ছোটবেলায় খুব দুষ্টু ছিলাম!
মা বাবাকে খুব বিরক্ত করতাম।
সব খেলায় পটু ছিলাম।
তবে বেশি গুটি খেলতাম।
দূরের গুটিকে বেশি টার্গেট করতাম।
গুটি ফাটিয়েই ছাড়তাম।
মাঠে ঘাটে ঘুড়ি উড়াতাম।
প্রচুর ক্রিকেট খেলতাম।
কাদামাটিতে ঠাকুর বানাতাম।
যখন আমি খুব ছোট্ট ছিলাম।
প্রচুর ধূলো ঘাঁটতাম।
বালিতে নকশা কাটতাম।
কাগজ কেটে আল্পনা করতাম।
এরোপ্লেন,রকেট বানাতাম।
বইয়ের পাতা ছিঁড়তাম,
আর নৌকা বানিয়ে পুকুরে ভাসাতাম।
এই জন্য প্রচুর মার খেতাম।
যেটা না বলবে সেটাই করতাম।
টিকটিকির লেজ কেটে দিতাম।
প্রচুর ফড়িং ধরতাম।
তবে দড়ি বেঁধে উড়িয়ে দিতাম।
ক্যরান্ডি দেখলে বলতাম,
মা মা,রেলগাড়ি আসছে।
বর্ষাকালে ব্যাঙ ডাকলে বলতাম,
মা মা,কটরা ডাকছে।
অন্ধকারে জোনাকি আলো দেখলে,
বলতাম,মা মা,ভূত আসছে।
ছোটো মুখে এই সব শুনলে
আমার মা খুব হাসতো।
আর আমাকে খুব আদর করতো।
ছোটো মুখে অনেক বড় কথা বলতাম।
বড় বড় প্রশ্ন করতাম।
প্রশ্নের শেষ ছিল না।
মাকে খুব জ্বালাতন করতাম।
চুপ করতে বললে থামতাম না।
বরং আরও বেশি কথা বলতাম।
যখন মা উনানে রান্না করতো,
আমি উনানের চারপাশ চক্কর দিতাম।
মা যত তরকারী গরম বলতো,
আমি বেশি ঐ গরম তরকারীতেই হাত দিতাম।
যা বলতো তার উল্টোটাই করতাম।
এখনও আমার পেটে চিহ্ন আছে।
গরম কড়ার ছেঁকা খেয়েছি!
হয়তো পাঠক এখন হাসছে।
হ্যাঁ বন্ধু,প্রচুর দুষ্টুমি করেছি।
যখন খুব ছোট্ট শিশু ছিলাম!
যখন মা বাবার ডাকে হামাগুঁড়ি দিতাম।
বলতো নাকি তখন থাকেই দুষ্টুমি করতাম।
তাই আমার ঠাকুরদা দিয়েছিল এই নাম!
এ ছেলে হবে রাধাশ্যাম!
কারণ দাদুর লাঠি নিয়ে পালাতাম!
যত ব্যাঙ দেখতাম,
ব্যাঙের পায়ে দড়ি বাঁধতাম।
আর ঝুলিয়ে ঝুলিয়ে বাড়ি নিয়ে আসতাম।
মা আমাকে খুবই বকতো,
বলতো,ছেড়ে দে ওদের!
আমি খিলখিল করে হেসে বলতাম,
মা ছাড়ব না তাদের।
মা রেগে বলতো,
খেজুর গাছে ঝুলিয়ে দে যা,
বিরক্ত করিস না।
বাড়ি নিয়ে এসছিস কেন?
ব্যাঙের ঝোল খাবি নাকি?
তোর দাদু মারবে দেখবি!
দাদুর লাঠি নিয়ে পালিয়ে গেছিস না?
আমি খিলখিল করে হাসতাম।
যেটা না বলবে সেটাই করলাম।...
(Songkhipta)