(আমার এই কবিতাটি সম্প্রতি "ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী কবি সম্মেলন ২০১৯" এ সৌমেন বন্দ্যোপাধ্যায় (পীযূষ কবি) দ্বারা পঠিত হয়েছে !)


ঠাস ঠাস দ্রুম দ্রাম , শব্দের ভড়কি,
দুরূহ কবিতা পাঠে, চোখে দেখি চরকি।
হাঁ,চোখে লাগে চরকি


টনটন করে মাথা, ভয়ে কান বন্ধ,
বাজখাঁই শব্দে, ঘামে ভেজে রন্ধ্র।
হাঁ ঘামে ভেজা রন্ধ্র!


কবি শুনে তেড়ে ওঠে, আমি আর নাইরে,
মগজের শক্তি, আওতার বাইরে ।
হুঁ,আওতার বাইরে!


কবিতার সংজ্ঞা, কবি কিনা বলছে,
শব্দের বেড়াজালে, মনটা যে টলছে।
হুঁ মনটা যে বলছে


কবিতার গাঁথুনি, মানে কিছু নাইরে,
মানে যদি না বুঝিস, সুকুমার পড়রে।
ঐ, সুকুমার পড়রে!


কঠিন শব্দ খোঁজে, মনে কত চিন্তা,
অভিধানে পাবেনাকো, শব্দের ধিনতা।
ঐ, শব্দের ধিনতা!


গালে হাত পাঠকের, মুখ দিয়ে কুলুপে,
আগডুম বাগডুম, শব্দের মুলুকে।
ফুঁ: শব্দের মুলুকে!


শুনশান হলো যে, মগজের ঘিলুখান,
ডিগবাজি খেতে খেতে, আমি দিই পিঠটান।
একেবারে পিঠটান!


সাবলীল শব্দে, বাজাও না ঘন্টা,
কবিতা পড়ে যাতে, ভরে যায় মনটা?
বাঃ, ভোরে যায় মনটা!


আমার কথাটি শুনে, দিও নাকো ধিক্কার,
আমার এ অনুরোধ, ভেবে দেখো একবার।
ভাববে তো একবার ?