টুকরো হীরের মতই দামী
সেন বাড়ির ই মেয়ের স্বামী
মানে আমি -- হ্যাঁ ভাই , আমি ই
ষষ্ঠীতে আজ হিসেব মত
আদর খাওয়ার সেই সে জামাই ।


ষষ্ঠী কবে দিনটা গুনি
বিয়ের পরের থেকেই শুনি
আসবে কবে  আষাঢ় মাসে
জিভেও  জল   আপনি আসে ।
বাছাই করা জামাই আমি ,
সোনার চেয়ে অনেক দামী ।
আশায় আছি সেদিন থেকেই
এবারে ঠিক ডাকটা পাবই !!


কিন্তু ,


ভাগ্যে আমার এক শাশুড়ী -
নিন্দুকে কয় কিপটে বুড়ি
যখনি যাই শ্বশুর বাড়ি
জামবাটিতে লালচে মুড়ি !
লঙ্কা কাঁচা সঙ্গে দুটা
বাজারে আর খাবার কি নাই !!


বছর তিনেক শ্বশুর গত ;
ছিলেন তিনি কর্মরত ,
রেখে গেছেন পয়সা অনেক
খাওয়ার মতন লোকও তো নাই !


থাকার আছে মেয়ে -জামাই
আমি কী আর কম ও কামাই ?
প্রপার্টি ও আমার বাবার
সে হিসেবে কমতি তো নাই ।।
ভেবেছিলাম শ্বশুরবাড়ি
বহাল যখন আজ শাশুড়ী
খাবার দাবার হবেই ভালো
আমি যখন সবে নিধি
মেয়ের কেনা নোতুন জামাই !!


কিন্তু এখন , যখন দেখি
শুনছি কি এ নতুন না কি ?
বলেন তিনি , ' মুই বিধবা
ঘরে কোনো পুরুষ তো নাই !
করবে কে আর সেই আয়োজন
চব্য চোষ্য জামাই ভোজন
আমার বাপু অত শত
করার মত ক্ষ্যামতা তো নাই !!
যতই না হই আমরা বাঙাল
মোচ্ছবে সব মিলাই না তাল !
হাড়ে হাড়ে চিনি জামাই
আমার ওপর টান কিছু নাই !
তা ছাড়া মোর গুষ্টিতে তো
ষষ্ঠী ফষ্টির বালাই ও নাই !'


বলুন তো ভাই , এই যদি হয়
মনে কেমন দুক্ষুটি পাই !!