বছর বছর ধরে আমি হাঁটিতেছি কবিতার পথে;
কাঞ্চনজঙ্ঘা থেকে এখন আটলান্টিক সাগরের পাড়ে।
অনেক ঘুরেছি আমি কবিতার ধূসর জগতে;
সেখানে লিখেছি আমি হিজিবিজি আপন মনেতে।
আমি রুক্ষ মানুষ এক , চারিদিকে কবিদের মন্তব্যের পাঁক,
আমারে দুদণ্ড শান্তি দিয়েছিলো আকাশে পাখিদের ঝাঁক।


চুল তার কবেকার স্নিগ্ধতার কলমের নিশা,
মুখ তার শব্দের কারুকার্য, অতিদূর গালিবের পরে।
শব্দের খোঁজে আমি হারিয়েছি দিশা,
কবিতা যখন লিখবো ভাবি দ্বিতীয়বারের তরে।
তখনি দেখেছি চোখে অন্ধকার,বলেছে সে অনেক হয়েছে থাক;
দেখেছি আমি কবিতার বানান নিয়ে ঝগড়া করে কবিদের ঝাঁক।


এতদিন লেখার শেষে সূর্যের অস্তের মতন,
সন্ধ্যা আসে, ডানার ঘাস ফুলের মতো মুছে ফেলে চিল।
সব সাদা কালো রং মুছে ফেলে কবিতার পাতা করে আয়োজন,
বিখ্যাত কবিদের লেখার তরে পাতা করে ঝিলমিল।
আমার সব লেখা ঘরে ফেরে ,ফুরায় যে লেখার সব লেনদেন,
এসে যায় অন্ধকার ,মুখোমুখি বসিবার সুচরিতা সেন।


(জীবনানন্দের 'বনলতা সেন' অবলম্বনে লিখিত কবিতা)