অভিশপ্ত রেলপথ
               -লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


#অমৃতসর:  দশহরার রাতেই অমৃতসরের জোড়া ফটকের কাছে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় শিউরে উঠেছে গোটা দেশ । রেললাইনের কাছেই রাবণ নিধন দেখতে এসে ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ হারিয়েছেন প্রচুর মানুষ । মৃতদের মধ্যে রয়েছেন দলবীর সিং, যিনি এই রামলীলায় রাবণের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন । দলবীরের মা নিউজ ১৮ কে জানিয়েছিলেন রামলীলাতে নিয়মিত অংশগ্রহণ করতেন দলবীর কিন্তু এবারেই প্রথম রাবণের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন । অভিনয় দেখার জন্য চেনা পরিচিতদের নিমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ।    
                                                                                  তথ্যসুত্র: নিউজ বাংলা


হিন্দু মহাকাব্য রামায়ণে কথিত আছে, দশেরার দিনই যুদ্ধ শেষে রাবণ বধ করেছিলেন রাম। সেই উপলক্ষ্যেই এদিন সারা ভারতেই রাবণের ছবি পোড়ানো হচ্ছে। অমৃতসরের ঝোড়া পাঠক এলাকায় রেল লাইনের ধারেও চলছিল রাবণ পোড়ানোর অনুষ্ঠান। লাইনের ওপর দাঁড়িয়েই সেই অনুষ্ঠান দেখছিলেন কয়েক শতাধিক স্থানীয় বাসিন্দা। আর সে সময়ই আপ ও ডাউন রেল লাইনের ওপর দিয়ে দুরন্ত গতিতে ছুটে যায় হাওড়া-অমৃতসর এক্সপ্রেস ও অমৃতসর-জলন্ধর ডিজেল মাল্টিপল ইউনিট (ডিএমইউ) ট্রেন। সাথে সাথেই ঘটে যায় বড়সড় দুর্ঘটনা। কেউ চলন্ত ট্রেনের তলায় কাটা পড়ে কেউ বা ট্রেনের ধাক্কায় প্রায় ৫০-১০০ মিটার দূরে গিয়ে ছিটকে পড়ে।


ভারতে রাবণ দহন দেখতে এসে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের অমৃতসরে এ ঘটনা ঘটে। তবে মৃতের সঠিক সংখ্যা এখনও জানা যায়নি।
এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও প্রায় অর্ধশতাধিক। হতাহতের মধ্যে অনেক কিশোরও রয়েছেন। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা সঙ্কটপূর্ণ। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
                                                                                তথ্যসুত্র: বিডি প্রতিদিন


কবিতা প্রসঙ্গে:
গতকাল ছিল বিজয়া দশমী। এই বিজয়া দশমীর দিনে রাবণকে দহন করা হয়। গতকাল অমৃতসরে রাবণ দহনকালে সহসা হাওড়া-অমৃতসর এক্সপ্রেস ও অমৃতসর-জলন্ধর ডিজেল মাল্টিপল ইউনিট (ডিএমইউ) ট্রেন শতাধিক ব্যক্তিকে নৃশংসভাবে হত্যা করে।


ঠিক ঐ সময়েই আপ ও ডাউন রেল লাইনের ওপর দিয়ে দুরন্ত গতিতে ছুটে যায় হাওড়া-অমৃতসর এক্সপ্রেস ও অমৃতসর-জলন্ধর ডিজেল মাল্টিপল ইউনিট (ডিএমইউ) ট্রেন।  সাথে সাথেই ঘটে যায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।  কেউ চলন্ত ট্রেনের তলায় কাটা পড়ে কেউ বা ট্রেনের ধাক্কায় প্রায় ৫০-১০০ মিটার দূরে গিয়ে ছিটকে পড়ে।  


হায়রে বসুন্ধরা! এই বসুধায় প্রতি পদে পদে হত্যার লীলাভূমি রচিত হয়। রক্তমূল্য দিয়ে যারা প্রাণ দিল রেললাইনে, তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গকে সমবেদনা জানাই।


কবিতাটি পাঠে সকলের মনে একটুখানি করুণার উদ্রেক হলে আমার কবিতা লেখা সার্থক হবে।  
পাশে থাকুন, সাথে রাখুন। জয়গুরু! জয়গুরু! জয়গুরু!



অভিশপ্ত রেলপথ
               -লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


আনন্দে দেখিছে সবে জ্বলিছে রাবণ,
মন্ত্রীপত্নী আসি মঞ্চে দিতেছে ভাষণ।
জন সমারোহ হেরি বিশাল প্রান্তরে,
পুড়িছে আতসবাজি মহা শব্দ করে।


সম্মুখেতে রেলপথ ভাবিয়া না পায়,
দেখিবারে রাবণেরে লাইনে দাঁড়ায়।
সহসা আসিল রেল কাটিল সবারে,
রক্তবন্যা বহে কত লাইনের ধারে।


শতাধিক নিল প্রাণ ভুলিব কেমনে
আনন্দের অশ্রু বহে সবার নয়নে।
সকলেই দেখে যবে পুড়িছে রাবণ,
হায় হায় বলি সবে করিছে ক্রন্দন।


মহানন্দ নিরানন্দ কর কি কারণ?
রাবণ দহন কাব্যে লিখিল লক্ষ্মণ।