পিছাবনীর চাকা
আস্তে আস্তে গড়তে গড়তে;
সবাইকে নিয়ে চলতে চলতে;
সৃষ্টি পথ আঁকতে আঁকতে;
আমি পিছাবনী লক্ষ পথে!
হঠাৎ তীব্র ছুটছি আলোর গতিতে!
সেকেন্ডে তিন কোটি কিলোমিটার নব নব পথে!
মহাশূন্য মহাকাশে কালো অন্ধকার ছিটকে!
আয়নার শতাব্দী রাজধানী ট্রেন যেন ছুটছে।
একই সময় এক সাথে
চতুর্দিকে আলো এঁকে!
লক্ষ তারা গড়িয়ে গড়িয়ে!
কাল ছায়াপথ ছিটকে দিয়ে,
আলোর গতি ফিরছে।
এদিকে গীতাঞ্জলির প্রশ্ন তারা
আকাশে সে দিশে হারা।
তবুও তার অহংকার
উত্তর না জেনে প্রশ্ন করা।
স্থির হয়ে খালি প্রশ্ন ছোড়ে!
পৃথিবী বলে আসছে দাঁড়া!
তোর সাতটি তারার অহংকার!
আমাকে দেখাবিনা এবার।
বরং পড় রাধাশ্যাম গীতা।
ওর শুধু ভালোবাসার সংসার!
দুদিক দিয়ে এল ট্রেন
শতাব্দী রাজধানী!
মাঝখানে ফুলবন
প্রশ্ন করে এ কেমন গগন?
শতাব্দী রাজধানী আয়না বলে
তুই যেমন,উত্তর তেমন!
প্রশ্নতারার পাতা উল্টে ফুল্টে আবার চলতে শুরু করে!
শতাব্দী রাজধানী
লাভ চিহ্নের পিছাবনী!
গীতাঞ্জলি মাথা চুলকে চুলকে হর্ণ মেরে বলে
আমি এটাই বলব বলব ভেবেছিলাম।
কিন্তু বলতে পারিনি।