যবে অন্যায়-অবিচার খুন আর ধর্শন,
যবে অবণীত ছিল নাকো শান্তির বর্ষন।
যবে মদ্য-মাতাল হয়ে হতো সবে তালহীন।
যবে সদ্য-ভুমিষ্ঠাক ভাবত সবে মানহীন।
যবে স্রষ্টাকে ভুলে গিয়ে, হাতে-গড়া ভূত-পায়,
সবে মানবতা ভুলে গিয়ে যেত পরে সেজদায়।
যবে ছোট-খাট কথা নিয়ে, পি'ত সবে রক্ত।
যবে মানুষকে মানুষ বলে চেনা হতো শক্ত।
যবে পাপ করে পাপীগণ প্রকাশ্য রাস্তায়,
বলে দেয় পাপ-কথা, কেহ নাহি পস্তায়।
যবে ভুল কাজে সবাই বীর, ঠিক কাজে কেউ নয়।
যবে কন্যাদেরকে দাফন করে বিরত্ব দেখাতে চায়।
যবে অশ্লিলতার ছড়া-ছড়ি বাঁধা দেওয়ার কেহ নাই।
যবে অসভ্যদের সমাজেতে সভ্যতার ঠাঁই নাই।
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন শুনার মানুষের বড় অভাব।
যবে মনুষ্যত্ব ভুলে গিয়ে নিয়েছিল পশু-স্বভাব।
যবে গর্ভ-ধারিনী মা'র পেটে ছা' করতে নির্বাচন,
জীবন্ত মাতার পেট কাটিয়া, করত সবে নির্যাতন।
যবে সুদী মহাজন চুষে নিত গরীবের ধন-মান।
যবে শুনে কারো আহাজারি ফিরে যেত সব কান।
যবে অসভ্যতার চরম স্থানে পৌঁছেছিল জনগণ।
যবে খুন-খারাবির জন্য লাগত না কোনো কারণ।
যবে সাম্যের গান হয়েছিল, ধু-ধু ঐ মরু-ময়।
যবে প্রীতির কথা বললে, সবে তারে ভীরু কয়।
যবে তিমীর রাতি গ্রাসিয়ছিল সুন্দর এ- ভূবনকে,
হঠাৎ মক্কাধামে সৃজিল সুরেলা এ-ভূবন কে?
সেই সুরের তানে দুর হলো যত সব অন্যায়।
যত মদ-মত্যতা ভেসে গেল সে সুরের বন্যায়।
এ-কি অবাক কাণ্ড শুরু হল আজ হায়!
রোমের প্রাসাদ কার পায়ে পরে গেল সেজদায়?
গ্রহ -রবি-শশী আজ কার পায়ে ঝুঁকিল?
কার আগমনে ধরণী থর্-থর্ কাঁপিল?
ক্লান্তি শ্রান্তি দুর করে আনল শান্তি অবণীতে।
মরু ঝড় শান্ত হলো, তার হাতে আব' পি'তে।
বিশ্ব মাঝে রটে গেল বিরাট সে মানব-নাম।
তার নামে পড়ি "সাল্লাল্লাহু আলিইহি ওয়া সাল্লাম "