অজয় নদীর কাব্য
ষষ্ঠ পর্ব।


প্রথম প্রকাশ- 25শে জানুয়ারী, 2018
দ্বিতীয় প্রকাশ- 25শে ফেব্রুয়ারী, 2018
তৃতীয় প্রকাশ- 25শে মার্চ, 2018
চতুর্থ প্রকাশ-17ই মে, 2018
পঞ্চম প্রকাশ- 2রা জুন, 2018
ষষ্ঠ প্রকাশ- 26শে জুন,2018


------ঃ ****¬ঃ-----------


বাংলা কবিতার আসরের অন্যতম কবি ও সঙ্গীতশিল্পী শহীদ খাঁন-এর অসুস্থতার সংবাদেআমরা সবাই মর্মাহত। প্রিয়কবির শারীরিক সুস্থতা ও রোগমুক্তি কামনা করি।


পরমপ্রেমময় পরমদয়ালের অপার করুণায় তিনি সুচিকিত্সার ফলে
আমাদের মাঝে চির বিরাজ করুন এটাই হোক আমাদের ঐকান্তিক প্রার্থনা।


সর্বে সুখিনঃ সন্তু! সর্বে সন্তু নিরাময়াঃ সর্বে ভদ্রানি পশ্যন্তু।
মা কশ্চিত্ দুঃখভাক ভবেত্। শান্তিঃ! শান্তিঃ! শান্তিঃ!


বাংলা কবিতা আসরের প্রতি প্রত্যেকেই সকলেই সম্মিলিতভাবে
প্রিয়কবির জন্য সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কাছে/ আল্লাহতালার কাছে
দোয়া/ প্রার্থনা করি।


সকলের মিলিত শুভকামনা নিরন্তর।
প্রতিনিয়ত বর্ষিত হোক প্রিয়কবির উপর।


জয়গুরু! জয়গুরু! জয়গুরু!



অজয় নদীর গতির ধারা  
               -সঞ্জয় কর্মকার


              (1)
মন হারালাম অজয় নদী কল্লোলিনী রূপে,
আর গাই সে কাব্যগাঁথা-গর্ব ধরি
বুকে।
              (2)
বইছে নদী পাগলপারা হৃদয় দোলে গাই,
স্বপ্ন যেমন মন মোহিনী-আর প্রেমেতে
রাঈ।
              (3)
উছল গাঙে বাঁধ ভাঙা তার ভৈরবেতে লয়,
পার ভাঙে সে ঝঙ্কারে প্রাণ
রূপখানি তার ভয়।
              (4)
রুষ্ট নদী হুহুঙ্কারে জবাব দিতেই জাগে,
নাইরে কেন বৃক্ষরাজি? প্রশ্ন যেন
বাজে।
              (5)
দুকূল ভেঙে দুঃখে মাতা শীর্ণ রূপে বয়,
তির তির তার জলের ধারা
নরম হয়ে যায়।
              (6)
গাইছি মাতে তোমার গাঁথা গর্বে ধরে বুক,
তোমার নামে ঊষার আলোক
উজ্জ্বল হয় মুখ।


------^^^****¬*^^^------



ভূমিকা (অবতরণিকা)


অত্যন্ত ব্যথাভরা মন নিয়ে অজয় নদীর কাব্য (ষষ্ঠ পর্ব) প্রকাশিত হল নব কলেবরে। অজয় নদীর গতির ধারা কবিতাটির রচয়িতা বাংলা কবিতা আসরের স্বনামধন্য কবি সঞ্জয় কর্মকার। বাকি সবগুলিই কবির লেখা। আপনাদের সহৃদয় মন্তব্য আমার চলার পথের প্রেরণা।


পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে অজয় নদী হল একটি বন্যাসঙ্কুল নদী যা গঙ্গার অন্যতম প্রধান শাখা ভাগীরথী হুগলির উপনদী। মুঙ্গের জেলায় একটি ৩০০ মিটার উচু পাহাড় থেকে উৎসারিত হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে প্রবাহী অজয় ঝাড়খণ্ডের উপর দিয়ে বয়ে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চিত্তরঞ্জনের নিকট শিমজুড়িতে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করেছে এবং বর্ধমান ও বীরভূম জেলার প্রাকৃতিক সীমানা হিসাবে পূর্বে প্রবাহিত হয়ে বর্ধমানের কাটোয়া সাবডিভিসনের কেতুগ্রাম থানা অঞ্চলে বর্ধমানে প্রবেশ করে কাটোয়া শহরের কাছে ভাগীরথীর সংগে মিলিত হয়েছে।
অজয় মোট দৈর্ঘ্য ২৮৮ কিলোমিটার যার মধ্যে শেষ ১৫২ কিমি পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত।


অজয়ের প্রধান উপনদীগুলি হল ঝাড়খণ্ডের পাথরো ও জয়ন্তী এবং বর্ধমানের তুমুনি ও কুনুর। অজয়ের ধারা শুরু থেকে অনেকদুর অবধি ল্যাটেরাইট মাটির উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বর্ধমানের আশুগ্রামে এসে শেষ পর্যন্ত পাললিক অববাহিকায় প্রবেশ করে। অজয়ের উপত্যকায়  ঘন জঙ্গল ছিল। বর্তমানে আজ আর তা নিঃশেষ হয়ে গেছে।


আর এইভাবে অজয়ের অবিরাম জলধারা কালের স্রোতে তৈরি করে রেখেছে বহু পুরানো কালের ইতিকথা। অজয়ের নিবিড় ভালবাসায় সিক্ত হয়ে লেখা হল অজয়নদীর কাব্য। সকলের একনিষ্ঠ সহযোগিতা আর শুভ আশীর্বাদ মাথায় রেখে প্রকাশ করলাম অজয়নদীর কাব্য ষষ্ঠ পর্ব। অজয় নদী কাব্যের কবিতাগুলি সকলের ভালো লাগলে আমার পরিশ্রম সার্থক হবে।  
                                                                                                                                                 বিনীত কবি।


তারিখ            26শে জুন, 2018
স্থান                নতুন দিল্লি।      


            


সূচীপত্র


1. অজয়ের নদীচরে
2. গাঁয়ে আছে ছোট নদী
3. নদীজল সুশীতল
4. বয়ে চলে অজয়ের ধারা
5. আমার গাঁয়ে নদীর ধারে
6. অজয় নদীর কবিতা
7. নদীর গান (লোককবিতা ও গান)
                                                                
------^^^****¬*^^^------


অজয়ের নদীচরে
                   - লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


অজয়ের নদীচরে সোনা রোদ হাসে,
খেয়াঘাটে তরীখানি নদীজলে ভাসে।
এগাঁয়ের সোনামাঝি বৈঠা বেয়ে যায়,
শক্ত করে ধরে হাল ভাটিয়ালি গায়।


সোনারোদে চিকচিক করে বালিয়াড়ি,
দুই কূলে উঁচু গ্রাম নীচু তার পাড়ি।
নদীপাড়ে গাছে গাছে পাখি গীত গায়,
নীল আকাশের গায় চিল উড়ে যায়।


নদীঘাটে ছেলেমেয়ে কোলাহল করে,
বধূরা নাইতে আসে রাঙাশাড়ি পরে।
কলসীতে জল ভরি, কেহ ঘরে যায়,
সাদা বক নদী বাঁকে মাছ ধরে খায়।


বেলা বাড়ে ধীরে ধীরে সূর্য অস্তাচলে,
পশ্চিমেতে লাল হয়ে শেষে পড়ে ঢলে।
দিবসের শেষে হেরি আলোক লুকায়,
চাঁদ ওঠে তারা ফোটে আকাশের গায়।


