অজয় নদীর কাব্য
সপ্তম পর্ব
-----   -----


প্রথম প্রকাশ- 25শে জানুয়ারী, 2018
দ্বিতীয় প্রকাশ- 25শে ফেব্রুয়ারী, 2018
তৃতীয় প্রকাশ- 25শে মার্চ, 2018
চতুর্থ প্রকাশ-17ই মে, 2018
পঞ্চম প্রকাশ- 2রা জুন, 2018
ষষ্ঠ প্রকাশ- 26শে জুন,2018
সপ্তম প্রকাশ- 2রা সেপ্টেম্বর, 2018



                            -----
                                ভূমিকা
                                    -----


অজয় নদী বীরভূম জেলার সবচেয়ে বড় নদী। এই নদী বীরভূমের দক্ষিণাংশে প্রবাহিত হয়ে এই জেলাকে বর্ধমান থেকে বিভক্ত করেছে। প্রাচীনকালে এই নদী দিয়ে মাল বোঝাই ছোট বড়ো বহু নৌকা বীরভূমে ব্যবসা করতে আসত। এই নদী দিয়ে পর্তুগীজ সহ অন্যান্য জলদস্যুরা এদেশে এসেছিল।


বর্ধমান ও বীরভূম জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে এই নদী কাটোয়ায় ভাগীরথীতে মিশেছে। বর্ষাকালে নদীতে প্লাবন দেখা দেয়। নদী ফুলে ওঠে, দুকূল ছাপিয়ে বানের জল ঢুকে পড়ে গাঁয়ে। ঘরবাড়ি ধ্বসে পড়ে। তবুই এই নদীর তীরে মকর-সংক্রান্তিতে মেলা বসে। প্রাচীনকাল থেকেই আনন্দ ও দুঃখের মহা মিলনক্ষেত্র এই নদীর কিনারায় গড়ে উঠেছে।


প্রতিবারের মতো এবারের সংখ্যায় কিছু অন্যান্য কবিদেরও মন্তব্য সংযোজিত হয়েছে। কবিগণের উদ্ধৃতির সাথে কবিতাগুলিকে পরিবর্ধন ও পরিমার্জন করা হয়েছে। আশা করি কবিগণ এতে মনঃক্ষুন্ন হবেন না।


এই সংস্করণে প্রকাশিত কবিতাগুলি পাঠক ও কবিগণের চিত্ত জয় করতে পারবে কিনা জানি না তবে আমার কবিতাগুলিকে কবিগণ ও সহৃদয় পাঠকের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। সুধীজনের অকুণ্ঠ সহযোগিতায় আমার এই প্রয়াস সফল হয়ে উঠুক এই প্রত্যাশা রাখি।


                                                          বিনীত কবি।
স্থান: নতুন দিল্লি
তারিখ: 2রা সেপ্টেম্বর, 2018


          -----
              সূচীপত্র
                   -----


1. আষাঢ়ে আজ বৃষ্টি ঝরে
2. গাঁয়ের পাশে অজয় নদী
3. অবিরাম জল ঝরে
4. বেলা যে পড়ে এলো
5. প্রভাতে নদীঘাটে
6. নদীকূলে দুইধারে
7. অজয়ের নদীকূলে
8.     অজয়ের নদীঘাটে


-----------
আষাঢ়ে আজ বৃষ্টি ঝরে
              - লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
                          -----------


আষাঢ়ে আজ বৃষ্টি ঝরে অজয়ে এল বান,
নদীর কূলে মাল্লারা সব ধরেছে আজ গান।
          বৃষ্টি ঝরিছে আজি রিমি ঝিমি,
          কালোমেঘের বুকে সৌদামিনি
          উজলিল আলোক একটু-খানি
                        আকুল করে পরাণ,
অজয়ের ঘোলা জলে ভাসিছে গোটা গ্রাম;
আষাঢ়ে আজ বৃষ্টি ঝরে অজয়ে এল বান।


