নেহাতই খেলার ছলে ও সময় কাটাতে অন্তর্জাল নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে গিয়ে শরৎচন্দ্রের উপন্যাস বিষয়ক একটি মজার চিঠি পেলাম,আর ইচ্ছে জাগলো আসরের বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করি।


দেবদাস,
অনেকদিন পর তোমাকে চিঠি লিখছি।একদিন তোমাকে বলেছিলাম, আমি অরক্ষণীয়া নই।সে ভুল আমার ভেঙে গেছে।প্রথমে বড়দিদি ও মেজদিদির পথ নির্দেশে চলতাম।কিন্তু ওদের কথায় যখন হরিলক্ষ্মী ও রামের সুমতি হল না,তখন পথের দাবি ছেড়ে দিলাম।বৈকুন্ঠের উইল পেয়ে শ্রীকান্তের দেন-পাওনা চুকিয়ে দিয়ে পথে নামলাম।এমন সময় দেখা হল পন্ডিতমশাইয়ের সাথে।তাঁর অনুরোধে চন্দ্রনাথের সাথে পরিণীতা হলাম।বেশ কিছুদিন ভালোই কাটলো।একদিন বিপ্রদাস আমার স্বামীকে বললো,আমি চরিত্রহীনা।এমন কি বামুনের মেয়ে হয়ে কাশীনাথের বাগদত্তা ছিলাম।তবুও গৃহদাহ থেকে নিষ্কৃতি পেলাম না।ছবি দেখেছি,বুঝেছি দর্পচূর্ণ হয়েছে।তোমার কাছে এই আমার শেষ প্রশ্ন,কেন সমাজ নারীর মূল্য দিলো না? এই কি তোমার সেই পল্লীসমাজ?থাক ওসব কথা;শুভদাকে বলিও,তোমার অনুরাধাকে যেন বিন্দুর ছেলের হাতে সোঁপে দেয়।পরেশ কেমন আছে? তোমার সাথে যদি আর শেষ পরিচয় না হয়,তবে দোষ দিও না।


ইতি
বিরাজ বৌ।


উপসংহার :-
আসরের বন্ধুদের কাছে অনুরোধ, এই উপরিউক্ত চিঠিতে শরৎচন্দ্রের বিভিন্ন উপন্যাস ও ছোট গল্পের উল্লেখ আছে।দেখি সবচেয়ে প্রথমে কে এই চিঠিটি পড়ে বলতে পারেন নামগুলো? গুনে দেখুন প্রায় বাইশটি র মতো গল্পের নাম পাবেন!!!!
অপেক্ষায় রইলাম।