আদ্যাশক্তির আরাধনা ও দেবী বন্দনা
দুর্গাপূজার কবিতা-১৪২৮ (তৃতীয় পর্ব)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


মহা অষ্টমীর পূজা বিদিত জগতে,
হোমযজ্ঞ পূজাপাঠ শাস্ত্র বিধিমতে।
ঢাকীরা বাজায় ঢাক পূজার সময়,
কুমারী-পূজন আদি বিধিমতে হয়।


সুগন্ধি চন্দন, মধু, ঘৃত, গঙ্গা-জল,
মিষ্টান্ন নৈবেদ্য আর নানাবিধ ফল।
শঙ্খ ঘন্টা ধূপ দীপ বরণের ডালা,
বিল্বপত্র আম্রশাখা আর ফুলমালা।


অষ্টোত্তর শত নীল শত-দল দান,
ভক্তিভরে সবে করে অঞ্জলি প্রদান।
সন্ধি-পূজা বিধিমতে ছাগ বলিদান,
ছাগ রক্তে দেবীপূজা শাস্ত্রের বিধান।


শুন শুন মর্ত্যবাসী আমার বচন,
পশুরক্তে দেবীপূজা না হয় কখন।
গঙ্গাজলে দেবীপূজা কর সর্বজন,
বন্ধ হোক পশুহত্যা কহেন লক্ষ্মণ।


বাংলা কবিতা আসরের সকল কবিগণকে জানাই শ্রী শ্রী মহা-অষ্টমীর আন্তরিক প্রীতি আর শুভেচ্ছা। মা এসেছেন। তিনি সর্বমঙ্গলময়ী করোনাসুরের দমন ও আগামী বছর জাতি, ধর্ম, দেশ নির্বিশেষে মানুষের আনন্দময় হাসি আর যেন মাস্কের আড়ালে না থাকে— এটাই মায়ের কাছে প্রার্থনা। প্রার্থনা, যেন মানুষের হাসি ফুটে ওঠে শারদীয় সকালে কাশফুলের মতো। স্বাস্থ্য বিধি মনে চলুন, মাস্ক পরুন। দূরত্ব বজায় রাখুন। জয়গুরু॥