বিশ্ব ভালবাসা দিবস
আমার কবিতাগুচ্ছ
(ফেব্রুয়ারী সংখ্যা)
———):-~-:(———-
বিভাগ- আলোচনা প্রসঙ্গ ও কবিতার পাতা
আলোচনার বিষয়- ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহ
কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
———):-~-:(———-


পাতা ঝরার মর্মর শব্দ আর রুক্ষ শীতের অবসান ঘটিয়ে আনন্দ বার্তা নিয়ে উপস্থিত হয় ঋতুরাজ বসন্ত। ফুলের সৌরভ আর অপরূপ রূপ প্রেমিক মনকে করে তোলে উদাসী। এই উদাসী মনকে প্রশান্তি দিতে মধুর কণ্ঠে অবিরাম গান শোনায় কোকিল। আর এই ভাষা ও ভালোবাসার মাসের মাঝামাঝি সময়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে চলে যায় একটা সপ্তাহ, যাকে আমরা বলি ‘ভ্যালেন্টাইন্স উইক’। এই ভ্যালেনটাইনস উইক নিয়ে বিশেষ ফিচার


৭ ফেব্রুয়ারি :হ্যাপি রোজ ডে


কাঁটাবন কিংবা শাহবাগের ফুলের দোকানগুলোর সামনে দিয়ে একবার হেঁটে গেলে আমাদের সবারই ইচ্ছে করে একটি লাল গোলাপ কিনে ‘তাকে’ উপহার দিতে। ভালোবাসার প্রতীকই যে লাল গোলাপ। ভালোবাসার এই প্রতীকটির দিবস আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম নামকরণ করেন ডেনমার্কের রানি আলেকজান্দ্রা। ৫০তম বিবাহবার্ষিকীতে আলেকজান্দ্রা লন্ডনে এলে লন্ডনের অধিবাসীরা তাকে হাজার হাজার লাল গোলাপ দিয়ে অভ্যর্থনা জানান। আলেকজান্দ্রা এত গোলাপ দেখে তো হতবাক! তিনি এক সিদ্ধান্ত নিলেন, এই হাজারখানেক গোলাপগু বিক্রি করে সেই টাকা দিয়ে দরিদ্র, অসুস্থ মানুষদের প্রতি সেবার, ভালোবাসার হাত বাড়িয়ে দিতে বললেন। লাল গোলাপ দিয়ে ‘তার’ মুখে হাসি ফোটানোর জন্য পালিত হয় বিশেষ রোজ ডে।


৮ ফেব্রুয়ারি :হ্যাপি প্রপোস ডে


একসঙ্গে তো কয়েকটি বছর কাটালেন, কিন্তু এখনো বুঝে উঠতে পারছেন না আপনার প্রিয় মানবীটিকে কীভাবে প্রস্তাব করবেন? তাহলে এই দিনটিতে আপনার না বলা কথাটাই বলে দিন হাতে এক গুচ্ছ গোলাপ নিয়ে, নতুবা আপনার অবস্থাটাও হতে পারে ঠিক জন মাইকেলের পিসতুতো ভাইয়ের মতো। মাইকেলের ভাইটি অনেক বছর অপেক্ষা সত্ত্বেও তার প্রেমিকাকে প্রস্তাব করতে পারলেন না, ভাইয়ের এ হাল দেখে মাইকেল এই দিনটিকে উত্সর্গ করলেন প্রতিটি পুরুষের জন্য যাতে না বলা কথাটা এবারে প্রকাশ পায়।


৯ ফেব্রুয়ারি :হ্যাপি চকলেট ডে


একগুচ্ছ গোলাপের সাথে ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহের তৃতীয় দিনটি ইউরোপ আমেরিকায় উদযাপিত হয় এক বাক্স চকলেট নিয়ে। সেই প্রাচীনকাল থেকে চকলেট উপহারের মাধ্যমে পছন্দের মানুষটির কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বার্তাটি। জটেকদের সময়কাল হতে চকলেটকে আধ্যাত্মিক প্রজ্ঞার বিষয় হিসেবে বিয়ের উত্সবে ব্যবহার করা হতো।  চকলেটে এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস রয়েছে, যা উদ্দীপক, দুশ্চিন্তা নিরোধকের কাজ করে। কাছের মানুষটির দুশ্চিন্তা নিরোধের জন্য আপনিও এক বাক্স চকলেট উপহার দিতে পারেন।


১০ ফেব্রুয়ারি :হ্যাপি টেডি ডে


সর্বপ্রথম আমেরিকার মরিস মিচটম প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুজভেল্টকে উত্সর্গ করে টেডি বিয়ার বাজারজাত করেন। স্বাভাবিকভাবেই অল্প দিনেই বাচ্চাদের মাঝে টেডির হিড়িক পড়ে যায়। বিশ শতকের সেই টেডি বিয়ারের রূপ অনেক পাল্টেছে কিন্তু টেডির প্রতি ভালোবাসাটা রয়ে গেছে ঠিক আগের মতোই, তাই তো ভালোবাসার মানুষটিকে ভালোবাসার জিনিসটি দেওয়ার জন্যই পালন করা হয় হ্যাপি টেডি ডে। পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে, উপহার হিসেবে মেয়েরা টেডি বিয়ার অধিক পছন্দ করে। সেই অনুযায়ী পাশ্চাত্যে এই দিনটিকে সামনে রেখে সাশ্রয়ী মূল্যে হরেক রকমের টেডি বিয়ার বাজারজাত করা হয়, যাতে পছন্দের টেডি বিয়ারটি কারো মুখে হাসি ফোটাতে পারে।


১১ ফেব্রুয়ারি :হ্যাপি প্রমিস ডে


ভালেন্টাইন’স ডে পঞ্জিকার পঞ্চম দিনটি হলো ১১ ফেব্রুয়ারি, অর্থাত্ প্রমিস ডে। প্রিয়জনকে আমরা অনেক কথাই দিয়ে থাকি, কিন্তু তার সবই রাখা হয়ে উঠে না, অনেক সময় মনেই থাকে না। তাহলে একবার ভাবুন তো, আপনার কাছের মানুষটির কাছে আপনার মূল্য দিন দিন কমে যাচ্ছে না তো? সম্পর্কের এই দিকটির বিবেচনা করেই প্রমিস ডে। এই দিনটি কেন এত গুরুত্বপূর্ণ? স্বাভাবিকভাবেই কাছের মানুষটি আমৃত্যু একটি প্রতিশ্রুতি চায়,তা হল যেকোনো পরিস্থিতিতে আপনার সহায়তা। নির্দিষ্ট এই দিনটিতে আপনি এই প্রতিশ্রুতিটি করতে পারেন যা আপনাদের সম্পর্কের প্রতিশ্রুতি বজায় রাখতে পারে।