কালো মেঘে আকাশ ঢাকা মেঘের গর্জন
ঝম ঝমা ঝম বৃষ্টি ঝরে প্রবল বরিষণ।
          বাউল বাতাস ছিঁড়েছে পাল,
          শক্ত হাতে ধরে মাঝি হাল,
          নেমেছে বৃষ্টি সকাল সকাল
                         বায়ু বহে শন্ শন্ ।
কালো মেঘ এসে অবশেষে ঢেকে দিল গগন;
ঝরিছে বাদল যেয়ো নাকো বাহিরেতে এখন।


মুষলধারায় ঝরিছে বৃষ্টি থামে না বাদল আজ,
কড়কড় রবে কোথায় যেন পড়িল ভীষণ বাজ।
           নদীর কূলে নাইকো কেউ
           জোয়ার বানে প্রবল ঢেউ,
           আজি প্রবল বর্ষণ দিনেও
                           বান ডেকেছে নদীমাঝ।
যায়নি খেতে চাষীরা, আছে পড়ে খেতের কাজ;
দূরের আকাশে চেয়ে দেখি কালো মেঘের সাজ।


ঐ শোনো, শোনো ওপারেতে নামিল বৃষ্টি জোরে,
সূর্য আজিকে যায়নিকো দেখা সারাটি দিন ধরে।
          অজয় নদে বান এসেছে,
          নদীর দুই কূল ভেঙেছে,
          গাঁয়ের পথে জল জমেছে
                       বাহিরে যাই কেমন করে?
বাহিরে বৃষ্টি অঝোর ধারায় দরদর ধারায় ঝরে,
অফিস কামাই আছি বসে বাতায়ন পাশে ঘরে।


-----------
গাঁয়ের পাশে অজয় নদী
                 -লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
                         -----------


গাঁয়ের পাশে অজয় নদী বইছে চিরকাল,
শাওন মাসে বান ডেকেছে উথাল পাথাল।
ঝমা ঝম বৃষ্টি পড়ে মাঝিরা নাইকো ঘাটে,
পথেঘাটে জল জমেছে জল জমেছে মাঠে।


আকাশ হতে বৃষ্টি নামে অঝোরধারায় ঝরে,
কালো করে মেঘ করেছে মেঘ গর্জন করে।
আকাশপারে বিজলি হাসে নদী ওঠে ফুলে,
মড়মড় করে গাছটি ভেঙে পড়ে নদীর কূলে।


শাওন মাসের বাদলা দিনে রাঙা মাটির পথে,
জল কাদায় পথ চলা দায় হাঁটছে কোন মতে।
বাঁশের ছাতা মাথায় নিয়ে চলছে কৃষক ঘরে,
রাখাল ছেলে ঘরে ফেরে, গাঁয়ের পথটি ধরে।


গাঁয়ের পাশে অজয় নদী কানায় কানায় বান,
শাওন মাসের বাদল ধারায় মেতে ওঠে প্রাণ।


-----------
অবিরাম জল ঝরে
                 -লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
                        -----------


অবিরাম জল ঝরে নাহিক বিরাম,
শ্রাবণে বাদল ধারা ঝরে অবিশ্রাম।
পথেঘাটে জলকাদা হয়েছে পিছল,
কালমেঘ গুরু গুরু ডাকে অবিরল।


বিজুলি হাসিছে হেরি আকাশের পারে,
ডাক ছাড়ে রাঙী গাই পুকুরের পাড়ে।
অবিরত জল ঝরে পথে জমে জল,
মাঠ হতে ঘরে ফেরে কৃষকের দল।


ওপারে বাদল নামে ঘাটে নাই মাঝি,
বন্ধ খেয়া নদীকূলে কেউ নাই আজি।
শ্রাবণ বাদল দিনে কূলে নাই কেউ,
অজয়েতে উঠে মেতে কূলভাঙা ঢেউ।


অবিরাম জল ঝরে অঝোর ধারায়,
শ্রাবণে জলধারায়, ধরা ভেসে যায়।


-----------
বেলা যে পড়ে এলো
                   -লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
                             -----------


