ভারতের বঙ্গ প্রদেশের পাবনা জেলার হিমায়তপুরে জন্মগ্রহণ করেন, যা বর্তমানে বাংলাদেশের অন্তর্গত। ঝাড়খণ্ডের দেওঘরে দেহত্যাগ করেন।


অনুকূলচন্দ্রের পিতা শিবচন্দ্র ছিলেন নিষ্ঠাবান ব্রাক্ষ্মণ। তার জননী মনোমোহিনী দেবী ছিলেন একজন সতীসাধ্বী রমনী। তিনি উত্তর ভারতের যোগীপুরুষ শ্রী শ্রী হুজুর মহারাজের শিষ্য। ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র মায়ের কাছেই দীক্ষা গ্রহণ করেন।


ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র হিন্দুধর্ম তথা হিন্দু সমাজের একজন মহাপুরুষ, বিশ্ব মানবতাবাদী এবং পরম কৃষ্ণ ভক্ত।


আনুমানিক তার ১০০ টির মত গ্রন্থ রয়েছে। যে গুলো ৮০ ভাগই নীতিশিক্ষা। কি ভাবে মানুষ ভাল থাকবে, সুস্থ থাকবে, শান্তিপূর্ণ ভাবে সবাই মিলে মিশে থাকবে, সেই শিক্ষাই দেওয়া হয়েছে।


পৃথিবীতে বহু মানবতাবাদী রয়েছে, তবে তার মত শ্রেষ্ঠ আর কেউ নেই,তিনি সকল মানুষকে নিয়েই ভাবতেন, সকল মানুষেরই পাশে দাড়াতেন।


কৃষ্ণ ভক্তি
—————–
## ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র সব সময় চাইতেন, আমার অনুসরণকারীরা সব সময় কৃষ্ণ ভক্তির পথে থাকুক। কারন ভগবানের উপাসনা ছাড়া মুক্তি লাভের কোন উপায় নেই।


১/ কৃষ্ণ ভিন্ন উপাই নাই আর সংসারে ( পুন্যপুথি,১০/৮৫)
২/ ভগবান ব্যতিরেকে উপাস্য নাই।ঋষিগণ তাহারই বার্ত্তিক। ( আলোচনা প্রসঙ্গে, ৬)
৩/ তোদের লক্ষ্য ভগবান। (পুন্যপুথি, ১১/৩২)
ভগবানে মন স্থির
—————————–
## মনকে স্থির রাখার উপায় কি? কি ভাবে ভগবানের পথে একাগ্রতা আসবে, এ বিষয়ে ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র বলেছেন,


১/ বাসুদেবই ( কৃষ্ণ) সব হলে একাগ্রতা সহজ হয়।( আলোচনা প্রসঙ্গে, ২১)
২/ সমস্ত গীতার মধ্যে ঘুরে ফিরে ঐ ইষ্ট প্রাণ হওয়ার কথা, ঐ কৃষ্ণ প্রাণ হওয়ার কথা,সমস্ত মহাপুরুষদের কথাই ঐ,শিক্ষাই ঐ, কাজই ঐ।ঐ টুকুর অভাবেই তো জন্ম জন্মান্তরে কত কষ্ট। ভগবানকে যে বুকে বয়ে নিয়ে বেড়ায় তার আবার পরোয়া কি? ( আলোচনা প্রসঙ্গে /৬)
৩/ ভগবানকে জানা মানেই সমস্তটাকে বুঝা বা জানা। (আলোচনা প্রসঙ্গে)
৪/ বসুদেবের ছেলে শ্রীকৃষ্ণ,রক্ত মাংস সঙ্কুল এই প্রতীকই যা কিছু সব, এই বোধই চরম বোধ।( আলোচনা প্রসঙ্গে, ২য় খন্ড, ২০/১২/৪১)


আমার প্রাণের ঠাকুর
গীতিকবিতা-২


যুগে যুগে তুমি এসেছো হে প্রভু
ওগো পতিত পাবন হরি,


পেয়ে তব নাম ধন্য হলাম আমি
ভাসালাম এ জীবন তরী।


তব নাম স্মরণে, তব নাম মননে
খুশির জোয়ার আসে হৃদয়কাননে।


এসো গো প্রভু হৃদয়ের দেবতা
তব নাম নিশিদিন গাইব আমি।


ওগো প্রভু জীবন স্বামী,
হে মোর জীবন স্বামী।


তোমার নামে তোমার গানে এই
জীবনের তরী চলে বয়ে,


অযুত ভক্ত কাটায় সুখে জীবন
তব সৎ নামে দীক্ষা লয়ে।


তব নাম স্মরণে, তব নাম মননে
খুশির জোয়ার আসে হৃদয়কাননে।


এসো গো প্রভু হৃদয়ের দেবতা
তব নাম নিশিদিন গাইব আমি।


ওগো প্রভু জীবন স্বামী,
হে মোর জীবন স্বামী।


জীবন আঁধারে জ্বালালে প্রদীপ
ওগো প্রভু জীবন স্বামী,


অজ্ঞান নাশি জ্ঞানের আলোক
দিলে প্রভু তুমি অন্তর্যামী।


তব নাম স্মরণে, তব নাম মননে
খুশির জোয়ার আসে হৃদয়কাননে।


এসো গো প্রভু হৃদয়ের দেবতা
তব নাম নিশিদিন গাইব আমি।


ওগো প্রভু জীবন স্বামী,
হে মোর জীবন স্বামী।


যুগে যুগে তুমি এসেছো হে প্রভু
ওগো পতিত পাবন হরি,


পেয়ে তব নাম ধন্য হলাম আমি
ভাসালাম এ জীবন তরী।