মায়ার ঘন অন্ধকারে হারিয়ে যাওয়া সত্যের সন্ধানে,
ভ্রমণ করি অজানা পথে, অদৃশ্য দিগন্তের দিকে।
কালের ধারায় ভেসে বেড়ায় স্মৃতির নদী,
তরঙ্গে ভেসে আসে অতীতের ছায়া, ভবিষ্যতের আশা।

শূন্যতার বুকে জ্বলে ওঠে প্রশ্নের আগুন,
কেন এই জন্ম, কেন এই মৃত্যু, কেন এই সব লীলাখেলা?
উত্তর খুঁজে পাই না, শুধুই বাজে প্রতিধ্বনি,
মহাবিশ্বের অন্ধকারে হারিয়ে যাই নিঃস্ব হয়ে।

হঠাৎ, এক সুর ভেসে আসে দূর থেকে,
মৃদু, মধুর, মনোমুগ্ধকর, মায়াবী।
সুরের তালে নাচে মন, ভুলে যায় সব দুঃখ,
অস্তিত্বের আনন্দে ভরে ওঠে আত্মা।

সুরের উৎস কোথায়? কে গায় এই গান?
দেখি না কাউকে, শুধুই শুনতে পাই সুর।
মনে হয়, মহাবিশ্বের আত্মা গায় এই গান,
সৃষ্টির আনন্দে মুখরিত করে সমস্ত জগৎ।

সুর শুনতে শুনতে মনে হয়,
আমিও এই মহাবিশ্বের অংশ, অস্তিত্বের এক টুকরো।
আমার জন্ম, আমার মৃত্যু, সবই লেখা আছে এই সুরের মধ্যে।
আমি মরব, কিন্তু এই সুর থাকবে চিরকাল,
মহাবিশ্বের গানে মিশে যাবে আমার গান।

কবিরা মরে না, তাদের শব্দ স্মৃতি হয়ে বাঁচে,
প্রতিটি প্রজাপতির ডানায় লেখা থাকে তাদের গান,
প্রতিটি নদীর স্রোতে বয়ে যায় তাদের স্বপ্ন,
প্রতিটি মনের আকাশে জ্বলে থাকে তাদের চাঁদ।