------^^^****¬*^^^------


গাঁয়ে আছে ছোট নদী
                   - লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


গাঁয়ে আছে ছোট নদী নামটি অজয়,
গাছে গাছে ডাকে পাখি সমীরণ বয়।
সকালে সোনার রবি উঠিল যখন,
নদীতটে আসে ছুটে যত যাত্রীগণ।


গাঁয়ের মাঝিরা সব নৌকা আনে ঘাটে,
সারাদিন খেয়া বায় সেথা দিন কাটে।
সাঁঝের সময় হলে আসে ফিরে ঘরে,
নৌকাখানি রাখে বেঁধে অজয়ের চরে।


অজয়ের নদী ঘাটে দিবা অবসানে,
সাঁঝের সানাই বাজে সুমধুর তানে।
বাসায় বাসায় ফেরে সব পাখিগণ,
পাখিদের কলতানে ভরে উঠে মন।


আমাদের ছোট গাঁয়ে অজয়ের চরে,
চাঁদের জোছনারাশি নদীজলে ঝরে।


------^^^****¬*^^^------


নদীজল সুশীতল
               - লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


নদীজল সুশীতল মাঝি নৌকা বায়,
বৈঠা ধরে মাঝিভাই ভাটিয়ালী গায়।
অজয়ের নদীচরে সোনা রোদ ঝরে,
গাছে গাছে পাখি সব কলরব করে।


বধূরা নাইতে আসে অজয়ের জলে,
কলসীতে জল নিয়ে রাঙাপথে চলে।
শাল পিয়ালের বন, নদী থেকে দূরে,
মাদলের তালে বাঁশি বাজে মিঠাসুরে।


নদীচরে আসে উড়ে শালিকের ঝাঁক,
সারাদিন কিচিমিচি করে হাঁক ডাক।
ধবল বলাকা আসে, বসে নদী ঘাটে,
নদীতটে পড়ে বেলা সূর্য বসে পাটে।


সাঁঝের আঁধার নামে নদী কিনারায়,
পরে দেখি চাঁদ উঠে আকাশের গায়।
কল কল নদী জল বয় সারা রাত,
পূবে রবি দেয় উঁকি হয় সুপ্রভাত।


------^^^****¬*^^^------


বয়ে চলে অজয়ের ধারা
                     - লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


কল কল বয়ে চলে অজয়ের ধারা,
আপনবেগেতে ধায় পাগলের পারা।
দুইপারে দুই গ্রামে ছোট ছোট গাছে,
প্রভাতে পাখিরা সব গাহে আর নাচে।


অজয় নদীর বাঁকে এক হাঁটু জল,
অবিরল বহে জল নাচে ছল ছল।
তরীখানি আছে বাঁধা অজয়ের চরে
সাদাবক চরে বসে ছোটমাছ ধরে।


সুশীতল নদীতটে বহে সমীরণ,
হাঁটুজলে পার হয় সব যাত্রীগণ।
শালিকের দল হেথা চরে বসে থাকে,
ওপারে কাশের বন অজয়ের বাঁকে।


অজয়ের নদীজল বহে অবিরাম,
অজয়ের দুইপারে ছোট দুইগ্রাম।


------^^^****¬*^^^------


আমার গাঁয়ে নদীর ধারে
                     - লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


