হে অভ্র, তোমার মায়ায় কী বৈভব;
মেঘমল্লার রাগে নিয়ে আসো ভৈরব।  
বৈশাখী ঝড়ে নিমেষে করো সব খান খান;
অর্কের অমিত অর্চিশা ক্ষণিকে হয় ম্লান।


কখনো শুনতে পাই তোমার গুরুগুরু সুর,
সেই সুরে মন ভেসে যায় কোন এক সুদূর।
কখনো তোমার রূপে মুগ্ধ হই দেখে সোনার আলো,
সিঁদুর রাঙ্গা রং থেকে তুমি হয়ে যাও হটাৎ কালো।


নিমেষে ছায়াপটে আঁকো নিত্য নুতন ছবি,
বাদল রাতে জেগে উঠে কবিতা লেখে কবি।
হৃদয়ে কবির চমক আনো, বুকের মাঝে সাড়া ,
শব্দ ঝড়ে টাপুর টুপুর, মনে আনে বাদল ধারা।


শরৎ আকাশে তুলোর রূপে দেখতে তোমায় পাই ,
মাঠের ধারে রঙের খেলায় অবাক হয়ে যাই।
নকশী কাঁথার মাঠের ধারে শুনি করুণ তান ,
আজো যেন বাজে সেথায় রুপাইয়ের গান।  



(অভ্র-মেঘ
অর্চিশা - আলোর রশ্মি
অর্ক -সূর্য)