অজয় নদীর কাব্য:
মন মুকুরে অজয় নদী
একটু দূরে বাস
পাল তুলে যায় নৌকাগুলো
আমার অবকাশ। - অজিত কুমার কর।
মনে প্রাণে
ছন্দ আনে। -মহঃ সানারুল মোমিন
নীরব পাখি
মেলে আঁখি। -মহঃ সানারুল মোমিন
সুর তোলে,
গানে গানে।
জলে আসে
ভেসে ভেসে।
বাউলের গান,
জুড়ায় প্রাণ। -মহঃ সানারুল মোমিন
হাজার সুর
আজ মধুর।
হাজার কথা-
হৃদয়ে গাঁথা।
অজয় জলে
হৃদয় তলে।
গানে গানে
কানে কানে।
অজয়ের বান,
প্রকৃতির দান। -মহঃ সানারুল মোমিন
নেইতো কোন ভুল,
কহে সানারুল
কত কথা কয়-
আমার প্রাণের অজয়। -মহঃ সানারুল মোমিন
ভূমিকা:
অজয় নদের ইতিকথা। কেহ বলে নদ কেহবা বলে নদী।
কবি কুমুদ রঞ্জন মল্লিক লিখেছেন
বাড়ি আমার ভাঙনধরা অজয় নদীর বাঁকে,
জল যেখানে সোহাগভরে স্থলকে ঘিরে রাখে।
আবার কোন কবি লিখেছেন: অজয় নদে বান নেমেছে,
ঘরবাড়ি সব তলিয়ে গেছে।
সমালোচনায় না গিয়ে অজয় নদীর ইতিহাস বলে রাখি।
অজয় নদীর এপারে বর্ধমানের চুরুলিয়া গ্রামে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুলের জন্মস্থান।
অজয় নদীর কেন্দুবিল্ব গ্রামে জন্মেছেন কবি জয়দেব।
তিনি লিখেছেন
স্মর গরল খণ্ডণম,
মম শিরসি মুণ্ডনম,
স্বয়ং কৃষ্ণ ভগবান অসমাপ্ত শ্লোক সম্পূর্ণ করে লিখে ছেন
দেহি পদপল্লবম্ উদারম্।।
ভাগীরথী-হুগলী নদীর পশ্চিম দিকের নদী গুলোর মধ্যে (১) ময়ূরাক্ষী, (২) অজয়, (৩) দামোদর, (৪) দ্বারকেশ্বর, (৫) শিলাবতী ( শিলাই), (৬) কংসাবতি (কাঁসাই), (৭) রূপনারায়ন, (৮) হলদি, (৯) কেলেঘাই, (১০) সুবর্ণরেখা প্রভৃতি নদী উল্লেখযোগ্য । এর মধ্যে অজয়, দামোদর ও ময়ূরাক্ষী নদী ঝাড়খন্ড রাজ্যের ছোটনাগপুর মালভূমি থেকে এবং অন্যান্য নদীগুলো পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম দিকের মালভূমি থেকে উৎপন্ন হয়েছে ।
পশ্চিমের মালভূমি অঞ্চলে উৎপন্ন হয়ে শিলাবতী ও দারকেশ্বর নদী দুটি মিলিত হয়ে রূপনারায়ণ নামে কিছু দূর প্রবাহিত হয়ে অবশেষে গেঁওখালির কাছে হুগলী নদীতে পতিত হয়েছে । এছাড়া কেলেঘাই ও কংসাবতী নদী যুক্ত হয়ে হলদি নদীর সৃষ্টি করেছে । এইসব নদীর মধ্যে কেবলমাত্র সুবর্ণরেখা নদীটি ওড়িশার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে, অন্য নদীগুলো ভাগীরথী-হুগলী নদীতে পতিত হয়েছে । এইসব নদী প্রধানত বৃষ্টির জলে পুষ্ট হওয়ায় নদীতে সারাবছর সমান জল প্রবাহ থাকে না এবং অতিবৃষ্টিতে বন্যার সৃষ্টি হয় ।
