চোখ মেলা!
আমি আয়না পিছাবনী বলে
সব আলোয় চলা!
চন্দ্র সূর্য গ্রহ তারা ফুল
আমারই প্রতিধ্বনি!
ব্যর্থ মনে যে কথা বলে
আমি সেই পিছাবনী!
রামধনু মন ময়ূর আকাশ
সকল ফুল হাসি!
জ্যোৎস্না রাতে সাগরিকা চাঁদ
বীণাপানী রাধা টুসি!
মিষ্টি কন্ঠে সপ্ত ময়ূর
আমি পিছাবনী!
সপ্ত পদ্ম ফুল সাগর
আমি আকাশবাণী!
ধরিত্রী মাটি বসুমতী
অনুরাধা আলো রশ্নি!
সীতা সাবিত্রী দুর্গা কালী
সন্ধ্যা আরতি বুণি!
ময়ূর ফুল গগন আমি
রাধাশ্যামই পিছাবনী!
তোমার মন ফুল আমি
রাধা,কৃষ্ণচূড়া ফুলবুণি!
ময়ূরতুলসির শ্রীবিষ্ণু আমি
সুদর্শন সূর্যচক্র রজনী!
সকল গগনে পিছাবনী আমি
শতাব্দী রাজধানী!
রাম ধাম শ্যাম রাধাশ্যামঐ
আজও আকাশবাণী!
যুগে যুগে নব প্রতিধ্বনি
আমি আসব পিছাবনী!
পরাধীনের মতন যাব না কখনও
পিছিয়ে পিছাবনী!
স্বপ্নে যখন জেগে উঠবে
সামনে অমরবাণী!
নতুন প্রভাত আজও আমিই
সেই গগন পিছাবনী!
রাধাচূড়া ও কৃষ্ণচূড়ার
ফুল বর্ষা বুণি!
জনে জনে সকল মনে
আমিই পিছাবনী!
নব সূর্য আমারই গগনে
করে আকাশবাণী!
আজি মহামানবের মন গগনে
সত্যের পিছাবনী!
নতুন সূর্য প্রতিদিনই প্রভাত
এগিয়ে চলার বাণী!
দুঃখের সাগরে আলো আকাশ ঢেউ
আমিই প্রতিধ্বনি!
আজও প্রভাতে উদয় হয়েছি
আমি সকলেরই পিছাবনী!
(৩)
খালের উপর জোড়া সেতু ঐ
দুই মিলনের গান!
স্কুলের সামনে অশোক স্তম্ভ
স্বাধীনতার প্রমান!
আছে বাড়ি ঘর অট্টালিকা
বহুমিষ্টির দোকান!
জাতি ধর্ম বর্ণহীন ওই
একই আশমান!
দুই মন্দিরে দুই জন
আমারই পরম পিতা মাতা!
মাঝখানে আমি সেই গগন
ধরেছি আয়না ছাতা!
পুকুরে সপ্ত পদ্মফুল
ভাসবে রাজহাঁস!
আমার সরস্বতী বিলকুল
রাধাতুলসির মধ্যে নিবাস!
তোমার গানের মিষ্টি ভাষা
আমারই এক প্রান!
রাধাশ্যামের স্বপ্ন ভালোবাসা
পিছাবনী আশমান!
প্রেম সূর্য আয়না আমিই
লোকনাথ নয়ন!
বিপদে পড়লে স্মরণ করিস
উদ্ধার করবে এ গগন!
রনে বনে জলে জঙ্গলেও
আমিই প্রতিধ্বনি!
সবার মনে মনে কথা বলি
আমি সেই পিছাবনী!
আছে একটি বিরাট পুকুর
খেলছে প্রচুর মাছ!
মন্দিরের পাশে প্রাইমারি স্কুল
সামনে আমগাছ!
আকাশছোঁয়ে যেন উঁকি মারে সব
বড় নারকেল গাছ!
একে অপরে হাত ঘিরে দোলে
দেখো পুকুরের চারপাশ!
আছে খেঁজুর শিলাকুলও
এক একটি বেলগাছ!
প্রাইমারি স্কুলের সামনে ছিল
একদিন ভক্তা ফুলের গাছ!
আছে আছে সমিতি ব্যাংক
পেছনে এক টাওয়ার!
পুকুর ঘাটে সোলার লাইট
অটোমেটিক পাওয়ার!
আছে ঐ অশ্বত্থ বট
পাখির ফুল বাঁসা!
বৃহস্পতিবার ও রবিবার
এখানেই হাট বসা!
প্রচুর লোকের ভিড় বাড়ে
পিছাবনীর মাঠে!
কালীপুজোয় আতসবাজি
ধুনুচি মাথায় রাতে!
বেশ কয়েকদিন মেলা চলে
এই পিছাবনীতে!
নাগরদোলা সার্কাস বসে
হাই স্কুলের মাঠে!
দীঘা কাঁথির মধ্যে সেই
আজও পিছাবনী!
গান্ধীজির লবন সত্যাগ্রহ
সেই আকাশবাণী!
পরাধীন ভারতের স্বাধীনতা
দিয়েছিল পিছাবনী!
হিন্দু মুসলিম শিখ খ্রিস্টান সব
একটিই প্রতিধ্বনি!
পরাধীনের মতন যাব না কখনও
পিছিয়ে পিছাবনী!
স্বপ্নে যখন জেগে উঠবে
সামনে অমর বাণী!
শ্রীকৃষ্ণের কুরুক্ষেত্র রণভূমি
বিশ্বরূপ গীতার বাণী
বলো সবাই রাধে রাধে
পিছাবনী পিছাবনী
আজকে পিছাবনী সোলার লাইট
ডিজিটাল আইডিয়া!
পরাধীনের মতন যাবে না পিছিয়ে
পিছাবনী ইন্ডিয়া!
আগামী ভারত ও বিশ্ব গঠনে
আজ দিলাম প্রতিধ্বনি!
যদি মোরা একসাথে চলি
ভারত বিশ্ববাংলা পিছাবনী!