বেলা যে পড়ে এলো, চল যাই মোরা নদীর ঘাটে,
দিনের সূর্য, লাল হয়ে এলো, বসবে এবার পাটে।
             নদীর ওপারেতে সুর্য ডোবে,
            ডূবে গেলে সূর্য, আঁধার হবে।
দিনের শেষে রাত্রি আসে, এই ভাবে দিন কাটে,
বেলা যে পড়ে এলো, চল যাই মোরা নদীর ঘাটে।


কলসী কাঁখে, গাঁয়ের বধূরা, জল নিতে আসে।
সরু মেঠো পথ ধরে, আম বাগানের পাশে।
            সূর্য্য ডোবে, আঁধার হয়,
           সাঁঝের সানাই কথা কয়,
পথের উপর গঙ্গা ফড়িং, বসে সবুজ ঘাসে।
কলসী কাঁখে, গাঁয়ের বধূরা, জল নিতে আসে।


গাঁয়ের রাখাল, নিয়ে গরুর পাল, ফিরিছে আপন ঘরে,
আসে গরুগুলো, উড়িয়ে লালধূলো, রাঙা রাস্তার পরে।
             সাঁঝ আকাশে উঠলো তারা,
             ঘুমোয় সারা কিষান পাড়া,
রাত কেটে শেষে ভোর হয়, ভোরের কুয়াশা যায় সরে।
নতুন প্রভাত, সুর্যের আলোয়, নতুন দিনের সূচনা করে।


-----------
প্রভাতে নদীঘাটে
           -লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
                    -----------


সকালে সোনার রবি নদীঘাটে ওঠে,
নদীকূলে দুইধারে কাশফুল ফোটে।
শরতের আকাশেতে সাদা মেঘ ভাসে,
নদীঘাটে বোঝা নিয়ে যাত্রীদল আসে।


আনমনে মাঝিভাই ভাটিয়ালি গায়,
মাল্লারা নৌকায় বসি মাদল বাজায়।
শাল পিয়ালের বনে বাঁশি সুর ভাসে,
দল বেঁধে শালিকেরা নদীচরে আসে।


ক্রমেক্রমে বেলা বাড়ে নদী কিনারায়,
বধূরা কলসি কাঁখে জল নিয়ে যায়।
কেহবা গামছা পরে দিতেছে সাঁতার,
কে পারে ওপারে যেতে সাধ্য আছে কার?


স্নান সেরে ঘরে ফেরে বধূরা যখন,
পিছে পিছে হাঁটে সব শিশুরা তখন।
বেলা যেই আসে পড়ে অজয়ের ঘাটে,
পাখিরা বাসায় ফেরে সূর্য বসে পাটে।


-----------
নদীকূলে দুইধারে
           -লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
                 -----------


নদী কূলে দুই ধারে ভরা কাশ ফুলে,
মাঝি আর মাল্লারা মাদলে সুর তুলে।
শাল পিয়ালের বনে মোরগেরা ডাকে,
শালিকের দল আসে অজয়ের বাঁকে।


গগনেতে সাদামেঘ চলে ভেসে ভেসে,
অজয়ের ঘাটে হেরি, রবি উঠে হেসে।
গাছে গাছে পাখি গাহে অজয়ের তীরে,
গগনে বলাকা সারি উড়ে ধীরে ধীরে।


যাত্রী দল নিয়ে তরী ঘাটে এসে থামে,
খেয়াঘাটে এলে তরী একে একে নামে।
নদীতে সাঁতার কাটে পাড়ার ছেলেরা,
জাল ফেলে মাছ ধরে পাড়ার জেলেরা।


বেলা পড়ে আসে যবে অজয়ের ঘাটে,
পশ্চিম দিগন্তে হেরি সূর্য বসে পাটে।


------------
অজয়ের নদীকূলে
           -লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
                     -------------


ভোর হলো রে ভোর হয়ে এল অজয় নদীর কূলে,
ভোরের হাওয়ায় পুলক জাগে কাশবনে ফুলে ফুলে।
ফুটেছে টগর, চন্দ্রমল্লিকা, শিউলির শাখে কলি ফুটে,
ভোরের আকাশ রক্তিম হয়ে অরুণ প্রভাত সূর্য উঠে।


