জীবনটা কবে থেকে নষ্ট হয়েছে, ঠিক মনে নেই।
হয়তো যেদিন প্রথমবার কাউকে বিশ্বাস করেছিলাম—
অথবা যেদিন মনের কথা চেপে হেসেছিলাম সব কিছুর সামনে।
সবাই বলে—আমি নিজেই নষ্ট করেছি জীবন।
কেউ দেখে না কতবার ভেঙে গেছি,
কত রাত নিঃশব্দে কেঁদেছি,
কতবার নিজেকেই প্রশ্ন করেছি—"আমি কি এতটাই অযোগ্য?"

আমি তো শুধু একটু ভালোবাসা চেয়েছিলাম।
একটু জায়গা যেখানে ভাঙা মন নিয়ে দাঁড়ানো যায়।
কিন্তু বদলে পেয়েছি অপবাদ, অবহেলা, ঠকিয়ে চলে যাওয়া চেনা মুখ।
এই শহরে এখন আমার জন্য কোনো শব্দ নেই,
সব কথাগুলো কেমন খালি খালি লাগে।
চোখের নিচে কালো দাগ জমে,
ভেতরে জমে অপ্রকাশিত কান্নার স্তর।

সকল মুখ আজ যেন অচেনা,
আর যাদের চেনা মনে হয়—
তাদের চোখে আমি শুধুই এক অতীত ভুল।
তারা সামনে দিয়ে চলে যায়,
ঠিক যেন কখনো পরিচয়ই ছিল না।
আমার নাম এখন কথায় কথায় ব্যবহার হয়,
"তার মতো হয়ো না",
"ওর জীবনটা নিজের হাতেই নষ্ট",
এইসব বাক্যে আমাকে মেপে ফেলে সমাজ।
কিন্তু কেউ ভাবে না—
ভালো থাকতে চেয়েছিলাম বলেই তো আজ এই পরিণতি।

নিজেকে হারিয়ে ফেলার নামই বোধহয় “নষ্ট হওয়া”,
আর আমি বহুবার হারিয়েছি নিজেকে—
ভালোবাসার জন্য, বিশ্বাসের জন্য,
আর তাদের জন্য, যারা শুধু ভেঙে দিয়েছে আমায়।

তবুও প্রতিদিন চোখ মেলে বাঁচি,
কারণ মরে যাওয়াটা এতটা সহজ নয়।
নষ্ট জীবন নিয়েও কেউ কেউ বেঁচে থাকে—
আমি সেই মানুষগুলোর একজন।
নীরবে, নিঃশব্দে, অথচ এখনো জীবিত।