কুয়াশা ঘেরা সকাল বেলায় বসে আছি বাসে।
কোথায় থেকে হঠাৎ এসে বসলে আমার পাশে।
মুচকি হেসে বসলে পাশে হেলান দিয়ে সীটে।
গোলাপি উর্না মাথায় পরে আঁচলটা ঠিক পিঠে।


করুণ কোলাহল মনের মাঝে মিষ্টি সুবাস গায়ে।
হালকা ছোঁয়ায় মাতাল তখন মৃদু ছোঁয়া পায়ে।
নীরব তুমি বাসের মাঝে হালকা হাসি মুখে।
সারা মুখেই খুসির ছোঁয়া যেন নবীন সুখে।


শরীর তখন অসাড় তো প্রায় রঙ্গিন ছবি মুখে।
এক নিমিষে হারিয়ে গেছি কাজল কালো চোখে।
মুখের মাঝে স্বপ্ন সাজানো যেন কণ্ঠে মধুর বাঁশি।
রাঙ্গা ঠোঁটের পাপড়িতে মেলা মুক্তা ঝরানো হাসি।


বিধাতার হাতে নিপুন গড়ানো যেন অপরূপ সৃষ্টি।
চেয়ে দেখি শুধু অপলক ভাবে ফেরানো যায়না দৃষ্টি।
বিধাতার হাতে তিলক আঁকা তাহার ঠোঁটের পর।
কপালের ডানে কি যেন আঁকা রঙ্গিন কেশের পর।


বাম কানে আঁকা মায়ার তিলক হাতের আঙ্গুল সরু।
যত্নে বিধাতার নিখাদ সাজানো মায়াবিনী এক তরু।
অপরূপ তুমি, তুমি সুন্দর ওগো ভিন দেশী নারী।
ঝকঝকে দাঁত গাঢ় সাদা রঙ্গে যেন মুক্তার সারি।


হৃদয় উতাল তোমায় দেখে আমি পাগল প্রায়।
চলতে গিয়ে পিছন দিকে বারেবারে ফিরে চায়।
নামলে তুমি বাস থেকে আর আমি রইলাম বাসে।
আশায় তখন ও বসেই আছি বসবে কবে পাশে।
               ******