১২ ফেব্রুয়ারি :হ্যাপি কিস ডে


প্রাচীনকাল থেকে ভালোবাসার গভীরতা, অন্তরঙ্গতা আমরা চুম্বনের মাধ্যমে প্রকাশ করে থাকি। হতে পারে তা আপনার সন্তানের, মায়ের অথবা প্রিয়জনের। ভালেন্টাইন’স ডে পঞ্জিকার ষষ্ঠ দিনটি কিস ডে হিসেবেই পালিত হয়ে আসছে। কিস ডে সর্বপ্রথম ইংল্যান্ডে পালিত হয়। সাংস্কৃতিক কারণে আমাদের দেশে এই দিবসটি তেমন জনপ্রিয় না হলেও পাশ্চাত্যে এর ভিন্ন তাত্পর্য রয়েছে। ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলোতে কিস ডের একটি জনপ্রিয় আয়োজন হলো ‘চুম্বন প্রতিযোগিতা’, যেখানে প্রতিযোগীদের দীর্ঘ সময় ধরে চুম্বনে আবদ্ধ থাকতে হয়। সেই জুটিই বিজয়ী হবে, যারা সবচেয়ে বেশি সময় ধরে চুম্বনে আবদ্ধ ছিল। গত বছর থাইল্যান্ডের এক জুটি টানা ৫৯ ঘণ্টা পেরিয়ে চুম্বনে প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়।


১৩ ফেব্রুয়ারি :হ্যাপি হাগ ডে


প্রিয় মানুষটির সঙ্গ আমরা কে না চাই? শৈশবে মা-বাবার আদর থেকে শুরু করে, বন্ধুর হাত ধরে বন্ধুত্ব এবং সবশেষে জীবন সঙ্গীটির হাত ধরা। আচ্ছা, যখন আমাদের মন খারাপ করে, কারো সঙ্গ পেতে ইচ্ছা করে তখন নিশ্চয়ই আমরা চাই প্রিয় মানুষটিকে জড়িয়ে ধরতে, একাকিত্ব ভাগাভাগি করতে। আপনার প্রিয় মানুষটির একাকিত্বটা সরিয়ে দিতে আপনি না হয় তাকে একটি আলিঙ্গন করলেন। অধিক ব্যস্ততায় মা-বাবাকে সময় দিতে পারছেন না, ফেব্রুয়ারির এই দিনটিতে শৈশবের স্মৃতিটা ফিরিয়ে আনুন আলিঙ্গনবদ্ধ হয়ে।


১৪ ফেব্রুয়ারি :হ্যাপি ভালেন্টাইন’স ডে


একটি সপ্তাহজুড়ে অনুরাগের হরেক দিবস শেষে ভালোবাসার দেবীর আবির্ভাব হয়। বার্ষিক উত্সবের এই দিবসটি প্রেমিক-প্রেমিকার প্রেম অনুরাগের মাধ্যমে অথবা প্রিয় মানুষটির সঙ্গে উদযাপিত হয়। এই দিনে মানুষ তার ভালোবাসার মানুষকে ফুল, চিঠি, কার্ড, গহনা, টেডি প্রভৃতি উপহার প্রদান করে দিনটি উদযাপন করে থাকে।


ভালোবাসার গল্পটি শুরু হয়েছিল সেই ২৬৯ খ্রিস্টাব্দে। রোমের চিকিত্সক তরুণ যাজক সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের চিকিত্সায় দৃষ্টি ফিরে পেয়েছিল নগর জেলারের দুহিতা। পরে দুজনের মধ্যে মন দেওয়া-নেওয়া হয়। সেই থেকে জন্ম নিয়েছিল তাদের ভালোবাসার অমরগাঁথা। ভালোবাসার অপরাধে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনকে ফাঁসিতে ঝুলতে হয় ফেব্রুয়ারির এই ১৪ তারিখে। তারপর এই ভালোবাসার স্বীকৃতি পেতে দুই শতাব্দী নীরবে-নিভৃতে পালন করতে হয়েছে ১৪ ফেব্রুয়ারিকে।


৪৯৬ খ্রিস্টাব্দে রোমের রাজা পপ জেলুসিয়াস এই দিনটিকে ভ্যালেন্টাইন দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। গ্রিক ও রোমান উপকথার মতই ভালোবাসা দিবসের উত্পত্তি নিয়ে আরো গল্প-কাহিনী ছড়িয়ে আছে ভুবনজুড়ে।


দেশে দেশে ভালোবাসা দিবস


উনিশ শতকেই উত্তর আমেরিকায় ভ্যালেন্টাইন’স ডে পালিত হয় ব্রিটিশ অভিবাসীদের মাধ্যমে। যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক হারে ভ্যালেন্টাইন’স কার্ড বিনিময় শুরু হয় ১৮৪৭ সালে ম্যাসাসুয়েটসের অরকেস্টারে।


বর্তমানকালে, পাশ্চাত্যে এ উত্সব  মহাসমারোহে উদযাপন করা হয়। যুক্তরাজ্যে মোট জনসংখ্যার অর্ধেক প্রায় ১০০ কোটি পাউন্ড ব্যয় করে এই ভালোবাসা দিবসের জন্য কার্ড, ফুল, চকলেট, অন্যান্য উপহারসামগ্রী ও শুভেচ্ছা কার্ড ক্রয় করতে, এবং আনুমানিক প্রায় ২.৫ কোটি শুভেচ্ছা কার্ড আদান-প্রদান করা হয়।


বাংলাদেশে বসন্ত ঋতুর ক্ষণগণনা শুরু হয় ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে, যার একদিন পরেই ভালোবাসা দিবসটি। বাংলাদেশে এ দিবসটি পালন করা শুরু হয় ১৯৯৩ সালে। একদিন আগে পরে এই দুইটি দিন উদযাপিত হওয়ায় আমাদের দেশের যুবক-যুবতীদের উত্সব সংস্কৃতিতে মহোত্সবের রূপ পেয়েছে এই দিবসটি। শুধু তারুণ্যই নয়, প্রৌঢ় থেকে শুরু করে শিশু, কিশোর, মধ্যবয়সীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে এর আবহ। এ দিনে  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, চারুকলা, ধানমন্ডির রবীন্দ্রসরোবর, সংসদ ভবন চত্বর, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, রমনা বটমূল, চন্দ্রিমা উদ্যান মুখরিত থাকবে সারা দিন। ‘সখী ভালোবাসা কারে কয়’—বহু বছর আগে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এভাবেই ভালোবাসার অর্থ খুঁজেছিলেন। কারণ, ভালোবাসার অর্থ যে গভীর দ্যোতনাময়। এই অর্থটি বুঝতে এবং বুঝাতে আপনিও ভালেন্টাইন’স পঞ্জিকার সাতটি দিন উদযাপন করতে পারেন আপনার প্রিয়জনকে নিয়ে। তাহলে কি শুধু একটি দিন বা একটি সপ্তাহ ভালোবাসার জন্য? অবশ্যই নয়। ভালোবাসা সারা বছরের, সারা দিনের। তাই ভালোবাসার মানুষটির বা মানুষগুলোর সাথেই থাকুন, তাদের সাথেই উপভোগ করতে পারেন নববসন্তের প্রকৃতি।


