নিত্য নতুন নিয়মের বেড়াজালে,
লাজুক,কমনীয় কবিতারা দিশেহারা।
বৃত্ত আর ছন্দ বিশ্লেষণের গোলকধাঁধায়,
কবিতারা হয়ে যাচ্ছে দলিত ও স্পন্দিত।


মর্মব্যবচ্ছেদের প্রবলতায় ক্লান্ত সে,
দুর্জনহস্তে পতিতা হয়ে কোমল বনিতা সংশয় মগ্না।
কবির বক্ত্যব্য হয়ে যাচ্ছে ব্যর্থ;
উপলব্ধির অন্বেষণ করাতে চিনি লেপা কিছু রসহীন কহন।  


ষোড়শী কবিতাদের উলঙ্গ করা হচ্ছে প্রতিদিন;
স্ক্যানিং এর অত্যাচারে রসের ও আনন্দের ব্যাখ্যা অসম্পূর্ণ!
ত্তঁচলাকুড়ে স্থান পাচ্ছে ভালো কবিতাগুলো।  
আর্তনাদ করে ওঠে সে হৃদয়ের রক্তক্ষরণে !    


বিশুদ্ধ উপভোগের ক্ষমতা না থাকলে
কবিতার আসল রূপকে গ্রহণ করা যায়না।
খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে ব্যাখ্যা করে কবিতা বোঝা যায়না,
কবির অন্তর বাহিরের সবটুকুই গুছিয়ে তোলা থাকে কবিতায়।  


তাই কবিতা পড়ে আনন্দ পেয়ে থাকলেই যথেষ্ট,
কবিতার রস পেতে হলে পন্ডিতের আশ্রয় নিতে হয়না।
কবিতার পোস্টমোর্টেমগুলো দেখে মাঝে মাঝে হই বাকরুদ্ধ !
অতিরিক্ত ছুরি কাঁচি চালিয়ে কবির মেধা ক্রমাগত বিপন্ন!!