ভোরের পাখিরা কিচিমিচি করে বসি গাহে তরু-শাখে,
শালিকের দল উড়ে আসে হেথায় অজয় নদীর বাঁকে।
মাঝি ও মাল্লারা মাদলের তালে খেয়াঘাটে গাহে গান।
বাঁশির সুরে মাদল বাজে সবাকার প্রাণ করে আনচান।


সোনাঝরা রোদ্দুর করিছে খেলা অজয় নদীর বালুচরে,
মায়ের আগমনী গীতি বাজে সবার পরাণ পাগল করে।
শারদ প্রভাতে অজয়ের ঘাটে কাশফুলে লাগে দোলা,
যাত্রী বোঝাই মাঝি দাঁড় বায়, তরী সাদাপাল তোলা।


ঘাটে এসে যবে ভিড়িল তরণী, তরুণী-বধূ আগে নামে,
রাঙা মাটি পথে গোরুর গাড়িখানি কিনারায় এসে থামে।


-----------
অজয়ের নদীঘাটে
                 -লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
                         -----------


অজয়ের নদীঘাটে জোছনার রাতে,
চাঁদতারা মিলেমিশে হাসে একসাথে।
প্লাবনের ঘোলাজলে জোছনার রাশি,
নদীজলে ঊর্মিমালা চলে ভাসি ভাসি।


নদীঘাটে নৌকা বাঁধা পেঁচা বসে থাকে,
শেয়ালেরা দেয় হাঁক অজয়ের বাঁকে।
ভাদ্র মাসে ভরা গাঙ প্লাবন সলিলে,
জোছনারা পড়ে ঝরে অজয়ের জলে।


দুইকূলে ভরা বান নদী উঠে ফুলে,
জোছনারা রাশি রাশি খেলে নদীজলে।
নদীঘাটে কেউ নাই গাছে গাছে ছায়া,
শ্মশানেতে নদীঘাটে জ্বলিতেছে কায়া।


চাঁদ তারা ডুবে যায়, জোছনা হারায়,
রাত কেটে ভোর হয় পাখি গীত গায়।



---------------------------------------------


অজয়নদীর কাব্য পাঠে পাঠক ও প্রিয়কবিগণের
মন্তব্য আমার এগিয়ে চলার প্রেরণা।
--------------------------------------


রীনা বিশ্বাস-হাসি (মৈত্রেয়ী কবি)
০৬/০৭/২০১৮, ২৩:৫৫ মি:


আষাঢ়ে আজ বাদল ভীষণ
অজয়ে এলো বান
এই সময়ই মনে পড়ে
ছেলেবেলার গান--


''ও বৃষ্টি থামনারে তুই
বাঁচা চাষির প্রাণ......''
আষাঢ়ে আজ বাদল নামে
নদীতে এল বান।


অতীব মনোহর কাব্যে মুগ্ধ হলাম
প্রিয় ''অজয়নদীর কবি'' !!
আলোকিত প্রত্যুষের শুভেচ্ছা আর শ্রদ্ধা
রেখে গেলাম.........


-----------------------------------------
মোঃ আব্দুল কাদের
০৬/০৭/২০১৮, ২০:২২ মি:


প্রিয় কবি দাদা,
অজয় নদীর কবি
বৃষ্টি দিনের কথা
লিখে গেলেন সবই।


সুন্দর ভাব,ভাষা,
সুর ছন্দে ও তালে,
লিখলেন কাব্য
দারুণ মায়া জালে।


পাঠে মনটা ভরে গেল।
আন্তরিক অভিনন্দন প্রিয়কবি।
পাতায় আমন্ত্রণ রইল।
ভাল থাকবেন কবি দাদা।
-------------------------------


আগুন নদী
২৭/০৮/২০১৮, ২২:১৩ মি:


অজয় নদীর সুদূর বাঁকে
কবির সুজলা গাঁও
আমার মন সেই ছবি আঁকে
বাইতে গয়না নাও।


--- শুভকামনা কবির জন্য --
----------------------------


দীপ্তি রায়
০৬/০৭/২০১৮, ১৪:১৫ মি:


জয়তু !
কবিবন্ধু ...


