আঁধার নামে অজয়ের চরে
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
মোদের গাঁয়ের কাছে ছোট এক নদী আছে
নদীঘাটে আছে বটগাছ,
অজয়ের নদীবাঁকে আসে বক ঝাঁকে ঝাঁকে
চরে বসে ধরে ছোটমাছ।
পূবদিকে রবি উঠে বনে বনে ফুল ফুটে
কুঞ্জেকুঞ্জে পাখি গীত গায়,
আমাদের ছোট গ্রাম পাশ দিয়ে অবিরাম
অজয়ের ধারা বয়ে যায়।
পথের পথিক যত পথে চলে অবিরত
রাঙাপথে পার হয় গাড়ি,
বাগানে আমের শাখে বসন্তে কোকিল ডাকে
দূরে হেরি তাল ও সুপারি।
লাল চেলি শাড়ি পরা আসে গাঁয়ের বধূরা
কলসী কাঁখে অজয়ের ঘাটে,
শেষ খেয়া বায় মাঝি তরী আনে ঘাটে আজি
পশ্চিমেতে সূর্য বসে পাটে।
এ গাঁয়ের মাঝিভাই সারাদিন খেয়া বায়
সন্ধ্যাবেলা ফিরে আসে ঘরে,
সূর্য যেই ডুবে যায় ক্রমে আঁধার ঘনায়
আঁধার নামে অজয়ের চরে।