আমার গাঁয়ে নদীর ধারে
রাঙা মাটির পথে,
ক্যাঁচর ক্যাঁচর গোরুর গাড়ি
চলে সকাল হতে।


সবুজ গাছে পাখির গানে
ভরে নয়ন মন,
গাছের ছায়া মাটির ঘরে
শান্তির নিকেতন।


অজয় নদীর ঘাটের কাছে
স্বচ্ছ নদীর জল,
সকাল হতে দূর গাঁ থেকে
আসে পথিকদল।


হাঁটুজলে পার হয়ে যায়
গোরু বাছুর গাড়ি,
নদীর ধারে কাশের বনে
সাদা বকের সারি।


নদীর চরে শেওলা জমে
কালো নদীর জল,
শামুক গুগলি ধরে খায়
বুনো হাঁসের দল।


নদীর বাঁকে আমের শাখে
কোকিল ডাকে শুধু,
মাটির কলসী কাঁখে নিয়ে
আসে গাঁয়ের বধূ।


সন্ধ্যা বেলায় আলো লুকায়
স্নিগ্ধ নদীর চরে,
জোছনা রাতে চাঁদের আলো
নদীর জলে ঝরে।


------^^^****¬*^^^------


অজয় নদীর কবিতা
           - লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


ঐ যে দূরে, আমার গাঁয়ের শেষে, ছোট নদী বয়,
কেউবা বলে অজয় নদী, কেউ অজয় নদ কয়।
অজয় নদীর দুধারেতে দেখি সরু বালির চর,
নীল আকাশে, বক উড়ে যায়, পাখায় করি ভর।


নদীর কাছে, বটের গাছে, উড়ে আসে কাক,
দূরে কোথায়, শুনতে পাই, শঙ্খচিলের ডাক।
অজয় নদীর ওপারে বীরভূমে কেন্দুবিল্ব গ্রাম,
কবি জয়দেবের জন্মভূমি ও পূণ্য তীর্থস্থান।


পৌষ মাসে, নদীর ঘাটে, বসে জয়দেবের মেলা,
নদীর জলে মকর স্নান, সেই ভোরের সকাল বেলা।
নদীর ধারে, পাহাড়ের গায়ে, সবুজ গাছের বন,
ভোরের বেলায় কোকিল ডাকে, ভরে ওঠে মন।


নদীর তীরে মেলা বসে, বাউল গানের আখড়া,
বাউলের উত্সবে মাতে, গাঁয়ের প্রতিটি পাড়া।


------^^^****¬*^^^------


নদীর গান (লোককবিতা ও গান)
              - লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


নদীরে... ...ওরে ও নদী রে!
কেন রে তুই আপন মনে,
ভেসে চলিস স্রোতের টানে?
(ও তোর) জলের ধারা প্রবলবেগে ছুটে সাগর পানে।


গ্রীষ্মে জল থাকে না, নদী শীর্ণকায়,
মানুষজন হাঁটুজলে, পার হয়ে যায়।


কেন রে তুই আপন মনে,
ভেসে চলিস স্রোতের টানে?
(ও তোর) জলের ধারা প্রবলবেগে ছুটে সাগর পানে।


বর্ষায় আসে জোয়ার, উথাল পাথাল পানি,
মাঝ দরিয়ায় উঠলে তুফান, ডুববে তরীখানি।


কেন রে তুই আপন মনে,
ভেসে চলিস স্রোতের টানে?
(ও তোর) জলের ধারা প্রবলবেগে ছুটে সাগর পানে।
  নদীরে... ...ওরে ও নদী রে!


শরতের সোনালী রোদ, পড়ে নদীর কূলে,
দুই ধারে কাশের বন, ভরা কাশফুলে।


কেন রে তুই আপন মনে,
ভেসে চলিস স্রোতের টানে?
(ও তোর) জলের ধারা প্রবলবেগে ছুটে সাগর পানে।
নদীরে... ...ওরে ও নদী রে!


হেমন্তে নদীর কুলে হিমেল হাওয়া বয়,
নদীর জলে রাতের জোছনা শীতল হয়ে রয়।


কেন রে তুই আপন মনে,
ভেসে চলিস স্রোতের টানে?
(ও তোর) জলের ধারা প্রবলবেগে ছুটে সাগর পানে।
নদীরে... ...ওরে ও নদী রে!


