সোনালী বিকেলগুলো আর কোনোদিন ফিরে জানি আসবেনা
টেবিলের সেই ভালোবাসা তবু যাবেনা কোনোদিন ভোলা যাবেনা
সাতটি চেয়ারে শুধু আমরা সাতজন করেছি কত তর্ক আর ঝগড়া ,
তবুও ক্লান্তহীন ভাবে ঘুরেই চলতো মাথার ওপরে সিলিং পাখা !


ক্যান্সারে মারা গেলো আমাদের বড়ো প্রিয় গিটারিস্ট ডিসুজা ,
আশা ছিল মনে গীটার বাজিয়ে নাম করে যেন তার ছেলেটা!
প্রতারণা করেছিল একটি ছেলে ভালোবেসে বান্ধবী রুবি রায়কে ,
শেষটাতে আঘাত সহ্য না করতে পেরে যেতে হলো পাগলা গারদে


ক্যানভাসে দুরন্ত সব ছবি আঁকতো আর্টিস্ট বন্ধু আবদুল,
একদিন সে করবে নাম সেই আশাতে থাকতো মশগুল !
তার লেখা কবিতা হয়না ছাপা দুঃখ ছিল বড়ো মলয়ের,
আজ তার লেখা মুখে মুখে ঘোরে ছোট বড়ো সকলের !


অনিতার বিয়ে হলো শুনেছি কোটিপতি স্বামী ছিল তার ,
পরে শুনেছি সে মোটেও সুখী নয় কিছুই জানিনা আর !
কার দোষ জানিনা শুনেছি একসাথে দুজনে আর থাকেনা ,
সবই যেন হারিয়ে গেছে, কেও আর কোনো খবর রাখেনা!


অনিমেষ সান্যাল চলে গেলো বড় কাজ নিয়ে  ইতালি ,
ছাড়তে খালি পারলাম না আমি প্রবীর বাংলার মিতালি !
জীবনে চলার পথে হারিয়ে গেছে জানি অনেকেই অবশেষে
বই পাড়া কলেজ স্ট্রিটে গেলে এখনো ঢু মারি কফি হাউসে !