সুখেন দ্বারা আহত প্রজাপতিটাকে
শিখা আপ্রাণ চেষ্টা করছিল ডানাটা জুড়তে।
হঠাৎ সুখেন তাকে পেছন থেকে ঝাপটে ধরল।
শিখা অনেক  চেষ্টা করলো নিজেকে ছাড়াতে
'ছাড়ো, ছেড়ে দাও আমাকে ,প্রজাপতিটা মরে যাবে যে'।
ছাড়াতে পারলনা সে নিজেকে।  
যখন নিস্কৃতি পেল তার হাত থেকে,
ততক্ষণে প্রজাপতিটা পড়ে গেছে মেঝেতে।
শিখার ই পায়ের তলায় চাপা পড়ল সে।
শিখার চোখ দিয়ে জল গড়াতে লাগলো।
আঁচল দিয়ে সে চোখ মুছতে মুছতে
তারস্বরে সুখেন কে গালি দিতে লাগলো।
'ইতর - বদমাশ - ছোটলোক ......'
শিখা প্রাণপণে  বিশ্বাস করতো
প্রজাপতি হলো বিয়ের দেবতা।
আর তারই পায়ের তলায় চাপা পড়ে
সেই দেবতার হলো মৃত্যু।
সুখেন মনে মনে ভাবে
ছাই বিয়ের দেবতা, ও তো... ইয়ের দেবতা।
কিন্তু সুখেন-ও চেয়েছিল
শিখাকে বিয়ে করে ঘর বাঁধতে
তবু সুখেন কেন প্রজাপতিটাকে
মারতে চেয়েছিল ?
প্রজাপতির মৃত্যুই কি তাহলে
তাদের বিয়ে না হবার কারণ ?


(কবিতার পুরো ভাবনাটাই সমরেশ বসুর "প্রজাপতি' থেকে নেয়া)