বসন্ত আসিল আজি .....নবরূপে রূপে সাজি
বসন্তের হৃদয় রাঙা কবিতা (নবমপর্ব)
কলমে-লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


[সোনালি রোদের ছোঁয়ায় মধুকর আজ জেগে উঠবে। মৌমাছিদের গুঞ্জরণ, মাতাল হাওয়া ছুঁয়ে যাবে তনুমন। বাসন্তী রঙের গাঁদা ফুলের রঙেই আজ সাজবে তরুণ-তরুণীরা। তরুণীরা পরবে বাসন্তী রঙের শাড়ি। খোঁপায় গুঁজবে ফুল আর হাতে পরবে কাঁচের চুড়ি। তরুণরাও বাসন্তী রঙের পাঞ্জাবি বা ফতুয়া পরে নামবে বাংলার পথে ঘাটে। শুধু শহরেই নয়, বাংলার গ্রামীণ জনপদেও আজ ঝিরি ঝিরি বাতাসে ধরা দেবে বসন্ত। বসন্ত এসে গেছে ]


বসন্তের আগমনে হাসিছে বসুধা,
ফুলে ফুলে ভ্ৰমে অলি পান করে সুধা।
গুঞ্জরিয়া মধুকর ভ্রমে ফুলে ফুলে,
মধু খেয়ে ক্লান্ত হয়ে ঘুমে পড়ে ঢুলে।


রাঙাপথে দুইধারে খেজুরের গাছে,
বাবুই পাখিরা বাসা বাঁধে আর নাচে।
দূরে আছে আম্রকুঞ্জ, বসি তরুশাখে,
কোকিলের গান শুনি কুহু কুহু ডাকে।


অজয়ের নদীঘাটে বেলা পড়ে আসে,
গগনেতে পাখা মেলে শঙ্খচিল ভাসে।
সাঁঝের আঁধার নামে অজয়ের চরে,
পূর্ণিমায় জোছনার হাসি পড়ে ঝরে।


বসন্তে দখিনা বায় ভরে উঠে মন,
বসন্তের কাব্য-গীতি লিখিল লক্ষ্মণ।