আজ থেকে শুরু হল প্রেমের সপ্তাহ। মানে যাকে ভ্যালেনটাইন উইক। আগামী এক সপ্তাহ প্রেমের জোয়ারে ভাসবে বিশ্ব। আসলে এই একটা সপ্তাহ সন্ত্রাসে রক্তাক্ত, হিংসায় জর্জরিত, রাজনীতির মারপ্যাঁচে আবদ্ধ, লোভ-লালসায় জরাজীর্ণ দুনিয়া-য় মানুষ প্রেমের জোয়ারে ভাসবে।


৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ (বৃহস্পতিবার)- রোজ ডে বা গোলাপ দিবস।


লাল রঙে, সুন্দর গন্ধের সুবাসে শুরু হল প্রেমের স্তবগাথা। ভ্যালেন্টাইন উইকের আজ প্রথমদিন ‘রোজ ডে’ মানে গোলাপ দিবস। আসলে প্রেম তো নিবেদন দিয়েই শুরু হয়। আর নীরবে গোলাপ দিয়ে ভালোবাসার কথা জানানোর থেকে ভাল উপায় আর কি আছে!


আসুন জেনে নিন কোন কোন গোলাপ কী মানে বহন করে –


লাল গোলাপ-


সময় বদলেছে। বদলেছে প্রেমের ধরনও। কিন্তু আজও লাল গোলাপ দিয়েই শুরু হয় প্রেমের নিবেদন। ভালোবাসার প্রতীক লাল গোলাপ।


হলুদ গোলাপ-
‘এ দোস্তি হাম নেহি তোরেঙ্গে’। ঠিক ধরেছেন বন্ধুত্বের প্রতীক হলুদ গোলাপ। তাই আপনার জীবনে প্রিয় বন্ধু গুরুত্ব বোঝাতে তাকে আজ দিতে পারেন এক গুচ্ছ গোলাপ।


গোলাপি গোলাপ-


কৃতজ্ঞতার প্রতীক গোলাপি গোলাপ। প্রিয় বন্ধু, নির্ভরযোগ্য সঙ্গীকে ‘থ্যাঙ্ক ইউ’ বলতে পারেন গোলাপি গোলাপ দিয়ে।


সাদা গোলাপ-
সাদা ফুল আমরা সাধারণত শোকজ্ঞাপনে ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু খ্রিষ্টান মতে বিয়ের সময় কনের হাতে দেওয়া হয় একগুচ্ছ সাদা গোলাপ। কারণ এই ফুল নতুন জীবন শুরুর প্রতীক। এছাড়া কাউকে মিস করলে আপনি তাঁকেও সাদা গোলাপ পাঠিয়ে জানাতে পারেন মনের ভাষা।


———):-~-:(———-


ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহের প্রথম দিবস


গোলাপ দিবস (হ্যাপি রোজ ডে)


৭ ফেব্রুয়ারি : ২০১৯


শীতের অবসান ঘটিয়ে আনন্দ বার্তা নিয়ে উপস্থিত হয় ঋতুরাজ বসন্ত। ফুলের সৌরভ আর অপরূপ রূপ প্রেমিক মনকে করে তোলে উদাসী। এই উদাসী মনকে প্রশান্তি দিতে মধুর কণ্ঠে অবিরাম গান শোনায় কোকিল। আর এই ভাষা ও ভালোবাসার মাসের মাঝামাঝি সময়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে চলে যায় একটা সপ্তাহ, যাকে আমরা বলি ‘ভ্যালেন্টাইন্স উইক’।


ভালোবাসার প্রতীক হল লাল গোলাপ। ভালোবাসার এই প্রতীকটির দিবস আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম নামকরণ করেন ডেনমার্কের রানি আলেকজান্দ্রা। ৫০তম বিবাহবার্ষিকীতে আলেকজান্দ্রা লন্ডনে এলে লন্ডনের অধিবাসীরা তাকে হাজার হাজার লাল গোলাপ দিয়ে অভ্যর্থনা জানান। আলেকজান্দ্রা এত গোলাপ দেখে তো হতবাক! তিনি এক সিদ্ধান্ত নিলেন, এই হাজারখানেক গোলাপগু বিক্রি করে সেই টাকা দিয়ে দরিদ্র, অসুস্থ মানুষদের প্রতি সেবার, ভালোবাসার হাত বাড়িয়ে দিতে বললেন। লাল গোলাপ দিয়ে ‘তার’ মুখে হাসি ফোটানোর জন্য পালিত হয় বিশেষ রোজ ডে।


‘সখী ভালোবাসা কারে কয়’—বহু বছর আগে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এভাবেই ভালোবাসার অর্থ খুঁজেছিলেন।  কারণ, ভালোবাসার অর্থ যে গভীর দ্যোতনাময়। এই অর্থটি বুঝতে এবং অপরকে বুঝাতে আপনিও ভালেন্টাইন’স পঞ্জিকার সাতটি দিন উদযাপন করতে পারেন আপনার প্রিয়জনকে নিয়ে। তাহলে কি শুধু একটি দিন বা একটি সপ্তাহ ভালোবাসার জন্য? অবশ্যই নয়। ভালোবাসা হলো সারা বছরের, সারা দিনের। সারা জীবনের। তাই ভালোবাসার মানুষটির বা মানুষগুলোর সাথেই থাকুন, তাদের সাথেই উপভোগ করতে পারেন আপনি নববসন্তের প্রকৃতি।


বাংলা কবিতা আসরের সকল কবিগণকে জানাই পবিত্রতম হ্যাপি রোজ ডে (গোলাপ দিবস)-এর আন্তরিক প্রীতি আর শুভেচ্ছা। বাংলা কবিতার জয় হোক, বাংলার কবিগণের জয় হোক, বাংলা কবিতা আসরের জয় হোক। সাথে থাকুন, পাশে রাখুন। সকলের পাশে দাঁড়ান। জয়গুরু! জয়গুরু! জয়গুরু!