"ঝমঝম বৃষ্টি পড়ে অজয়ে এলো বান ,
ভেসে গেল নদীর কূল , ভাসে শোলের ধান ! "
খুব সুন্দর অজয়ের বান !
যেন নদীর গতি চোখের সামনে ভাসছে !
আষাঢ়ের বৃষ্টি এবারে চতুর্দিক প্লাবিত করছে !


কবিকে আন্তরিক শুভেচ্ছা , প্রীতি , ও শুভকামনা জানাই !
কবিকে পাতায় দেখার আশা করতে পারি ?


ভাল থাকুন !
সুস্থ থাকুন !
সঙ্গে থাকুন !
জয়গুরু ! জয়গুরু ! জয়গুরু !


------------------------------


মূলচাঁদ মাহাত
৩১/০৩/২০১৮, ২১:১৭ মি:


"অজয় নদীর বালুচরে
তপন নামে পাটে,
গোধূলি বেলার রশ্মিমালা
চিকচিক করে তটে।


সুখ দুখের কথা বলে
অজয় নদীর ধারা,
হাসি আনন্দ ব্যথা বেদনা
জীবন স্রোতের পারা।..."


অসংখ্য শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানালাম প্রিয় কবিবর।
-----------------------------------


সঞ্জয় কর্মকার
২৭/০৮/২০১৮, ২৩:৪৭ মি:


অপূর্ব সুন্দর লিখেছেন প্রিয় কবি।


নতুন প্রভাত নব্য রঙে রাঙিয়ে আবির জলে
রহিম চাচা ডিঙি লয়ে হল্লা সে বোল তোলে।
সাত সাঙ্গারা চ্যালা প্যালা ভীড় সে দারুন ভারী
নট নটবর লয়ে ডিঙায় দেয় সে নদী পাড়ি।


ঝুট ঝামেলা কথার ফেরে ডিঙি-রমরমে
হাত হাতারি হাতাহাতি সবাই থমথমে,
রহিম চাচা বৃদ্ধ অতি বুঝায় বাপু থামো
অনেক হ'লো এপার এলো, ডিঙি থেমে নামো।


নামানামি গতরঘানি বাপু অনেক মোটা
অতই সোজা নামতে পারা হোদল কুতের ব্যাটা,
সে গরিমা আর দিনেতে উপাখ্যানে ক'ব
আজ যে দিন খারাপ যাবে রহিম চাচা ডুবো।


সাত সকালে বাদ্যি সানাই অজয় কাঁদে রবে
এমন তরো আজ উঠালে যাত্রী তোমার ভবে!
মন কোরোনা রহিম চাচা খারাপ আজি থাক
করবে কী আর আজ মানুষে নাই যে রাখঢাক।


----------------------------


শ.ম. শহীদ
৩১/০৩/২০১৮, ২০:৪৪ মি:


‌‌দিনের পরে রাত, রাতের পরে দিন
এভাবেই ছুটে চলা প্রান্তের দিকে
পেছনে অযুত স্মৃতি, সর্ম্পকের ঋণ!
ক্রমশঃ সবই যেন হয়ে আসে ফিকে!
__________________
শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা লেখে গেলাম।।


আমার সুপ্রিয় কবিবন্ধুরা, আপনাদের অকৃপণ স্নেহের দাম দিতে হয়তো আমি কোন দিনও পারবো না।  আপনাদের সবার আশীর্বাদ মাথায় নিয়ে আমার চলার পথে এগিয়ে চলতে আপনারা সকলে আমার সাথে থাকুন, আমাকে পাশে রাখুন। বাংলার কবিতা আসরের সকল কবিগণকে জানাই আন্তরিক প্রীতি, শুভেচ্ছা আর অভিনন্দন। জয়গুরু! জয়গুরু! জয়গুরু!