এঘরে সারাবছর হিমবাহের শীতলতা!
আমার দক্ষিণের ঘরটায়-
স্তরে স্তরে জমে আছে কঠিন বরফ,
আর তাতে চাপা পড়ে কিছু জীবন্ত সময়।
এঘরে ঋতু বদলায়না,
শীত গ্রীষ্ম সব তুষারে বিলীন,
সময় এঘরে পক্ষাঘাতে পঙ্গু,
মুখ থুবড়ে পড়ে আছে জড় পদার্থের মতো।
এঘরে তাই শতাব্দীর পুরোনো হাতছানি,
শুষ্ক বাতাস আজও স্তব্ধ হয়ে আছে,
এঘরে আজও শেষ হয়নি একাদশীর রাত,
স্নিগ্ধ জোৎস্না আজও ভরে আছে।


মাঝে মাঝে শুধু আমি সেঘরে ঢুকি,
দিনের আলোয় নয়! আমি অপেক্ষায় থাকি-
যখন পশ্চিম আকাশে সিঁদুর খেলে
কেউ বিসর্জন দিয়ে যায় সূর্যটাকে,
বনানীর গা বেয়ে নেমে আসে রাত।
ধুলোর পরদ ভেদ করে
ভেসে ওঠে ঘোলা ময়লা চাঁদ,
মলিন জোৎস্নাকে পিষে মারে বিদ্যুতের আলো।
আরও পরে যখন জোনাকিরা ঘুমিয়ে পড়ে,
ক্লান্ত ঝিঁঝিঁর ডাক স্তব্ধ হয়ে আসে-
আমি চুপিসারে সেঘরে ঢুকি,
আর সেই সময়গুলোকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাই।
আবার বেরিয়ে এসে শক্ত করে শিকল তুলি,
আর মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিই নিজেকে-
"এই শেষ! আর যাবোনা ওঘরে!"