সমাজে নারীর স্থান নির্দিষ্ট;
নিজেকে নিয়ে নিজের মতো হাসতেও সে শেখেনি!
অথচ রাখতে হবে নিজেকে আকর্ষণীয় করে!
গুরুগম্ভীর বিষয় নিয়ে হালকা চালে কথা বলার অধিকার শুধু পুরুষের?
হালকা বিষয়ে সিরিয়াস সুরে লেখার কথা শুধু আবেগপ্রবণ নারীর?
বাঙালি কেন,জগৎ জুড়ে এই আনন্দ গান ই বাজছে।
মেয়েরা লিখছেন প্রেমের কবিতা, ভূতের গল্প আর রোমান্স;
ডরোথি মেয়ার্স, আগাথা ক্রিস্টির মতো প্রচন্ড মেধাবিনীরা ঢুকে পড়েছিলেন তাই,
নতুবা রহস্য রোমাঞ্চের অঞ্চলপ্রধান এলাকাতে মেয়েরা ঢুকতেন কিনা সন্দেহ।
বাঙালি মেয়েরা খুব একটা ঢোকেওনি।  
বাঙালি মেয়েকে রাখতে হবে কেন শুধু নম্রমধুর হয়ে?
সং সেজে ক্লাওনিং করলে তো আর চলবেনা?
লোকে হাসবে যে
লোকের সম্মান চাই যে?
হায়,সম্ভ্রবসর্বস্ব বাঙালিনী!
প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে শূন্যে ঝুলন দুলতে রাজি,
রাজি সিংহের খাঁচায় মাথা গলাতে
কিন্তু হাস্যকর সং সেজে ইচ্ছে করে লোক হাসতে রাজি নয়
সার্কাসে মেয়ে ক্লাউন আমি কোনোদিন দেখিনি
কিন্তু দেখেছি প্রাণ হাতে করে ট্রাপিজ খেলতে


তাই নারীদের এটা সামাজিক দায়িত্ব;
সামাজিক সম্ভ্রমবোধে আঘাত করে,
সত্যকে উন্মোচন করে,
মিথ্যের হাঁড়ির মুখে সরা দিয়ে,
শতছিন্ন প্রথাকে যেন যেন প্রকারেন অসীম শক্তির দ্বারা চিরায়িত করে,
টুটাফুটা রাজনীতিকে বুদ্ধিমত্তা মননশীলতার মাধ্যমে সেলাই করে
সহ্যশক্তির দ্বারা চিরায়িত করা!
  
এটাই অলিখিত নারীর প্রত্যাশা