সৃষ্টি তোষের হিল্লোলে


সৃজিতে স্বপন বসে রয় মন একা-
সময়ের জ্ঞানভুলি, মিলে তার দেখা।
মননে বিরাজে মোর শুধুই কবিতা
উল্লাসে চঞ্চল চিত্ত সঘন বারতা।
হেরি তারে দু-নয়নে মেলি প্রাণ সেথা
সরস বদনে প্রেমের বাঁধনে হেথা।
আবেগে উথলি শুধাতে মনের কথা
ঘুচাতে বিরস দুরুহ অনল ব্যথা।


ছলছল আঁখি টল টল বারি ভাসে
কবিতা মননে মোর চুপিসারে আসে।
কাঙাল হৃদয় ধরিতে তাহারে ছুটে
বিরস বদনে ধূলি মাঝে পড়ি টুটে।
কুড়াতে তাহারে দিবস-রজনী গেল
সঘন বরষা আষাঢ় ফিরে সে এলো।
বিরহ মিলনে মোর নিভেনিকো জ্বালা
খসি পড়ি যায় মলিন ফুলের মালা।


গেঁথেছিনু যারে জীবনে লুটায়ে তারে
ফিরি বল কেমনে গাঁথি সে উহারে।
কুসুম কাননে হেরি পুষ্প দু-নয়নে
মালির বাগানে ছুটি বৃথা অকারনে।
কত সে কুসুম ধরাতে লুটায়ে আছে
তারে দেখি মনে মনে ছুটে চলি কাছে।
কাতর আভাসে কিন্চিত প্রকাশে দেখি
কিছু লই তুলে, খাঁটি সোনা হেন মেকি!


প্রবল প্রয়াসে ক্ষণিক আভাসে ভাবি
আঁধারে চাহি সে, প্রভাতে উদিত রবি।
নীরবে-নিভৃতে চেতনা হারায়ে বসি
সৃজন সুখের উল্লাস, অমৃতে ভাসি।
নিবেদিত প্রাণ, সে কল্পনা রাশি রাশি
হারায়ে আপনে কল্পনার সুরে মিশি।


প্রমোদ হরষে মন, ভ্রমর গুঞ্জনে-
ছুটি মধু আহরণে কাননে কাননে।
ফুলরেনু ভাসি আসে কুড়ায়ে উল্লাসে
সৃজিনু কতেক-সৃষ্টিসুখ ফল আশে।
কবিতা আমার মননে ভাসে নিরালে
সুর খুঁজি তায়-সৃষ্টি তোষের হিল্লোলে।


পিকলু চন্দ
১৭.০৬.২০২০