আসরের কবিদের ব্যস্ত জীবনকে একটু হাসি দিয়ে হালকা করার চেষ্টা করছি


আমাদের অতিপ্রিয় কবি খেয়াল রসের রাজা কবি 'সুকুমার রায় " (যার নিজের ছবি দেখলে মনে হয় যেন গোমরামুখো -তাঁর নিজের ভাষায় রামগরুরের ছানা ) | কি ঠিক বলছি ? আমি অন্তত তাঁর ছবিতে তাঁকে হাঁসি মুখ দেখিনি |সবসময় যেন কেমন গুরুগম্ভীর চেহারা | অথচ আমাদের ছেলে বুড়ো সবাইকে শুধু সারাজীবন হাঁসি আর আনন্দ দিয়ে গেছেন | যাকগে সে কথা |যেটা আজ বলতে চাইছি শুনুন  কবি বন্ধুরা |


একজন বিদেশে থাকা এক ইংরেজি-বলা বঙ্গশিশু সুকুমার রায়ের ‘গল্প বলা’ ছড়াটা শিখেছে।তার কবিতাটি এত ভালো লেগেছে যে থেকে থেকেই তুবড়ির মত বলে, বেশ গলা ছেড়ে।
’“এক যে রাজা”–”থাম্ না দাদা,
রাজা নয় সে, রাজ পেয়াদা৷”


ক’দিন পর সে বাবার সঙ্গে গাড়ি করে রাস্তায় যাচ্ছে। পাশ দিয়ে আর একটি গাড়ি সিগিন্যাল না দিয়েই লেন চেঞ্জ করে আচমকা সামনে ঢুকে পড়ল। বাচ্চাটি গাড়ির পেছনে। কার সীটে। ঘটনাটা ভাল করে দেখতেই পায়নি। শুধু শুনল বাবার উত্তেজিত স্বগতোক্তি, ‘হি নিডস্ টু গেট সাম লেসনস্’।


অমনি পেছন থেকে শিশুটির মন্তব্য, ড্যাডি, ইউ শ্যুড সে-


‘ধরব ঠেসে টুঁটির ’পরে,
পিট্‌ব তোমার মুণ্ডু ধরে-’


অব্যর্থ সুকুমার প্রয়োগ!