বাবা প্রাচীন এক রুগ্ন বৃক্ষ, মা লেপ্টে আছে পাথরের তলায়,
জন্মের সময় দেহে ছিল শিকড়ের ব্যথা, নাম: গোপন কোনো ছায়া।
বাড়ির লোকেরা ডাকে শূন্যতা, মৌন-স্বর, ধুলোর গান…
চোখের পলকে ভেঙে পড়ে অন্ধকার, হাতগুলো নিঃশেষ।
দিনের বেলায় আকাশ ছুঁয়ে থাকা পাখির ছায়া
রাতে একমুঠো তারার অবশিষ্ট কণা। এখন বয়স অকথ্য
আজও কেউ জানেনি কেমন লেগে থাকে হাড়ের মধ্যে শীত।
শুধু একবার নদীর ধারে দাঁড়িয়ে দেখেছিলাম
এক মানুষ এসে বলল, "তুমি কি সুখ চাও?"
শূন্যতাকে তেড়ে গিয়েছিলাম, কিন্তু স্পর্শ করিনি,
স্পর্শ করলে আমিও হয়ত ছায়ার ভেতর মিশে যেতাম,
এই মিথ্যে উপশমের ফাঁদে পড়ে।