দামোদর নদ : দামোদর পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম অংশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নদী । দামোদর নদীটি ঝাড়খন্ড রাজ্যের পালামৌ জেলার ছোটনাগপুর মালভূমির খামারপাত পাহাড় থেকে উৎপন্ন হয়ে উলুবেড়িয়ার কাছে ভাগীরথী-হুগলী নদীতে পতিত হয়েছে । বর্তমানে দামোদর নদের মুল প্রবাহ শীর্ণ হয়ে হুগলী নদীতে পড়েছে এবং এই নদীর বেশির ভাগ জল তার শাখা নদী মুন্ডেশ্বরীর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে । দামোদরের প্রধান শাখা মুন্ডেশ্বরী রূপনারায়ণ নদীতে মিশেছে ।
সুচীপত্র
১। অজয় যেন প্রাণ- মহঃ সানারুল মোমিন
২। পথিক- সঞ্জয় কর্মকার
৩। অজয় নদীর পাশে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
(সম্পাদনা করেছেন কবির হুমায়ূন)
৪। অজয় আমার প্রাণ – লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
৫। গাঁয়ের অজয় নদী - লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
৬। অজয় নদীর তটে - লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
৭। রবিবারে হাট বসেছে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
৮। নদীর কাছে জোড়া বটতলা-লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
৯। অজয় নদের স্মৃতি গাঁথা - মূলচাঁদ মাহাত
১০। আমার প্রাণের অজয় - মহঃ সানারুল মোমিন
অজয় যেন প্রাণ
- মহঃ সানারুল মোমিন
সুখেতে দুঃখতে, গীতিতে প্রীতিতে
অজয় নদ,হৃদয়ের প্রাণ।
শত বেদনায়,মনের মোহনায়
দিবারাতি গায় গান।
স্নানে মাতে,অজয়ের সাথে
খুকি খোকা মাখে জল।
স্বপ্নের সকালে,মধুর বিকালে
পাখ পাখালীর কোলাহল।
অজয়ের জলে, মায়ের কোলে
নাচে শত রঙে জীবকূল
অবাক চোখে, দেখি তাকে
কে খুকি কে খোকা? করি ভুল।
নদের পাড়ে, বালিরে তীরে
বসে কি পাখ পাখালীর মেলা?
হাজার বছর ধরে, নিজ আপন করে
করেছে আপন খেলা।
জ্যোতস্না রাতে, তারাদের সাথে
কয় মনের কথা।
সে প্রাণের ইতিহাস, নয় পরিহাস
নানা কথা, হৃদয় গাঁথা।
না দেখে অজয়, টানে মোর হৃদয়-
লিখিলাম আমি সানারুল।
ক্ষমা করুণ কবি, মোর মনের রবি
যদি লিখে করি কিছু ভুল।
পথিক
-সঞ্জয় কর্মকার
অজয়ের ঘাটে হারিয়ে সে পথে হেরি অপরূপ,
কিরণো র্চ্ছটা রবিরো প্রভাত
গাহিতে তাহারি স্বপ্নিল
রূপ।
ঝির ঝির ঝির ঝির বহিতে সে জলোধারা,
লহরেতে পুঞ্জিত, ফেনারাশি
মন ভরা।
একতার বাউলেতে দোতারাতে সুর ভোলে,
মাঝি তার মল্লার বহিতে সে
পাল তুলে।
মন ভুলে দৃষ্টিতে সারি সারি বৃক্ষ সে,
বিহঙ্গ কলরবে রূপে তারি
গেনু ভেসে।
