এক ছিল গ্রীকদেব , নাহিবার ছলে
কলেবরখানি দেখে পল্বলের জলে।
প্রতিরূপ হেরি নিজ মোহ উপজিল ,
অনুরাগে ছায়াটিরে প্রেম নিবেদিল ।।


কোনোদিন আমারও হয় হেন মতি
আশিতে আসিলে না কি আসে ভীম রতি ।
সুহৃদেরা কহিলেন , এমত ই হয় ,
আপন ছায়ারে লাগে হারাইতে ভয় ।


মস্তক কেশহীন , দর্পণে দেখি ,
তথাপি সুকেশ লাগে ছায়াটিরে । এ কি !!
স্পষ্টতঃ মনে আছে , যাহা ছিল , সাদা !
দূর ছাই !! কী যে দেখি ! আমি এক গাধা !!


মনে হল , বয়সের শুরু অধোগতি ।
বপুটিকে মনে হয় মনোহর অতি ।
মনে হল , কালাসম কেশদাম কালো ,
টাক ফাক নাই কোথা ! লাগিতেছে ভালো ।


আসিয়াছে যৌবন সুঠাম শরীরে
অপরূপ রূপ নিজ ছায়াখানি ঘিরে ।


কনফার্ম হইবারে দেখিয়া দর্পণ
গৃহে ফিরি' সুইচটি করিলাম অন ।
ছড়াইল ঘরজুড়ি ' টিউবের আলো !
কোথা গেল আমারি সে ছায়াখানি কালো ?


আরশির সম্মুখে দাঁড়াইনু আসি।
বারিধারে চক্ষুতে যাইলাম ভাসি ।
কোথা শ্যাম কেশদাম ! মস্তক ফাঁকা !
যাহা কিছু রহিয়াছে , তাহারাও পাকা !!


একাকার সব ছিল ছায়ার মায়ায়
ভ্রমিত যে পায়ে পায়ে সেই কৃষ্ণকায় ।
কোথা গেল প্রিয়া ছায়া ? এ ভারি অদ্ভুত !!
গিন্নী কহিলেন ,
' জানোনা কি পড়েনাকো ছায়া , হ'লে ভুত !! "