———):-~-:(———-


গোলাপের বিনিময়ে


                  লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


গোলাপ দিবস আজি জানে সর্বজনে,
প্রেমের গোলাপ ফুটে হৃদয় কাননে।
গোলাপের ভালবাসা ব্যর্থ নাহি হয়,
ভালবাসা করে জয়, সবার হৃদয়।


গোলাপের বিনিময়ে প্রীতির বন্ধন,
শুভেচ্ছার বিনিময়ে প্রফুল্লিত মন।
ভালবেসে কর যদি গোলাপ প্রদান,
দিনে দিনে বৃদ্ধি হয়, অর্থ যশ মান।


করিলে গোলাপ দান ভালবাসা হয়,
মিলেমিশে থাকে দুটি অভিন্ন হৃদয়।
হৃদয়ের ভালবাসা পবিত্র গোলাপ,
গোলাপ প্রদানে তাই নাহি হয় পাপ।


ভালবাসা মূল্য দিয়ে কেনা নাহি যায়,
লিখিল লক্ষ্মণ কবি তার কবিতায়।


———):-~-:(———-


ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহের দ্বিতীয় দিবস


প্রস্তাব দিবস (হ্যাপি প্রপোজ ডে)


৮ ফেব্রুয়ারী : ২০১৯


আজ ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহের দ্বিতীয় দিবস পবিত্রতম প্রস্তাব দিবস।(হ্যাপি প্রপোজ ডে)  দেশে দেশে এই উত্সবের দিনটি পালিত হয় সারা ভুবনজুড়ে।


কথিত আছে, রোমের চিকিত্সক তরুণ যাজক সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের চিকিত্সায় দৃষ্টি ফিরে পেয়েছিল নগর জেলারের দুহিতা। পরে দুজনের মধ্যে মন দেওয়া-নেওয়া হয়। সেই থেকে জন্ম নিয়েছিল তাদের ভালোবাসার অমরগাঁথা। ভালোবাসার অপরাধে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনকে ফাঁসিতে ঝুলতে হয় ফেব্রুয়ারির এই ১৪ তারিখে। তারপর এই ভালোবাসার স্বীকৃতি পেতে দুই শতাব্দী নীরবে-নিভৃতে পালন করা হয় ৭ই ফেব্রুয়ারী থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত এই ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহকে।


একটি সপ্তাহজুড়ে অনুরাগের হরেক দিবস শেষে ভালোবাসার দেবীর আবির্ভাব হয়। বার্ষিক উত্সবের এই দিবসটি প্রেমিক-প্রেমিকার প্রেম অনুরাগের মাধ্যমে অথবা প্রিয় মানুষটির সঙ্গে উদযাপিত হয়। এই দিনে মানুষ তার ভালোবাসার মানুষকে ফুল, চিঠি, কার্ড, গহনা, টেডি প্রভৃতি উপহার প্রদান করে দিনটি উদযাপন করে থাকে।


একসঙ্গে তো কয়েক বছর ধরে কাটালেন, কিন্তু এখনো বুঝে উঠতে পারছেন না আপনার প্রিয় মানুষটিকে কীভাবে প্রস্তাব করবেন?  তাহলে এই দিনটিতে আপনার না বলা কথাটাই বলে দিন হাতে একগুচ্ছ গোলাপ নিয়ে। ভালোবাসার নিবিড় বন্ধনে গোলাপের সুবাসে দিনটিকে গৌরবময় করে তুলুন।


বাংলা কবিতা আসরের সকল কবিগণকে জানাই পবিত্রতম হ্যাপি প্রপোজ ডে (প্রস্তাব দিবস)-এর আন্তরিক প্রীতি আর শুভেচ্ছা আর গোলাপী অভিনন্দন। বাংলা কবিতার জয় হোক, বাংলার কবিগণের জয় হোক, বাংলা কবিতা আসরের জয় হোক। সাথে থাকুন, পাশে রাখুন। সকলের পাশে দাঁড়ান। জয়গুরু! জয়গুরু! জয়গুরু!


———):-~-:(———-


প্রস্তাব দিবস (প্রপোজ ডে)


            লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


প্রস্তাব দিবস আজি সারা দেশময়,
“হ্যাপি প্রপোজ ডে” সকলেই কয়।
ভালবাসি কাছে ডাকি প্রিয়জনে তার,
গোলাপী গোলাপ করে দেয় উপহার।


না বলা প্রস্তাব যত বলে দাও আজি,
নতুন প্রস্তাবে প্রিয় হতে পারে রাজী।
হৃদয় মাঝারে রাখা নতুন অফার,
প্রিয়জনে ব্যক্ত কর সম্মুখে তাহার।


গোলাপের সুবাসেতে ব্যাকুলিত প্রাণ,
কুঞ্জে কুঞ্জে গাহে পাখি বসন্তের গান।
ভালবাসি প্রিয়জনে করে কর রাখি,
অব্যক্ত প্রস্তাব যত কহ কাছে ডাকি।


প্রস্তাব দিবস আজি, পূণ্য শুভক্ষণ,
কবিতায় লিখে কবি ভাণ্ডারী লক্ষ্মণ।


———):-~-:(———-


ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহের তৃতীয় দিবস
চকোলেট দিবস (হ্যাপি চকোলেট ডে)


৯ ফেব্রুয়ারি : ২০১৯


আজ ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহের তৃতীয় দিবস পবিত্রতম চকোলেট দিবস।(হ্যাপি চকোলেট ডে)  দেশে দেশে এই উত্সবের দিনটি পালিত হয় সারা ভুবনজুড়ে।


একগুচ্ছ গোলাপের সাথে ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহের তৃতীয় দিনটি ইউরোপ আমেরিকায় উদযাপিত হয় এক বাক্স চকোলেট নিয়ে। সেই প্রাচীনকাল থেকে চকোলেট উপহারের মাধ্যমে পছন্দের মানুষটির কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বার্তাটি।


প্রাচীনকাল হতে চকোলেটকে আধ্যাত্মিক প্রজ্ঞার বিষয় হিসেবে বিয়ের উত্সবে ব্যবহার করা হতো।  চকোলেটকে  এক ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস রয়েছে, যা উদ্দীপক, দুশ্চিন্তা নিরোধকের কাজ করে। কাছের মানুষটির দুশ্চিন্তা নিরোধের জন্য আপনিও এক বাক্স চকলেট উপহার দিতে পারেন।


বাংলা কবিতা আসরের সকল কবিগণকে জানাই পবিত্রতম হ্যাপি চকোলেট ডে (চকোলেট দিবস)-এর আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা আর অভিনন্দন। বাংলা কবিতার জয় হোক, বাংলার কবিগণের জয় হোক, বাংলা কবিতা আসরের জয় হোক। সাথে থাকুন, পাশে রাখুন। সকলের পাশে দাঁড়ান। জয়গুরু! জয়গুরু! জয়গুরু!