পৌষমাসের শেষে মেলা, বসে নদীর কূলে
সংক্রান্তিতে মকরস্নান, শীতের সকালে।


কেন রে তুই আপন মনে,
ভেসে চলিস স্রোতের টানে?
(ও তোর) জলের ধারা প্রবলবেগে ছুটে সাগর পানে।
নদীরে... ...ওরে ও নদী রে!


বসন্তে বনে ফুল ফোটে, মনে রং ধরে।
একা নদী বসে কাঁদে, নদীর বালুচরে।


কেন রে তুই আপন মনে,
ভেসে চলিস স্রোতের টানে?
(ও তোর) জলের ধারা প্রবলবেগে ছুটে সাগর পানে।
নদীরে... ...ওরে ও নদী রে!


যাদের লেখা ও মন্তব্যে অনুপ্রেরণা পেয়েছি তাদের মন্তব্যগুলি সরাসরি এখানে প্রকাশ করা হল। মতামতের জন্য কবি কোনমতেই দায়ী নয় এবং সেক্ষেত্রে মহামান্য এডমিনের সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
সহৃদয় পাঠক ও প্রিয়কবির কোন মন্তব্য বাংলা কবিতা আসরের মর্যাদা হানিকর হিসাবে বিবেচিত হয় সেই পরিস্থিতিতে সেই মন্তব্য প্রকাশ করা হলেও কর্তৃপক্ষের আদেশানুসারে তা অবশ্যই মুছে দেওয়া হবে।
---------------------------------------------------------------
রীনা বিশ্বাস হাসি  লিখেছেন:
অজয় নদীর কবিকে সুন্দর কবিতার জন্য
অনেক ভালোলাগা আর ধন্যবাদ জানাই।


আমি আজ থেকে আপনাকে ''অজয় নদীর কবি'' উপাধি দিলাম।
অনেক প্রীতি আর শ্রদ্ধা রইল প্রিয় কবি-দাদার প্রতি।
---------------------------------------------


শ ম শহীদ লিখেছেন:
আহা কতো সুন্দর কাব্য...কতো সুন্দর বর্ণনা!
--------------
শঙ্কর সেহানবীশ লিখেছেন:
খুব সুন্দর ছন্দ ।ভালো লাগলো ।
-----------------------
গোপাল চন্দ্র সরকার লিখেছেন:
অপূর্ব ছন্দময়, প্রকৃতির রূপ অপরূপে কাব্যে প্রকাশ !
মধুর কাব্যে মুগ্ধ ! অশেষ শুভেচ্ছা জানাই প্রিয়কবি ।
-------------------------
রিঙ্কু রায় (আবৃত্তিকার) লিখেছেন:
অসাধারণ ছন্দ...
---------------------------
ডাঃ প্রদীপ কুমার রায় লিখেছেন:


ছন্দে ছন্দে মনের আনন্দে
গাহেন প্রকৃতির গান,
প্রকৃতির কবি ভাণ্ডারী কবি
জানাই স্যালুট-সম্মান।


