অজয়ের নদীকূলে
           -লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


ভোর হলো রে ঐ ভোর হয়ে এল অজয় নদীর কূলে,
ভোরের হাওয়ায় পুলক জাগে কাশবনে ফুলে ফুলে।
ফুটেছে টগর, চন্দ্রমল্লিকা, শিউলির শাখে কলি ফুটে,
ভোরের আকাশ রক্তিম হয়ে অরুণ প্রভাত সূর্য উঠে।


ভোরের পাখিরা কিচিমিচি করে বসি গাহে তরু-শাখে,
শালিকের দল উড়ে আসে হেথায় অজয় নদীর বাঁকে।
মাঝি ও মাল্লারা মাদলের তালে খেয়াঘাটে গাহে গান।
বাঁশির সুরে মাদল বাজে সবাকার প্রাণ করে আনচান।


সোনাঝরা রোদ্দুর করিছে খেলা অজয় নদীর বালুচরে,
মায়ের আগমনী গীতি বাজে সবার পরাণ পাগল করে।
শারদ প্রভাতে অজয়ের ঘাটে কাশ ফুলে লাগে দোলা,
যাত্রী বোঝাই মাঝি দাঁড় বায়, তরী সাদা পাল তোলা।


ঘাটে এসে যবে ভিড়িল তরণী, তরুণী-বধূ আগে নামে,
রাঙামাটি পথে গোরুর গাড়িখানি কিনারায় এসে থামে।