চকোলেট দিবস (হ্যাপি চকোলেট ডে)


                       লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


চকোলেট দিবসেতে চকোলেট চাই,
চকোলেট দিয়ে আজি শুভেচ্ছা জানাই।
জানে ভালো সকলেই আজিকার দিনে,
প্রিয়জনে দিতে হয়, চকোলেট কিনে।


চকোলেট বাক্স সাথে দামী উপহার,
গোলাপী গোলাপগুচ্ছ রেখো দুইচার।
মনে রেখো আজিকে গোলাপ দিবস,
চকোলেট দিলে আজি প্রিয়া হয় বশ।


ভালবেসে চকোলেট দাও প্রিয়জনে,
চকোলেট দিবসের পূণ্য শুভক্ষণে।
গোলাপের গুচ্ছ এক ধরি একহাতে,
ভালবাসা বিনিময় করো প্রিয়া সাথে।


চকোলেট ডে আজিকে করহ পালন,
কাব্য লিখিলেন কবি ভাণ্ডারী লক্ষ্মণ।


———):-~-:(———-


ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহের চতুর্থ দিবস


টেডি দিবস (হ্যাপি টেডি ডে)


১০ই ফেব্রুয়ারি : ২০১৯


আজ হ্যাপি টেডি বিয়ার দিবস। আজকের পবিত্রতম টেডি দিবসে সকলকে জানাই


আমার আন্তরিক প্রীতি, শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।


প্রসঙ্গত উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, সর্বপ্রথম আমেরিকার মরিস মিচটম প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুজভেল্টকে উত্সর্গ করে টেডি বিয়ার বাজারজাত করেন। স্বাভাবিকভাবেই অল্প দিনেই বাচ্চাদের মাঝে টেডির হিড়িক পড়ে যায়। বিশ শতকের সেই টেডি বিয়ারের রূপ অনেক পাল্টেছে কিন্তু টেডির প্রতি ভালোবাসাটা রয়ে গেছে ঠিক আগের মতোই, তাই তো ভালোবাসার মানুষটিকে ভালোবাসার জিনিসটি দেওয়ার জন্যই পালন করা হয় হ্যাপি টেডি ডে। পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে, উপহার হিসেবে মেয়েরা টেডি বিয়ার অধিক পছন্দ করে। সেই অনুযায়ী পাশ্চাত্যে এই দিনটিকে সামনে রেখে সাশ্রয়ী মূল্যে হরেক রকমের টেডি বিয়ার বাজারজাত করা হয়, যাতে পছন্দের টেডি বিয়ারটি কারো মুখে হাসি ফোটাতে পারে।


কবিতার আসর কাব্যমেলা ব্লগের সাথে যুক্ত সকল কবি, সাহিত্যিক, লেখক-লেখিকাগণকে জানাই পবিত্রতম টেডি দিবস (টেডি ডে)-এর আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা আর অভিনন্দন। বাংলা কবিতার জয় হোক, বাংলার কবিগণের জয় হোক, বাংলা কবিতা আসরের জয় হোক। সাথে থাকুন, পাশে রাখুন। সকলের পাশে দাঁড়ান। জয়গুরু! জয়গুরু! জয়গুরু!


টেডি বিয়ার দিবস (হ্যাপি টেডি ডে)


                       লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


গতকাল ছিল জানি টেডি বিয়ার ডে
স্মৃতি শুধু মনে রয়, আপনার হৃদে।
টেডি বিয়ার দিবস, শুন সর্বজন,
বিগত দিবস কথা, করিব বর্ণন।


প্রিয়জন যদি তব, হয় বড়ো জেদি,
আজিকার দিনে তারে কিনে দাও টেডি।
ভালবাসার বন্ধন না যায় খণ্ডন,
হৃদয়েতে থাকে লেখা বাঁধা রয় মন।


টেডি বিয়ার দিবস পূণ্য শুভক্ষণ,
টেডি উপহার দেয় সকলে এখন।
প্রিয়জনে দাও যদি টেডি উপহার,
নিশ্চয় হইবে খুশি প্রেয়সী তোমার।


পবিত্র দিবসে তাই সবে খুশি হয়,
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী কবি, কবিতায় কয়।


———):-~-:(———-


ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহের পঞ্চম দিবস
প্রতিশ্রুতি দিবস (হ্যাপি প্রমিস ডে)
১১ই ফেব্রুয়ারি : ২০১৯


আজ প্রতিশ্রুতি দিবস (হ্যাপি প্রমিস ডে)। ভালেন্টাইন’স ডে পঞ্জিকার পঞ্চম দিনটি হলো ১১ ই ফেব্রুয়ারি, প্রতিশ্রুতি দিবস (প্রমিস ডে)। প্রিয়জনকে আমরা অনেক কথাই দিয়ে থাকি, কিন্তু তার প্রতিশ্রুতিমত সবই রাখা হয়ে উঠে না, অনেক সময় মনেই থাকে না। তাহলে একবার ভাবুন তো, আপনার কাছের মানুষটির কাছে আপনার মূল্য দিন দিন কমে যাচ্ছে না তো? সম্পর্কের এই দিকটির বিবেচনা করেই প্রমিস ডে। এই দিনটি কেন এত গুরুত্বপূর্ণ? স্বাভাবিকভাবেই কাছের মানুষটি আমৃত্যু একটি প্রতিশ্রুতি চায়, তা হল যেকোনো পরিস্থিতিতে আপনার সহায়তা। নির্দিষ্ট এই দিনটিতে আপনি এই প্রতিশ্রুতিটি করতে পারেন যা আপনাদের সম্পর্কের প্রতিশ্রুতি বজায় রাখতে পারে।


ভালোবাসার মূল ভিত্তি গড়ে ওঠে বিশ্বাস আর শ্রদ্ধার মাধ্যমে। তবে সব ভালোবাসায় একটি বিশেষ জিনিসের প্রয়োজন হয়, আর তা হচ্ছে প্রিয়জনের কাছে প্রতিশ্রুতি। সম্পর্ক এগোয় প্রতিশ্রুতি নিয়ে, যে ভালোবাসায় প্রতিশ্রুতি নেই তার ভিত্তি গড়ে ওঠে না। তাই ভালোবাসা সপ্তাহের গুরুত্বপূর্ণ দিবস হলো ১১ ফেব্রুয়ারি ‘প্রতিশ্রুতি দিবস’।


ভালোবাসা মানে একে অন্যের সুখে-দুঃখে পাশে থাকার অঙ্গীকার। প্রতি বছর সারা বিশ্বব্যাপী এ দিবসটি পালন করা হয় প্রতিশ্রুতি দিবস হিসেবে।