হেরি প্রাণ পথো পানে বধু সবে যায় কাঁখে,
অজয়ের ধারা সনে মনোরম ছবি
আঁকে।
ছিপ জালে ধরে মাছ নুলিয়া কি জেলে সবে,
ধিরে ধিরে দিগন্তে-প্রাণ ধারা
রবি বহে।
আনন্দ কলতান ধিরে ধিরে শান্ত সে,
আমি রাহা পথ ভুলে-রাহী একা
পথিক রে।
গাঁয়ের পাশে অজয় নদী
(সম্পাদনা করেছেন কবির হুমায়ূন)
গাঁয়ের পাশে অজয় নদী
অবিরামে চলে,
সকাল হলে যাত্রী সকল
আসে দলে দলে।
ঘাটের মাঝি নৌকা আজি
ভাসায় নদীর জলে,
পসরা লয়ে যাত্রী আসে
হেঁটে কোলাহলে।
ওই ওপারে সূর্য উঠে
ডিম কুসুম লাল হয়ে
গাঁয়ের বধু ঘাটে আসে
কাঁখে কলসি লয়ে।
নদীর ঘাটে বটের শাখে
পাখির কোলাহল,
বালুর চরে পাখি বসে
আসে শালিক দল।
আদুল গায়ে গামছা পরে
কেহবা স্নান করে,
খালুই কাঁধে জেলে আসে
জাল ফেলে মাছ ধরে।
দূরে হেরি শ্মশানঘাটে
জ্বলে চিতা সারি,
জ্বলছে যে শব আত্মীয় সব
চোখে অশ্রু বারি।
দুঃখ সুখের যন্ত্রণা যে
ঘাটের কথা বলে,
আপন বেগে অজয় নদী
কুলু কুলু চলে।
গাঁয়ের পাশে অজয় নদী
- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
গাঁয়ের পাশে অজয় নদী
অবিরাম বয়ে চলে,
সকাল হলে যাত্রী সকলে
আসে ঘাটে দলে দলে।
ঘাটের মাঝি নৌকাটি আজি
ভাসায় নদীর জলে,
লয়ে পসরা আসে যাত্রীরা
ঘাট ভরে কোলাহলে।
নদী ওপারে গাঁয়ের ধারে
ওঠে সূর্য লাল হয়ে,
গাঁয়ের বধু ঘাটেতে আসে
কাঁখেতে কলসী লয়ে।
নদীর ঘাটে বটের শাখে
পাখিদের কোলাহল,
বালির চরে বলাকা বসে
আসে শালিকের দল।
আদুল গায়ে গামছা পরে
হেরি কেহ স্নান করে,
খালুই কাঁধে জেলেরা আসে
জাল ফেলে মাছ ধরে।
দূরেতে হেরি শ্মশানঘাটে
জ্বলে উঠে চিতা সারি,
জ্বলিছে শব আত্মীয় সব
ঝরে চোখে অশ্রু বারি।
সুখ দুঃখের যন্ত্রণা হেথা
নদী ঘাটে কথা বলে,
আপন বেগে অজয় নদী
কুলু কুলু বয়ে চলে।
গাঁয়ের অজয় নদী
- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
গাঁয়ের অজয় নদী এঁকে বেঁকে চলে,
পাল তুলে ভাসে তরী অজয়ের জলে।
নদীঘাটে বিপিনের চায়ের দোকান,
সিঙ্গারা আলুর চপ, আর পাবে পান।
পূবেতে উঠিল রবি সোনার বরণ,
নদীঘাটে দলে দলে আসে যাত্রীগণ।
পথছাড়ি গোরুগাড়ি নদীঘাটে থামে,
ঘোমটায় মুখ ঢাকি নব-বধূ নামে।
বধূরা সকাল হলে আসে জল নিতে,
নদীকূল ভরে ওঠে পাখিদের গীতে।
নদীতীরে সুশীতল বহিছে সমীর,
বেলা হলে নদীঘাটে জমে ওঠে ভিড়।
ধীরে ধীরে বাড়ে বেলা দিবসের শেষে,
সাঁঝের সানাই বাজে আসে সুর ভেসে।
অজয় নদীর তটে
- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
অজয় নদীর তটে সরু বালি চর,
ওপারেতে ছোটগাঁয়ে ছোট ছোট ঘর।
