অজয় নদীর কাব্য
দশম পর্ব।
——–:)(:———
প্রথম প্রকাশ- 25শে জানুয়ারী, 2018
দ্বিতীয় প্রকাশ- 25শে ফেব্রুয়ারী, 2018
তৃতীয় প্রকাশ- 25শে মার্চ, 2018
চতুর্থ প্রকাশ-17ই মে, 2018
পঞ্চম প্রকাশ- 2রা জুন, 2018
ষষ্ঠ প্রকাশ- 26শে জুন,2018
সপ্তম প্রকাশ- 2রা সেপ্টেম্বর, 2018
অষ্টম প্রকাশ- 30শে অক্টোবর, 2018
নবম প্রকাশ- 15ই নভেম্বর, 2018
দশম প্রকাশ- 9ই ডিসেম্বর, 2018
——–:)(:———
ভূমিকা
অজেয় অজয়। নেই কোন পরাজয়। অজয় নদীর ধারা অবিরাম অবিচ্ছিন্ন গতিতে বয়ে চলে। সাঁঝের আঁধার নামে গাঁয়ে। দূরের গ্রামে গ্রামে জ্বলে ওঠে প্রদীপ। সানাই শব্দের সাথে মিলে মিশে একাকার হয়ে যায় পবিত্র শঙ্খধ্বনি। এই পূণ্য শুভক্ষণে কবিতার আসর কাব্যমেলার পক্ষ থেকে অজয় নদীর কাব্য – দশম পর্ব প্রকাশ দিলাম। এতে রয়েছে আমার কবিতাগুচ্ছ। তার মধ্যে বেশির ভাগই অজয় নদীকে ঘিরে। কবিতাগুলি সবার ভালো লাগলে আমার শ্রম সার্থক হবে। এই প্রত্যাশা নিয়ে আমার কলম শেষ করছি। আপনাদের সহযোগিতা ও সুপরামর্শ দান আমার চলার পথের পাথেয় হোক।
সকল কবি ও লেখকগণকে আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাই।
সাথে থাকুন, পাশে রাখুন।
জয়গুরু জয়গুরু।
বিনীত কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
নারায়না বিহার, নতুন দিল্লী-১১০০২৮
——–:)(:———
সূচীপত্র:
১ আমার গাঁয়ে আছে ছায়া
২ অজয় নদীর মাঝি
৩ বাংলার গান বাঙালির আশা
৪ নামল আঁধার গাঁয়ে
৫ গাঁয়ের অজয় নদী
——–:)(:———
আমার গাঁয়ে আছে ছায়া
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
গাঁয়ে আছে ছায়া স্নেহ আর মায়া
আর আছে ছোট ঘর,
গায়ের মানুষ সবাই আপন
কেহ নহে মোর পর।
গাঁয়ের রাখাল লয়ে ধেনু পাল
বাঁশের বাঁশি বাজায়,
আকাশের গায় সাদা বক ধায়
গাছে গাছে পাখি গায়।
রাঙামাটি পথে আসে দূর হতে
শ্রান্ত পথিকের দল,
মাটির সরানে এ গাঁয়ের বামে
উড়ে ধূলো অবিরল।
কাজলা দিঘির ঘোলা কালো জলে
মরাল মরালী ভাসে,
জাল কাঁধে নিয়ে সেই পথ দিয়ে
গাঁয়ের জেলেরা আসে।
অজয়ের বাঁকে আসে ঝাঁকেঝাঁকে
বন শালিকের দল,
কলসীতে ভরে নিয়ে যায় জল
গাঁয়ের বধূ সকল।
দিবসের শেষে বেলা পড়ে আসে
অন্ধকার নামে গাঁয়ে,
জোনাকিরা জ্বলে বটগাছ তলে
সুশীতল তরুছায়ে।
সাঁঝের সানাই বেজে ওঠে দূরে
দেবীর আরতি হয়,
অজয়ের চরে জোছনার রাশি
হাসি হাসি কথা কয়।
——–:)(:———
অজয় নদীর মাঝি
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
ওরে ও ….. অজয় নদীর মাঝি রে……..
ও মাঝি ভাই……..
পাল তুলে দে ওরে মাঝি
ওরে ও মাঝি ভাই,
যাবো আমি ওপারেতে
সময় বয়ে যায়।
অজয় নদীর বালিচরে সোনা ঝরা রোদ হাসে
শঙ্খচিলে ডাক দিয়ে যায় নীল আকাশে ভাসে
নদীর জলে ভাসিয়ে তরী
মাঝি আপন মনে গায়।
ওরে ও ….. অজয় নদীর মাঝি রে……..
ও মাঝি ভাই……..
পাল তুলে দে ওরে মাঝি
ওরে ও মাঝি ভাই,
যাবো আমি ওপারেতে
সময় বয়ে যায়।
দিনের শেষে বেলা পড়ে অজয় নদীর ঘাটে,
সোনার আলোয় ভাসে নদী সূর্য বসে পাটে।
নদীর কূলে নাইরে কেহ
মাঝি আপন ঘরে যায়।
ওরে ও ….. অজয় নদীর মাঝি রে……..
ও মাঝি ভাই……..
পাল তুলে দে ওরে মাঝি
ওরে ও মাঝি ভাই,
যাবো আমি ওপারেতে
সময় বয়ে যায়।
জীবন মাঝে ঢেউএর খেলা জীবন নদে ভাসে তরী,
ভাসিয়ে তরী নদীর জলে পার করে ভবের কাণ্ডারী।
অজয় নদীর কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
লিখে তার গানের কবিতায়।
ওরে ও ….. অজয় নদীর মাঝি রে……..