প্রিয় মানুষটির কাছে সারাজীবনের প্রতিশ্রুতি নিয়েই সম্পর্ক এগিয়ে নেবার নামই ভালোবাসা। তাই এ দিনটি আপনি আপনার প্রিয় মানুষটির কাছে প্রতিশ্রুতি করতে পারেন সেসব কথা যেগুলো পালন করতে আপনি সবসময় চেষ্টা করবেন।


কবিতার আসর কাব্যমেলা ব্লগের সাথে যুক্ত সকল কবি, সাহিত্যিক, লেখক-লেখিকাগণকে জানাই পবিত্রতম প্রতিশ্রুতি দিবস (প্রমিস ডে)-এর আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা আর অভিনন্দন। বাংলা কবিতার জয় হোক, বাংলার কবিগণের জয় হোক, বাংলা কবিতা আসরের জয় হোক। সাথে থাকুন, পাশে রাখুন। সকলের পাশে দাঁড়ান। জয়গুরু! জয়গুরু! জয়গুরু!


প্রতিশ্রুতি দিবস (হ্যাপি প্রমিস ডে)


                       লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


প্রতিশ্রুতি দিবসের বার্তা লিখি ভাই,
পবিত্র দিবসে তাই শুভেচ্ছা জানাই।
কবিতায় লিখে কবি করয়ে মিনতি,
প্রিয়জনে আজি তব দাও প্রতিশ্রুতি।


হৃদয়ের গাঁথা মালা দিয়েছো যাহারে,
প্রিয় তব আপনার বুঝে নিও তারে।
প্রতিশ্রুতি দাও নিজ সাধ্য অনুসার,
দিনে দিনে বাড়ে প্রেম হৃদয় মাঝার।


“প্রমিস দিবস” আজি করহ পালন,
প্রিয়জনে দাও কিনে যাহা প্রয়োজন।
গোলাপের ভালবাসা প্রতিশ্রুতি দেয়,
কার সাধ্য ভালবাসা তার কেড়ে নেয়?


প্রমিস দিবস বার্তা হল সমাপন,
কবিতায় লিখে কবি শ্রীমান লক্ষ্মণ।


———):-~-:(———-


ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহের ষষ্ঠ দিবস


পবিত্র চুম্বন দিবস (হ্যাপি কিস ডে)


১২ই ফেব্রুয়ারি : ২০১৯


প্রাচীনকাল থেকে ভালোবাসার গভীরতা, অন্তরঙ্গতা আমরা চুম্বনের মাধ্যমে প্রকাশ করে থাকি। হতে পারে তা আপনার সন্তানের, মায়ের অথবা প্রিয়জনের। ভালেন্টাইন’স ডে পঞ্জিকার ষষ্ঠ দিনটি কিস ডে হিসেবেই পালিত হয়ে আসছে। কিস ডে সর্বপ্রথম ইংল্যান্ডে পালিত হয়। সাংস্কৃতিক কারণে আমাদের দেশে এই দিবসটি তেমন জনপ্রিয় না হলেও পাশ্চাত্যে এর ভিন্ন তাত্পর্য রয়েছে। ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলোতে কিস ডের একটি জনপ্রিয় আয়োজন হলো ‘চুম্বন প্রতিযোগিতা’, যেখানে প্রতিযোগীদের দীর্ঘ সময় ধরে চুম্বনে আবদ্ধ থাকতে হয়। সেই জুটিই বিজয়ী হবে, যারা সবচেয়ে বেশি সময় ধরে চুম্বনে আবদ্ধ হয়। গত বছর থাইল্যান্ডের এক জুটি টানা ৫৯ ঘণ্টা পেরিয়ে চুম্বন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়।


গতকাল ছিল চুম্বন দিবস (হ্যাপি কিস ডে)। এবার তাহলে একটু অভিনব হন। বেছে নিন আপনার পছন্দের কিস। পার্টনারকে দিন সারপ্রাইজ কিস আর উভয়ের ভালবাসার নিবিড় বন্ধনে শুরু হোক দিনটি।


কিস-এর প্রকারভেদ। 1. এসকিমো কিস, 2. ফ্রেঞ্চ কিস, 3. সিঙ্গল লিপ কিস, 4. ইয়ারলোব কিস, 5. বাটার ফ্লাই কিস, 6. স্পাইডারম্যান কিস, 7. লঁজারি কিস, 8. লিজার্ড কিস, 9. ভ্যাম্পায়ার কিস ও 10. এঞ্জেল কিস


এসকিমো কিস:
কিস করার সময় যদি পরস্পরের যখন নাক ঘষাঘষি হয়। এই কিস খুবই স্নেহপ্রবণ।


ফ্রেঞ্চ কিস:
প্যাশন ও রোমান্স বোঝানোর জন্য সবচেয়ে ভাল ফ্রেঞ্চ কিস। এই কিসে জিভের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।


সিঙ্গল লিপ কিস:
এই কিসে একটা ঠোঁটের উপর একটা রেখে স্যান্ডউইচ করা হয়।


ইয়ারলোব কিস:
কান বা ইয়ারলোবে কিস। এই কিস সবচেয়ে রোম্যান্টিক ও অন্তরঙ্গ।


বাটারফ্লাই কিস:
চুমুর সময় খুব কাছাকাছি চলে এলে পরস্পরের চোখের পাতা একে অপরকে ছুঁয়ে থাকে। একে বলা হয় বাটারফ্লাই কিস। এমন চুমু খেয়ে সঙ্গীকে মোহাচ্ছন্ন করে দিতে পারেন।


স্পাইডার ম্যান কিস:
স্পাইডার ম্যান ছবি দেখেছেন? ঠিক ধরেছেন। দুই সঙ্গীর মধ্যে একজন আপসাইড ডাউন থাকলে তাকে বলা স্পাইডার ম্যান কিস।


লঁজারি কিস:
অনেক ক্ষণ ধরে গভীর ভাবে লিপ টু লিপ কিসকে বলা হয় লঁজারি কিস।


লিজার্ড কিস:
হট কিস বলতে যা বোঝায় তা হল লিজার্ড কিস। পরস্পরের জিভের স্ট্রোকে এই কিস হয়ে ওঠে উপভোগ্য।


ভ্যাম্পায়ার কিস:
গলায় গভীর চুমু। সঙ্গে কামড়। অত্যন্ত অন্তরঙ্গ মুহূর্তের জন্য তোলা থাক ভ্যাম্পায়ার কিস।


এঞ্জেল কিস:
এই চুমুর অভিব্যক্তিতে গভীর ভালবাসা ও স্নেহ জড়িয়ে রয়েছে। চোখের পাতায় আলতো চুমু।
                                                  সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।


কবিতার আসর কাব্যমেলা ব্লগের সাথে যুক্ত সকল কবি, সাহিত্যিক, লেখক-লেখিকাগণকে জানাই বিগত পবিত্রতম চুম্বন দিবস (হ্যাপি কিস ডে)-এর আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা আর অভিনন্দন।  বাংলা কবিতার জয় হোক, বাংলার কবিগণের জয় হোক, বাংলা কবিতা আসরের জয় হোক। সাথে থাকুন, পাশে রাখুন। সকলের পাশে দাঁড়ান। জয়গুরু! জয়গুরু! জয়গুরু!


