গুরুর মাধ্যমে ভগবানকে লাভ করতে হয়।গুরু ভগবানের প্রতিনিধি। ভগবান কি বলেছেন,শাস্ত্রে কোথায় কি আছে, তা হাতে ধরে শিষ্যকে শিখিয়ে দেওয়াই গুরুর কাজ।


ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র একজন সমাজ সংস্কারও, সমাজের বিভিন্ন কুসংস্কার দূর করার জন্যও তিনি বিভিন্ন বাণী দিয়েছেন।বর্তমানে বিভিন্ন গুরু বা তাদের শিষ্যের প্ররোচনায় নিজেকে কৃষ্ণ দাবি করেন,অথবা শিষ্যরাই তাদের গুরুকে ভগবান বানিয়ে দেন।সেই গুরুকে ভগবান বানিয়ে তার নাম প্রচার করেন, তার নামে মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন।তাই এই কুসংস্কার দূর হওয়ার জন্য ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র বলেছেন,
” গুরু ছেড়ে গোবিন্দ ভজে,সে পাপী নরকে মজে।গুরু কৃষ্ণ অভেদ হয় শাস্ত্রের প্রমাণে।এই বাণীর দোহাই নিয়ে অনেক ব্যাভিচার, নিজ স্বার্থ উদ্ধার করছে। ( ইসলাম প্রসঙ্গে, পৃষ্ঠা -১৯৩)


ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রও একজন সদগুরু। সদগুরুরা সব সময় ভগবানের কথাই বলেন।কারন ভগবানকে না পেলে কোন দিন মুক্তি লাভ হয় না।সদগুরুরা ভগবানের পরম ভক্ত হয়, তাই তারা শিষ্যকে সব সময় ভগবানের পথে নিয়ে যান। আর ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র এতই উদার, তিনি কখনোই বলেননি যে শুধু আমার কাছ থেকেই দীক্ষা নিতে হবে। তিনি বলেছেন, যেখান থেকেই নেও সদগুরুর কাছ থেকে নিও।


১ / ভগবানকে পেতে গেলে সদগুরুর শরণাপন্ন হতে হয়। ( আলোচনা প্রসঙ্গে – ২১)
২ / প্রশ্ন: আমি কোথায় দীক্ষা নেব?
শ্রী শ্রী ঠাকুর : যেখান থেকে নেও, সদগুরুর কাছে থেকে নিও। ( আলোচনা প্রসঙ্গে -২২, পৃ.৩২০)
৩/ যা! তোর ভয় কিসের? তুই নাম নিয়েছিস তোর গুরু আছে,ভগবান আছেন,তুই সেই পথে চলবি।ভগবানকে ভালবাসবি,ভগবান কাউকে ছাড়েন না।তোরাও তেমনি কাউকে ফেলবি না,কাউকে ছাড়বি না।সকলকেই ভালবাসবি,তাদের সেবা করবি।খুব করে নাম করবি,স্ফূর্তিতে কাম করবি। ( আলোচনা প্রসঙ্গে, ৬)



আমার প্রাণের ঠাকুর গীতিকবিতা-৫
-লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


আমার প্রাণের ঠাকুর আমার দেবতা,
যুগের ঠাকুর তুমি অখিলের ত্রাতা।
প্রাণের ঠাকুর তুমি প্রভু গো আমার,
প্রণাম জানাই আমি চরণে তোমার।


পিতা শিবচন্দ্র তিনি জনক তোমার,
জননী মনোমোহিনী পূজ‍্য সবাকার।
প্রাণের ঠাকুর তুমি প্রভু গো আমার,
প্রণাম জানাই আমি চরণে তোমার।


তুমি রাম তুমি কৃষ্ণ তুমি দয়াময়,
তুমি সৃষ্টি তুমি স্থিতি তুমিই প্রলয়।
প্রাণের ঠাকুর তুমি প্রভু গো আমার,
প্রণাম জানাই আমি চরণে তোমার।


সবার দেবতা তুমি জগতের সার,
আরাধ্য দেবতা মোর পূজ‍্য সবাকার।
প্রাণের ঠাকুর তুমি প্রভু গো আমার,
প্রণাম জানাই আমি চরণে তোমার।