নদীচরে দলে দলে বসেছে শালিক,
রবির কিরণে বালি করে চিকচিক।
নদীজলে মাঝিভাই নাওখানি বায়,
এপারের যাত্রীদল ওপারেতে যায়।
অজয়ের নদীঘাটে বসি বালুচরে,
বসে সাদা বক এক ছোট মাছ ধরে।
অজয়ের নদী বাঁকে শ্মশানের ঘাট,
নদীপাশে হেরি দূরে চাঁপা ডাঙা মাঠ।
নদীঘাটে বটগাছে শালিকের বাসা,
মাঠে মাঠে ধান কাটে এ গাঁয়ের চাষা।
পশ্চিম দিগন্তে রবি অস্তাচলে যায়,
সোনালী কিরণ হাসে নদী কিনারায়।
রবিবারে হাট বসেছে
- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
গাঁয়ের রাঙা রাস্তার ধারে,
বোঝাই মাথায় এসেছে সবাই অজয় নদীর পারে।
রবিবারে আজ বসেছে হাট
অজয় নদীর ঘাটে,
জিনিসপত্র এনে জুটেছে হেথায়
আজকে সবাই হাটে।
গাঁয়ের মাঝি নদীর জলে মাল বোঝাই তরী ছাড়ে।
বোঝাই মাথায় এসেছে সবাই অজয় নদীর পারে।
কেউবা আনে কুমড়ো কচু
কেউ বা আনে শাক,
নদীর পারে হাট বসেছে
শোনা যায় হাঁক-ডাক।
মেঠো পথ ধরে সব হাটুরে ছুটিছে তাড়াতাড়ি,
রাঙাপথে কুমোরেরা আসে মাথায় মাটির হাঁড়ি।
চাষীরা আনে চালের বস্তা
বোঝাই করা গরুর গাড়ি,
বাঁশিওয়ালা এনেছে বাঁশি
তাঁতি ভাই এনেছে শাড়ি।
বিকেল হলে বেচাকেনা সেরে সবাই ফেরে বাড়ি,
নদীর কিনারে থাকে শুধু পড়ে ভাঙা মাটির হাঁড়ি।
রাত্রি নিঝুম কেউ নাই হাটে
শেয়ালেরা হেথা কাঁদে,
জোনাকির দল দিতেছে টহল
গাছে গাছে নদীর বাঁধে।
পথের বাঁকে কুকুরগুলো আসে ঘেউ ঘেউ ডাক ছাড়ি।
রাতের আকাশে তারারা হাসে চাঁদ বুঝি দিয়েছে পাড়ি।
নদীর কাছে জোড়া বটতলা
-লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
নদীর কাছে জোড়া বটতলা
কদম খণ্ডীর ঘাট,
প্রতি রবিবারে নদীর এপারে
সেথা বসে এক হাট।
কলসী বোঝাই গোরুর গাড়ি
চলে রাঙা মাটি পথে,
ওপারের লোক এপারেতে আসে
বহু দূর গ্রাম হতে।
রবিবার দিনে হাটেতে আজ
বহু লোক এসে জুটে,
মাথায় লয়ে সব্জির বোঝা
হাটুরেরা আসে ছুটে।
সারাদিন ধরে বেচাকেনা চলে
ক্রেতা বিক্রেতার ভিড়ে,
এখো গুড়ের মাটির কলসী
রাখে অজয়ের তীরে।
রবিবার দিনে হাট বসেছে
ক্রেতাদের আনাগোনা,
মাল বেচাকেনা করে দরাদরি
হট্টগোল যায় শোনা।
তেল চিনি আটা হাঁসমুরগী পাঁঠা
সব বিক্রি হয় হাটে।
কেউবা এনেছে ধামা কুলো ঝুড়ি
অজয় নদীর ঘাটে।
কেউবা আসে কেউ চলে যায়
কেইবা তা মনে রাখে,
ক্রেতাদের ভিড়ে কথা কাটাকাটি
বিক্রেতারা জোরে হাঁকে।
সাঁঝের বেলা ভেঙে যায় হাট
সবে ফিরে যায় ঘরে,
আঁধার নেমেছে নির্জন হাটেতে
অজয়ের নদী চরে।
অজয় নদের স্মৃতি গাঁথা
- মূলচাঁদ মাহাত
"অজয় নদে এল বান