চুম্বন দিবস (হ্যাপি কিস ডে)


              লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


চুম্বন দিবসে জানি কিস দিতে হয়,
কিস দিলে জাগে প্রেম কহিনু নিশ্চয়।
চুম্বন দিবসে তাই আজিকার দিনে,
প্রিয়া নাহি খুশি হয় চুম্বন বিহনে।


চুম্বন মহিমা তত্ব করিব বর্ণন,
সেই জানে পেয়েছে যে প্রিয়ার চুম্বন।
সবাকার রুচিভেদ বিবিধ প্রকার,
চুম্বন চুম্বক সম কহিলাম সার।


ট্রামে ট্রেনে বাসে কারে অথবা মেট্রোয়
সকলেই করে কিস দেখে লাগে ভয়।
বলিহারী এই দেশ! কি কহিব কথা?
পাশ্চাত্য অনুকরণ এদেশে সর্বথা।


তরুণ তরুণী যুবা, সবে কিস খায়,
লক্ষ্মণ লজ্জায় লিখে তার কবিতায়।


———):-~-:(———-


ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহের সপ্তম দিবস
পবিত্র আলিঙ্গন দিবস (হ্যাপি হাগ ডে)
১৩ই ফেব্রুয়ারি : ২০১৯


প্রিয় মানুষটির সঙ্গ আমরা কে না চাই? শৈশবে মা-বাবার আদর থেকে শুরু করে, বন্ধুর হাত ধরে বন্ধুত্ব এবং সবশেষে জীবন সঙ্গীটির হাত ধরা। আচ্ছা, যখন আমাদের মন খারাপ করে, কারো সঙ্গ পেতে ইচ্ছা করে তখন নিশ্চয়ই আমরা চাই প্রিয় মানুষটিকে জড়িয়ে ধরতে, একাকীত্ব ভাগাভাগি করতে।


আপনার প্রিয় মানুষটির একাকীত্বটা সরিয়ে দিতে আপনি না হয় তাকে একটি আলিঙ্গন করলেন। অধিক ব্যস্ততায় মা-বাবাকে সময় দিতে পারছেন না, ফেব্রুয়ারির এই দিনটিতে শৈশবের স্মৃতিটা ফিরিয়ে আনুন আলিঙ্গনবদ্ধ হয়ে।


কবিতার আসর কাব্যমেলা ব্লগের সাথে যুক্ত সকল কবি, সাহিত্যিক, লেখক-লেখিকাগণকে জানাই বিগত পবিত্রতম আলিঙ্গন দিবস (হ্যাপি হাগ ডে)-এর আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা আর অভিনন্দন।


বাংলা কবিতার জয় হোক, বাংলার কবিগণের জয় হোক, বাংলা কবিতা আসরের জয় হোক। সাথে থাকুন, পাশে রাখুন। সকলের পাশে দাঁড়ান। জয়গুরু! জয়গুরু! জয়গুরু!


আলিঙ্গন দিবসের কবিতা


                 লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


আলিঙ্গন দিবসের কবিতা আমার,
হৃদয়ের ভালবাসা করে অঙ্গীকার,
পূণ্য শুভক্ষণে তাই কর আলিঙ্গন,
তরুণ তরুণী সাথে মধুর মিলন।


হৃদয়ের কথা বলে যুবক যুবতী,
একে আকর্ষিত হয় অপরের প্রতি।
ভালবাসা নাহি মানে কভুও বারণ,
উভয়েতে পরস্পর করে আলিঙ্গন।


ধন্য ধন্য বঙ্গদেশ! মহিমা অপার,
পাশ্চাত্য অনুকরণে এই অনাচার।
নির্লজ্জ বেহায়াপনা করে সতীনারী,
লজ্জাহীনা তরুণীর শিক্ষা বলিহারী।


আমার কলম কভু না শুনে বারণ,
কবিতায় মাগে কবি দেহ আলিঙ্গন।


———):-~-:(———-


ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহের শেষ দিবস
বিশ্ব ভালবাসা দিবস (হ্যাপি ভ্যালেন্টাইন­ ডে)
১৪ই ফেব্রুয়ারি : ২০১৯


রঙবাহারি ফুলে ভ্রমরের গুঞ্জন আর মাতাল হাওয়ার তোড়ে হৃদয়ে লাগা দোলায় বলছে বসন্ত এসেছে ধরণীতে। পলাশ ও শিমুলের ডালে লেগেছে ফাগুনের আগুন। বসন্ত কচিপাতায় আনে নতুন রঙ, আলোর নাচন। সাথে মানবমনেও নয় কী?


সবুজ পত্র-পল্লবের আবডালে লুকিয়ে তাই বসন্তের দূত কোকিল শোনায় মদির কুহুকুহু ডাক। আর ওই ডাকে ব্যাকুল হয় বিরহী মন।


ফুলেল বসন্ত কিংবা মধুময় বসন্ত- যে বিশেষণেই বসন্তকে চিত্রায়িত করা হোক না কেন, যৌবনের উদ্দামতায় মন-প্রাণ উজাড় করে দেয়ার আজ প্রথম দিন।


ফাগুনের মাতাল হাওয়া দোলা দিয়েছে বাংলার নিঃস্বর্গ প্রকৃতিতে। প্রকৃতি আজ দখিনা দুয়ার খুলে দিয়েছে। বইছে ফাগুনের হাওয়া। শীতের খোলসে নিজেকে আড়ষ্ট করে রাখা কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, ডালিয়া এখন অলৌকিক স্পর্শে জেগে উঠেছে।


বসন্তে কচি পাতায় আলোর নাচনের মতই বাঙালির মনেও দোলা লাগায়। একই সাথে বাসন্তি রঙের শাড়ি ও পাঞ্জাবি গায়ে জড়িয়ে আনন্দে মেতে ওঠার আবাহনও শোনা যায় পয়লা ফাল্গুনে। এ সময়েই শীতের জীর্ণতা সরিয়ে ফুলে ফুলে সেজে ওঠে প্রকৃতি।


