(আগে একটা ছড়া্য বলেছিলাম)
স্যার লুই এডসন ওয়াটারম্যান !
ভাগ্যিস্ আমাদের উপহার দ্যান
ভারি ভালো ঝর্ণা কলম !
কখনো সুখের দিনে
কখনো দুঃখের দিনে
খোঁচা লাগা হৃদয়েতে লাগাতে মলম !!


মসীধারা ব'য়ে যেতো আগে অফুরান !
করতো না কেউ তো রেয়াত !!
এদিক ওদিক যদি যেতো অবধান
উল্টোতো খাতাতে দোয়াত --
আরেক অভিধা যার ছিল মসীদান --!!
মনে আছে গুরুজন টানিতেন কান ;
কালি যদি যেত পড়ে খাতার পাতায়
গাঁট্টাটা নিশ্চিত পড়িত মাথায় !!


কালিদের আজকাল পাইনাকো দেখা
বাবা কাকা জ্যাঠাদের প্রিয় সে সুলেখা ।
সুলেখা মানেই কালি , আর চেলপার্ক --
বুলুব্ল্যাক কালো নীল রয়্যাল বা ডার্ক !
রেড শুধু ব্যবহার করিতেন তিনি
যাহা কিছু লিখিতাম কাটিতেন যিনি ।


পেনসিল ছিল ভালো , ভালো ডট পেন
কালির বালাই নেই ভালোই লিখেন ।
বহু পরে আসিলেন ভিনি ভিসি ভিকি
সকলের পকেটেতে মারিছেন উঁকি !!


শিখীপাখা দিয়ে লেখে কবি কালিদাস ;
পার্কার ডুওফোল্ড , ল্যামি বা সেফার্স ,
পাইলট পেনে লিখে রবীন্দ্র নাথ
পুরাতন লেখনীরে ক'রে উৎখাত
বলিলেন , '' নাম দিনু--আমি ই প্রথম
সেই থেকে প্রচলিত-- ' ঝরণা কলম ' !!


আজ আর নেই সেই খাগের কলম
ডোবে নাকো বার বার মরিতে দোয়াতে
ক'রে দিলে কন্ট্রোল রেশন যেমন
যতটুকু প্রয়োজন পড়িবেক পাতে ।
ঝরণার জলসম লিখে হরদম
অতএব আর নয় দোয়াত কলম !!"


( একটা মজার কথা শোনাই-- একবার রবীন্দ্রনাথকে নাকি একটি কালি প্রস্তুতকারী কোম্পানী বিজ্ঞাপণ লিখে দিতে অনুরোধ করেছিল । কোম্পানীটির নাম - সুলেখা । সাহিত্যের মহীরুহ হওয়া সত্ত্বেও এই এক জ্বালা তাঁকে প্রায় ই সহ্য করতে হত । তা , তিনি অনুরোধ উপেক্ষা করতে পারেন নি । তিনি নাকি লিখেছিলেন ' সুলেখা কালি !! এ কালি কলঙ্কের থেকেও কালো ।"