বিভীষিকা


অজানা ঘুমের ঘোরে তন্দ্রায়
জাগি উঠি সহসায়,
ভাবি স্বপ্নের কথা হয়ে অসহায়
একি হলো আজ হায়!
ভয়ে দোর খুলে দেখি হতাশায়
নিস্তব্ধ চারিদিকে-
শুধু দমকা হাওয়া বয়ে যায়
দেখি আকাশের দিকে।
যেন আকাশ লাল হয়ে আছে
কাঁপিছে অজানা ত্রাসে
রক্ত দানবের হুঙ্কার ভাসে
শান্ত নিস্তব্ধ বাতাসে।
আকাশের চাঁদ ছেড়ে চন্দ্রলোক
মোহনার জলে ভাসে।
মুক্ত মিছিলে তারারা জ্বলে নিভে
ভাসে শঙ্কিত আভাসে।
ওই সাগরে জেগে উঠেছে দুর্বার
ঘূর্ণিঝড় বলবান।
কার সাধ্যি তারে রুধিবার -
আসছে ধেয়ে আমফান।
বহুরূপী তারা আসে বারে বারে
কাড়িতে নিষ্পাপ প্রাণ।
ভয়ানক  প্রকৃতি, আসে নাশিবারে
আছে কি তার পরিত্রাণ।
সৃষ্টি লীলার কঠিন নিয়ম
ধ্বংস আর সৃজন।
ধ্বংস খেলায় নিয়তি নির্মম
নাই কোনো পরিজন।
সৃষ্টির যত মনোরম রূপ
সৃজন অর্পণ করি অপরূপ
লক্ষ্য তার দুর্নিবার।
ধ্বংস সৃজন বিজয় পতাকা
উড়ায় সে যত্ন করি
দানের শেষে গুরুদক্ষিণা একা
লয় তার ঝুলি ভরি।
তন্দ্রা সে আবার নেমে আসে চোখে
ক্ষণিকের জ্বালা ভুলি।
কাঁদে সে ধরনি ধ্বংসের শোকে
আশার আঁচল মেলি।


পিকলু চন্দ
২২.০৫.২০২০