অজয় নদীর ঘাটে পড়ে আসে বেলা,
নদীতটে আছি বসে আমি যে একেলা।
শেষ খেয়া বেয়ে মাঝি চলে গেছে ঘরে,
তীরে বাঁধা তরীখানি অজয়ের চরে।


সোনালী কিরণ ঝরে অজয়ের জলে,
পশ্চিম দিগন্তে রবি যায় অস্তাচলে।
সাঁঝের আঁধার নামে নদী কিনারায়,
ধীরে ধীরে তারা ফোটে আকাশের গায়।


জ্বলে দীপ, শাঁখ বাজে আসে সুর ভেসে,
শাল পিয়ালের বনে চাঁদ ওঠে হেসে।
জোছনায় নদীজল করে ঝলমল,
কল কল বেগে নদী বহে অবিরল।


দূরেতে শ্মশানঘাটে জ্বলন্ত চিতায়,
শ্মশানে চিতায় দেহ পুড়ে হয় ছাই।
নির্জন শ্মশানে হেথা কেহ কোথা নাই,
থেকে থেকে শেয়ালের কান্না শোনা যায়।


রজনী প্রভাত হয়, অমানিশা কাটে,
রবি ওঠে বায়ু বয়, অজয়ের ঘাটে।