ভেসে গেল সোনার ধান।"
পড়েছিলাম ছোট বেলার কালে।
"অজয় নদ হৃদয়ের টান
দিবা রাতি গাইছে গান।"
লিখলেন মোমিন মহঃ সানারুলে।।
অজয় নদে গাঁয়ের পাশে
তরী বেয়ে কত যাত্রী আসে,
সেই তীরে বসত লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী।
যাত্রী হীন নাওয়ে পাল তুলে
ভাটিয়ালী গান গেয়ে চলে
দিশা হীন আজ নৌ এর কাণ্ডারী।।
কলসী কাঁখে জলকে আশে
গাঁয়ের বধুরা মিলেমিশে
স্নান সেরে ফিরে সিক্ত বসনে।
খোকা খুকুরা স্নানের ছলে
সাঁতার কাটে অগাধ জলে,
একটু দূরে বক রয়েছে ধ্যানে।।
আরো কত যে পাখ পাখালি,
চিকচিক করে সরু বালি
তারই পরে গুগলি-পুঁটি খায়।
রাখাল ছেলে নদের তীরে
গরু মহিষ চরায় ঘুরে
বিকেল হলেই বাড়ি ফিরে যায়।।
তপন নামে নদের পাটে
হাঁস গুলি সব স্নান ঘাটে
বাসায় ফিরতে করে কোলাহল।
নদের পারে জ্বলছে চিতা
করুণ ধারা আত্মীয় মিতা
তাদের জীবনে বহে হলাহল।।
অজয়ের জলে শস্য ফলে
চাষীরা মনের দু:খ ভুলে
চাষ-আবাদ করে মহা আনন্দে।
দুই কুলের আনন্দ ব্যথা
বয়ছে নিয়ে সকল কথা,
অজয় গাঁথা লিখে কবি মূলচাঁদে।।
আমিও যে অতি ভাগ্যবান,
অজয় নদে করেছি স্নান,
জয়দেব-কেন্দুলির মেলাতে।
মেলা প্রান্তরে বাউল গান
রয়ে গেছে স্মৃতির টান,
শুনেছি কীর্তন সাঁঝের বেলাতে।।
ফিরেছি নিয়ে গীত গোবিন্দ
হরষ মন বড়ই আনন্দ
পবিত্র গ্রন্হ অতি মনোরম।
"স্মর গরল খন্ডনম
মম শিরসি মন্ডনম
দেহি পদ পল্লব মুদারম"।।
আমার প্রাণের অজয়
- মহঃ সানারুল মোমিন
সব নদী ছুটে চলে
মিলিত হতে মোহনায়।
মনের আনন্দে,ছন্দে ছন্দে
নাকি হৃদয়ের যন্ত্রণায়?
যেতে যেতে,মহা সুখেতে,
রেখে যায় শত সুখ।
নাকি নিজের ভুলে,ভাবি
নদী দিল বড় দুঃখ?
অজয়েএলো বান, বাড়ি ভেঙে খান
দিয়েছি নানা অপবাদ।
একি তার ভুল? জিজ্ঞাসে সানারুল
মন থেকে হোক চিরবাদ।
-----------------------------------------------------
অজয় নদীর কাব্য পাঠ করার পর বাংলা কবিতা আসরের সকল কবিগণ তাদের মূল্যবান মন্তব্য আমার আজকের
মন্তব্যের পাতায় লিখেছেন।
-----------------------------------------------------
রেজুয়ান চৌধুরী লিখেছেন।
বরাবরের মত এবারও অজয় নদীর কাব্য পাঠে মুগ্ধ হলাম প্রীয় কবি ! শুধু মুগ্ধতা ---!
অনেক প্রীতি ,ভালোবাসা এবং শুভেচছা !
ভালো থাকুন সর্বদা ! শুভকামনা নিরন্তর !
-------------------
সুদীপ কুমার ঘোষ (চোখের বালি) লিখেছেন:
অজয়ের সুন্দর কাব্য রচনা করেছেন। শুভেচ্ছা অবিরাম।
খুব ভাল লাগা রেখে গেলাম প্রিয় কবি।
------------------