ছোট্ট বেলার স্বপ্ন


আমি যখন ছোট্ট ছিলাম
স্বপ্ন ছিল মনে
মুক্ত যেমন খাঁচার পাখি
কোকিল ডাকে বনে।


পাখির ডাকে ভোর যে হতো
ছুটত চাষি মাঠে
মনের সুখে বসতাম উঠে
বিদ্যাসাগর পাঠে।


ছুটতো পথিক ছায়ার খোঁজে
বটবৃক্ষের তলে
বাইস্কোপ দেখে গায়ের ছেলেরা
ছুটত কৌতূহলে।


দিনের শেষে আসতো আঁধার
খেকশিয়ালের হাঁকে
ফিরত পাখি নীড়ের খুঁজে
রঙিন ঝাকে ঝাকে।


আঁধার শেষে নামলে আসি
উঠত শশী ভাসি
দারোয়ান সে ছুটতো বেগে
জুরসে হেঁকে বাঁশি।


পাঠের শেষে মায়ের স্নেহে
আসতে চোখে ঘুম
রূপকথার ওই গল্প শুনে
জাগতো মনে সোম।


স্বপ্ন মনের উঠত জাগি
হারিয়ে ঘুমের দেশে
রাতের শেষে উঠলে জাগি
স্বপ্ন যত দোলত মনে,উঠত আসি ভেসে।


ভাবতুম মনে একলা বসে
ভুড়ি-ভোজের ফর্দ কত রবে
রোজ খাবারে মাংস যে চাই
আর শোবার ঘরে শীতল হাওয়া হবে।


বর্ষা দিনে ঝিম ঝিমিয়ে
উঠতো নেচে মন
ব্যাঙের ডাকে গা ভাসিয়ে
ভিজিয়ে দিয়ে তন।


এইতো মনের স্বপ্ন ছিল
ছোট্ট ছিলাম আমি
এখন স্বপ্ন বদলে গেছে
যেন হারিয়ে গেছি আমি।


পিকলু চন্দ
11.06.2020
এখানে সোম শব্দের অর্থ শান্তি।
(ছোট বেলায় ভাবতাম বড় হয়ে একটা বিশাল ঘর বানাবো, আর সেখানে শীতল হাওয়া হবে আমি বেশ শান্তিতে ঘুমোতে পারব, আর বেলায় বেলায় খাবারে মাংস হবে। এই দুই ছিল আমার স্বপ্ন, কোন কাজ থাকবে না আমি মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াবো। আমার খুব স্বাধীনতা থাকবে বড় হলে তো কেউ বাধা দিতে পারে না। কিন্তু বাস্তবে কি তাই হয়!)