ও মাঝি ভাই……..
পাল তুলে দে ওরে মাঝি
ওরে ও মাঝি ভাই,
যাবো আমি ওপারেতে
সময় বয়ে যায়।
ওরে ও ….. অজয় নদীর মাঝি রে……..
ও মাঝি ভাই……..
——–:)(:———
বাংলার গান বাঙালির আশা
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
বাংলার গান বাঙালির আশা
আমি বাংলায় গান গাই,
বাংলা আমার হৃদয়ের গান
যেথায় বাংলার সুর পাই।
বাংলা আমার একতারা ভাই
বাংলা আমার স্নেহের পরশ,
বাংলার বাউল যেথায় মিলে
বাংলার তাই এত নাম যশ।
বাংলা আমার প্রাণের ভাষা
লিখি কবিতা তাই বাংলায়,
বাংলার নদী বাংলার জলে
গান গেয়ে মাঝি তরী বায়।
বাংলায় শুনি কোকিলের গান
বাংলায় দেখি পাখিরা নাচে,
বাংলার পথে বাজায় বাঁশি
গাঁয়ের রাখাল বনের কাছে।
শাল পিয়ালের বনের ধারে
দোয়েল শালিক ঝগড়া করে,
বাংলার মাটি যে সুখের স্বর্গ
মাটির পরশ বাংলার ঘরে।
বাংলা আমার জন্মভূমি তাই
সোনার বাংলা আমার দেশ,
বাংলায় যেন মরতে পারি
হাসিমুখে সহি সকল ক্লেশ।
——–:)(:———
নামল আঁধার গাঁয়ে
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
সাঁঝ আকাশে উঠল তারা
নামল আঁধার গাঁয়ে,
বাঁশের বনে আঁধার ঘনায়
কাজলা দিঘির বাঁয়ে।
মন্দিরে বাজে কাঁসর ঘণ্টা
সাঁঝের সানাই বাজে,
তুলসী তলে প্রদীপ জলে
মাটির আঙিনা মাঝে।
পথের ধারে আঁধার নামে
আকাশে তারারা জ্বলে,
আঁধার নামে নির্জন ঘাটে
অজয় নদীর জলে।
দূরের গ্রামে জ্বলিল দীপ
শেয়ালের দল হাঁকে,
নদীর চরে জোছনা হাসে
অজয় নদীর বাঁকে।
ঘুমিয়ে পড়ে কিষাণ পাড়া
রাত্তির গভীর হয়,
নিশুতি রাতে অজয় নদী
আপন বেগেতে বয়।
——–:)(:———
গাঁয়ের অজয় নদী
– লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
গাঁয়ের অজয় নদী এঁকে বেঁকে চলে,
পাল তুলে ভাসে তরী অজয়ের জলে।
নদীঘাটে বিপিনের চায়ের দোকান,
সিঙ্গারা আলুর চপ, আর পাবে পান।
পূবেতে উঠিল রবি সোনার বরণ,
নদীঘাটে দলে দলে আসে যাত্রীগণ।
পথছাড়ি গোরুগাড়ি নদীঘাটে থামে,
ঘোমটায় মুখ ঢাকি নব-বধূ নামে।
বধূরা সকাল হলে আসে জল নিতে,
নদীকূল ভরে ওঠে পাখিদের গীতে।
নদীতীরে সুশীতল বহিছে সমীর,
বেলা হলে নদীঘাটে জমে ওঠে ভিড়।
ধীরে ধীরে বাড়ে বেলা দিবসের শেষে,
সাঁঝের সানাই বাজে আসে সুর ভেসে।
——–:)(:———
আমি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী বলছি
আমার নাম লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী,
আমার দেশ ভারত
আমার রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ
আমার জেলা পশ্চিম বর্ধমান
আমার মহকুমা আসানসোল
আমার ব্লক ও থানা জামুড়িয়া
আমার অঞ্চল ও ডাক হিজলগড়া
আমার গ্রাম পাথরচুড়
বর্তমান অবস্থান নারায়না বিহার- নতুন দিল্লি
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারীর উল্লেখযোগ্য তথ্যসমূহ:
আমি একজন বাঙালি। আমি বাঙালি হয়ে গর্বিত।আমি পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা।আমি একজন ভারতীয়।আমি একজন হিন্দু সনাতন ধর্মে বিশ্বাসী
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী বিশ্বাস করেন
বিজ্ঞান চিরন্তন:
আমি প্রকৃতিপ্রেমী এবং মনে করি একে মানুষের ক্রিয়াকলাপ থেকে রক্ষা করতে হবে।আমি বাংলার সংস্কৃতিকে শ্রদ্ধা ও অনুকরণ করি।আমি মুক্ত জ্ঞানে বিশ্বাসী ও একজন স্বভাবধর্মী কবি। আমি বাংলা, ওড়িয়া, অসমীয়া, হিন্দি, মারাঠি, গুজরাটি, পাঞ্জাবী মোটামুটিভাবেলিখতে, পড়তে ও বলতে পারি।
সাথে থাকুন, পাশে রাখুন। দেশ ও জাতির সেবায় সকলে এগিয়ে আসুন।
আসুন, বর্তমান নতুন ভারতবর্ষকে পরিবেশ দূষণ থেকে মুক্ত করি।
জয়গুরু! জয়গুরু! জয়গুরু!