রাস্তাটা তো আগেই ছিল
মানছি - কাঁচা !
ছিল বলেই , পিচ ঢেলেছো !
কিন্তু যারা বানিয়েছিল ,
সাপে-খোপের আলের পথে
চলতে পায়ে চলার বেগে
মনে করি কিন্তু আমি ,
কৃতিত্বটা তাদের ছিল ।


মানছি , ওদের দিন মজুরি
পরের দোরে
বাঁচার তরে ;
কাজ ছিল না মাটি কাটার
একশো দিনের ,
মানছি , ওরা চাল পেতো না
দু-টাকাতে
তবু তখন শান্তি ছিল !
তখন কি আর রেশন ছিল ?
এসব কথা বলছি যখন
সি পি এমও  কোথায় ছিল।
ঝগড়া কিসের ?
বলছো যে ভাই !
তা বলে কি এমন বাঁচা
বাঁচিয়ে যেমন আজ রেখেছো ?


মানছি আলো জ্বলতো নাকো
রাস্তা ঘাটে
গঞ্জে গাঁয়ে
ইলেক্ট্রিকের,
রান্নাঘরে মাটির উনুন
কাঠের আগুন ,
খাপরি- হাঁড়ি
কাঁসার বাসন --
মিটতো খিদে পান্তা ভাতে ,
শুকনো মুড়ি
ছাড়ুন ও সব
গল্প ওটা দুগ্ধ-ভাতের !
কিন্তু যেন সেই সে তখন
দিনগুলো সব ভালোই ছিল ।


প্রতি বছর বন্যা হোতো
পড়তো ভেঙে বসতবাটি
কেলেঘাই-এর জলের তোড়ে,
ফি -বছরে কালবোশেখি
উপড়ে যেতো বনস্পতি
ধানের ক্ষতি--
মানছি সে সব !
তবুও কেমন শান্তি ছিল
আমার গ্রামে
জুটতো তো ঠিক শাক- সবজি
ন্যায্য দামে ।


ভোট এলো যেই
বছর ঘুরে
পাঁচ বছরে
সকাল ভাতায় নাস্তা সেরে
দল বেঁধে সেই বেরিয়ে পড়া
আঙুলে-ছাপ ভোটটা দিতে
এক সাথে স্কুল প্রাইমারীতে
বুথ হয়েছে ছিটে বেড়ায় !
তখন এমন পুলিশ কোথায় ?
এখন যেমন ঝগড়া মেটায় ?
ছিল তখন খুনোখুনি ?
বলতো শুনি ?
কে দাঁড়ালো বলদ-জোড়ায় ?
চিহ্ণ বা কার লাল পতাকা ?
নেতারা সব জ্যাঠা কাকা !
তারা কি কেঊ এমনি করে
এখন যেমন রক্ত ঝরায় ?