আছে কোনো প্রয়োজন
অকারণ
ধুলো ঝেড়ে গুছিয়ে গাছিয়ে রাখা
স্মরণিকা ? ডায়েরির পাতা ?
অপসৃত শৈশব-কথা
অজাতশ্মশ্রু পৌগণ্ড কৈশোর ?
দিনলিপি ঘেঁটে ঘুঁটে
সেই সব যৌবনের যৌথ মালিকানা ?
সময়ের অমিতব্যয়িতা ?
অথবা ধরুন , বানপ্রস্থে অর্ধপক্ব প্রাচীন প্রৌঢ়তা ?
এমন কি অধুনা সন্ন্যাস ?
আমি বাপু দেখি , এই সায়ন্তনে
দিগন্তের রক্তাক্ত সবিতা --
কিছুই রাখে না মনে
অস্তকালে
কী করে যে বীত হোলো সারা দিনমান !
' সায়ন্তন ' শব্দটায় আছে প্রলোভন ।
কী জানেন ,
আসলে
' সায়ন্তন ' আমাদের একমাত্র ছেলে !
আত্মজ আমার !
কলিজায় লেখা তার প্রধান ও প্রথম ঠিকানা !
গুরুগ্রাম নয় --
কিংবা নয় জনপ্রিয়া - ইউটোপিয়ায়
পাঁচ তলে এগারো শ' ফিট
কিংবা নয় কেন্দুয়া মেইন
কিংবা রিচি রোড --
পাশপোর্ট রেশন কার্ডেতে
যে যাই চিনুক !
অথবা আধারে
ঠিকানাটা যা লিখে লিখুক !!
এইতো সেদিন
সায়ন্তন উড়ে এল
দূর গাঁও গুরগাঁও থেকে ;
নিয়ে গেল বৃদ্ধপিতাকে
শহরের নামকরা সাইকোলজিস্ট --
মানসিক
শিরা -উপশিরার ভিষগ
-- তার শুনি অনেক ভিজিট !
বললেন সব শুনে ,
'' এ বয়সে রোগটা তো হামেশাই হয় --
মেমোরির ক্ষয় !
এডভান্স স্টেজ অফ্ ডিমেন সিয়া !
কথা টথা ভুলে যায়
কিংবা ঘটনা
বিড় বিড় করে মনে মনে
কোনো কথা যেন - এখনই মনে পড়ছে না ।''
বললেন ,
' ও সব কিছু না !
ছেড়ে দিন !
অকারণ আপনার ব্রেইন
ট্যাক্সটা বা কেন যে করেন ?
আপনার ছেলে আছে --
তাকে দিন আপনার ভাবনার ভার !
এতোটা বছর ধরে
কি না করেছেন তার তরে !
সে এখন আপনার
অন্তরের কথা কহিবার
একমেব এমপ্লিফায়ার !
সে বলুক আপনার কথা
আপনি পুষুন নীরবতা !
আপনি বরং ওই ডুবন্ত সূর্যেরে দেখুন !"