আজ শুভ রথযাত্রা দিবস। রথযাত্রা হল হিন্দু সনাতন ধর্মের একটি ধর্মীয় উত্সব। রথযাত্রার দিন পুরীর জগন্নাথ মন্দির সহ দেশের সকল জগন্নাথ মন্দিরে জগন্নাথ, বলরাম ও সুদর্শন চক্র মূর্তি মন্দির বাহিরে সর্বসমক্ষে বাহির করা হয়। তারপর তিনটি সুসজ্জিত রথে (কোনো কোনো স্থলে একটি সুসজ্জিত সুবৃহৎ রথে) বসিয়ে দেবতাদের পূজা সম্পন্নপূর্বক রথ টানা হয়।


পুরীতে রথ টানতে প্রতি বছর লক্ষাধিক পূণ্যার্থীর সমাগম হয়। এখানে তিন দেবতাকে জগন্নাথদেবের মাসির বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। পুরীতে বছরে এই একদিনই অহিন্দু ও বিদেশীদের মন্দির চত্বরে এসে দেবদর্শনের অনুমতি দেওয়া হয়।


পুরীতে যে রথগুলি নির্মিত হয় তাদের উচ্চতা ৪৫ ফুট। বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক টেলিভিশন চ্যানেলে এই রথযাত্রা সরাসরি সম্প্রচারিত হয়।রথযাত্রা উপলক্ষে বিভিন্ন স্থানে মেলার আয়োজন করা হয়।


পশ্চিমবঙ্গে রথযাত্রার যাত্রা পালা মঞ্চস্থের রীতি বেশ জনপ্রিয়। অভিনেতা ও যাত্রামোদীদের কাছে এই রথযাত্রা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলা কবিতা আসরের সাথে যুক্ত সকল লেখক-লেখিকা ও সাহিত্যিক এবং কবিগণকে জানাই শুভ রথযাত্রার আন্তরিক প্রীতি আর শুভেচ্ছা। সাথে থাকুন, পাশে রাখুন। জয়গুরু! জয়গুরু! জয়গুরু!


রথের মেলা
-লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


রথের মেলায় আজকে সবাই
এসেছে রথের দিনে,
ছোট খুকুমনি বায়না ধরেছে
পুতুল দাও মা কিনে।


রথের মেলায় এসেছে সবাই
সবাকার মুখে হাসি,
খোকন সোনার বায়না আজিকে
কিনে দাও মাগো বাঁশি।


বিধবা মায়ের আর কিছু নাই
ছেলে মেয়েই সম্বল,
খুশির দিনেতে মায়ের চোখেতে
ঝরে আজি অশ্রুজল।


জয় জগন্নাথ ডাকিছে সকলে
ধরে রশি টানে রথ,
জয় জগন্নাথ জয়ধ্বনি তুলে
ভিড় করে জনপথ।


সবার চাইতে খুশি হলো আজ
পুতুল পেয়েছে খুকী,
খোকন পেয়েছে বাঁশের বাঁশি
তবুও কেন মা দুখী?


হাসির চাইতে কান্না যে দামী
আজ রথের মেলায়,
কান্না দিয়ে কেনা পুতুল বাঁশি
মা কিনেছে দু'পয়সায়।