লিখে যান প্রতিদিন এমন সুন্দর কবিতা,মন ভরে উঠুক আনন্দে।ভালো থাকুন প্রিয় কবি,জানাই ভালোবাসা শ্রদ্ধাবনত চিত্তে।
--------------------------------------
মোজাহারুল ইসলাম চপল (প্রসূন কবি) লিখেছেন:
মনোহর ছন্দমাদকতায় পল্লিবাংলা র রূপ দেখলাম শুভেচ্ছা কবিবর
---------------------------
মোঃ জাহিদ হাসান লিখেছেন:
অজয়ের গায়ে প্রকৃতির ছায়ে কাব্য পাঠে মুগ্ধ হলাম।
ধন্যবাদ প্রিয় কবিবন্ধু।
শুভেচ্ছা রইল আলোকিত আগামী প্রভাতের।
---------------------
আবু কওছর লিখেছেন:
অজয় নদীর রূপ সৌন্দর্যে কবি মশগুল!
তাইতো এত চমৎকার ছন্দের কাব্য। নদী প্রেমের সার্থক পরিবেশনা।
শুভকামনা প্রিয় কবিবর।
---------------
শাহিন আলম সরকার লিখেছেন:
দারুণ লেখা।
শুভেচ্ছা ও ভালবাসা রইল।
ভাল থাকুন প্রিয় কবি বন্ধু।
--------------------
পারমিতা (অনুরাধা) লিখে্ছেন:
চমৎকার!
শুভেচ্ছা অশেষ!
------------------
সঞ্জয় কর্মকার লিখেছেন:
অপূর্ব সুন্দর লিখেছেন প্রিয় কবি।
মহাধাম সুখ নীড় অজয়ের জলোধারা,
কলো কলো উছলেতে টুপ টুপ
বারিধারা।
ঝুপ ঝুপ পরে জলে উদ্বেলে ছিঁটে জল,
হারু নিধি রাম গুপি জলোকেলি
কোলাহল।
অশান্ত সমীরণে উঁচু নিচু ঢেউগুলি,
জল স্ফিত ফুলে ওঠে-মাঝি গেয়ে
ওঠে কলি।
ত্রস্তেতে বঁধুগুলি তাড়াতাড়ি ঘরে ছুটে,
হাত ধরা মাথা উঁচু-দুই হাত
আঁচলেতে।
নিরু কাকা নৃত্যেতে বারিধারা ভিজে চলে,
রাম শ্যাম যদু মধু-তারি পিছে পিছে
চলে।
কাশ বনে ঢেউ ওঠে তরঙ্গে রাশি মেলা,
অজয়ের জলে মেতে-শিশুগুলি
করে খেলা।
ঝর ঝর ঝর ঝর অঝোরেতে বারি ঝরে,
কর কর কর কর হুঙ্কারে
বাজ পরে।
মাতা সবে ছাতা হাতে নদীপারে রব দেয়,
ফিরে চল ঘরে সবে-আকাশটা
ভাল নয়।
যদু কথা শুনে নাই তাই মাতা লাঠি হাতে,
মারে তারে ঠুস ঠাস-পথ দিয়ে
যেতে যেতে।
শুনশান হয়ে গেল অজয়ের পার ঘাট,
চলো যাই ঘরে ফিরি-কলমটা
তোলা থাক।
সকাল থেকে নেটে লাইন নাই তাই কিছুক্ষণ আগে ভিড়ে ঠাসা এক কাফেতে বসে লিখছি। আন্তরিক শুভকামনা রইল।
------------------------
রনজিত মাইতি লিখেছেন:
কোনও কথা হবেনা না।সুন্দর ও সুখপাঠ্য কবিতা ।শুভেচ্ছা জানবেন।
------------------
শরীফ জাকের লিখেছেন:
অসাধারণ চিত্রায়ন। ঈদের শুভেচ্ছা রইলো...
-------------------
মনোজ ভৌমিক (দুর্নিবার কবি) লিখেছেন:
প্রকৃতির এই নিরাভরণ রূপ আর দেখি নাই এ আসরে।সুন্দর প্রকাশ কবিবর।জয়গুরু!!!
খুবই সুন্দর রঙ তুলিতে অজয় তীরের গ্রামের চিত্রায়ন।শুভকামনা নিরন্তর কবিবর।জয়গুরু!!!
--------------------------
তাপস গুহঠাকুরতা লিখেছেন:
দারুণ ছন্দময়।
-----------------------
সবশেষে আমার মন্তব্য :
বাংলা কবিতা আসরের সকল প্রিয়কবি ও সকল মন্তব্যকারীদের আমার আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাই। শুভকামনা রইল নিরন্তর, অবিরাম ও সতত।
আগামী পর্বে আরও অনেক মন্তব্য প্রকাশ করার আশা রাখি।
সাথে থাকুন, পাশে রাখুন।
জয়গুরু! জয়গুরু! জয়গুরু!