গাছে গাছে নতুন পাতা, স্নিগ্ধ সবুজ কচি পাতার ধীর গতিতে বাতাসের সঙ্গে বয়ে চলা জানান দেয় নতুন কিছুর। শীতের খোলসে ঢুকে থাকা বন-বনানী অলৌকিক স্পর্শে জেগে উঠে। প্রকৃতিতে চলে মধুর বসন্তে সাজ সাজ রব। উৎসব-আয়োজনে বসন্তকে বরণ করে নিতে মুখিয়ে আছে সকলে।


আজ ফাগুন প্রভাতে, বসন্তের রং মখে, অরুণের কিরনচ্ছটায়, মধুকরের গুঞ্জনে, কোকিলের কুহুতানে হৃদয় পুলকিত হয়ে উঠে। আসুন, আমরা সকলেই কন্ঠে কন্ঠে মধুর সুরে গেয়ে উঠি ফাগুনের গান।


বিশ্ব ভালবাসার দিবসে বাংলা কবিতার আসরের জয় হোক, কবিতার জয় হোক, বাংলার কবিদের জয় হোক। সাথে থাকুন, পাশে রাখুন। সকলের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন।


বিশ্ব ভালবাসা দিবসে মানুষের মাঝে রোপিত হোক ভালবাসার বীজ। মানুষকে ভালবাসতে শিখুন, তাদের সুখে দুঃখে পাশে দাঁড়ান। সহানুভুতির পরশ মাখা হাত এগিয়ে দিন।
জয়গুরু!জয়গুরু!জয়গুরু!


বিশ্ব ভালবাসা দিবসে
         ফাগুনের গান
                    লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


এসেছে ফাগুন               ধরেছে আগুন
            আমার হৃদয় মাঝে,
প্রকৃতি আজিকে             নব রং মেখে
            সাজে অপরূপ সাজে।


অরুণ তপন                   রাঙায় ভুবন
           ফুল ফুটে গাছে গাছে,
মাঝি খেয়া বায়              তরণী ভিড়ায়
             নদীর ঘাটের কাছে।


তরুর শাখায়                 বসি পাখি গায়
            ফুলবনে ফুটে ফুল,
আসি অলিগণ                করে গুঞ্জরণ
            ধরেছে আম্র মুকুল।


বসন্ত প্রভাতে                শুনি কান পেতে
             কোকিলের কুহুতান,
বসন্ত এসেছে                কমল ফুটেছে
              শুনি ফাগুনের গান।


পলাশের শাখে                 শালিকেরা ডাকে
              রং লাগে দেহ মনে,
বসন্ত এলো রে                 এ ধরার পরে
               পলাশের বনে বনে।


যেদিকে তাকাই               দেখিবারে পাই
               নব নব কিশলয়,
ফাগুনের গানে                সাগরের পানে
               কল কল নদী বয়।


———):-~-:(———-


বিশ্ব ভালবাসা দিবসে আরও জেনে রাখুন।


দুনিয়াজুড়ে ভালবাসা দিবস উদ্‌যাপন করা হয় ১৪ ফেব্রুয়ারি।  তবে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রতি মাসেই ভালোবাসা দিবস পালন করা হয়। সে দিনটি মাসের ১৪ তারিখই।


প্রতি মাসের এই বিশেষ দিনটির আলাদা আলাদা নামও রয়েছে। ভিন্ন নামে পরিচিত হলেও বিষয়টা হচ্ছে ভালোবাসা প্রকাশ। যেমন ১৪ জানুয়ারি দিনটি ‘ডায়েরি দিবস’। কাউকে প্রেমের প্রস্তাব দিতে পারছেন না, এদিন পছন্দের মানুষকে শূন্য ডায়েরি উপহার দিলেই হলো! ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। কোরিয়াতেও তা-ই। এই দিনে কোরীয় নারীরা প্রেমিকের হাতে চকলেট বা গোলাপ তুলে দিয়ে ভালোবাসা প্রকাশ করেন।


১৪ মার্চ দক্ষিণ কোরিয়ায় ‘হোয়াইট ডে’। পুরুষদের ক্ষেত্রে প্রেমিকাকে চমকে দেওয়ার দিন এটি। তাঁরা সঙ্গীর জন্য দামি উপহার নিয়ে হাজির হন। আবার ১৪ এপ্রিল কোরীয়দের কাছে ‘ব্ল্যাক ডে’। আক্ষরিক অর্থে দিনটি কিন্তু কালো নয়! ব্যাপারটা হলো, এদিনে পছন্দের মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা হয় কালো পোশাক পরে। তারপর ঐতিহ্যবাহী খাবার খান তাঁরা। ‘ইয়েলো ডে’ পালন করা হয় ১৪ মে। কোরিয়ার ছেলেরা ভালোবাসা প্রকাশের জন্য এদিনে পছন্দের মানুষকে হলুদ গোলাপ উপহার দেন। তবে অন্য রঙের গোলাপ দেওয়ার চলও আছে।


জুন মাসের ১৪ তারিখ দিনটি কোরীয়দের কাছে ‘চুম্বন দিবস’। প্রেমিক-প্রেমিকারা পরস্পরকে গভীরভাবে জানেন দিনটিতে। ১৪ জুলাই প্রেমিক-প্রেমিকা আংটি বিনিময় করেন। আনুষ্ঠানিকভাবে দিনটিকে বলা হয়—‘সিলভার ডে’।
১৪ আগস্ট দিনটি কোরিয়ার প্রেমিক-প্রেমিকাদের কাছে সবুজ দিন। একসঙ্গে রাস্তায় হাঁটেন তাঁরা।


১৪ সেপ্টেম্বর প্রেমিক-প্রেমিকারা বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ঘুরতে যান এবং ছবি তোলেন, যা স্মৃতি হিসেবে রেখে দেন ভবিষ্যতের জন্য। ১৪ অক্টোবর প্রেমিকারা প্রেমিকের সামনে হার না–মানার সংকল্প নিয়ে বিয়ার পান করেন। ১৪ নভেম্বর পালিত হয় সিনেমা দিবস হিসেবে।  সবশেষে ১৪ ডিসেম্বর হলো ‘আলিঙ্গন দিবস’।  বছরটা ভালোয়-ভালোয় শেষ করার প্রত্যয়ে দিনটি উদ্‌যাপন করেন দক্ষিণ কোরিয়ার লোকেরা।


ভালবাসার সাথে সবাইকে ভালবাসা দিয়ে সকলেই ভাল থাকুন, প্রত্যাশা রাখি। সাথে থাকুন, পাশে রাখুন। বাংলা কবিতা আসরের সকলকে বিশ্ব ভালবাসা দিবসের শুভেচ্ছা জানাই।  
জয়গুরু! জয়গুরু! জয়গুরু!