বসন্ত পঞ্চমী তিথি দেবী আরাধনা,
বিদ্যার আলয়ে হয় দেবীর বন্দনা।


বিদ্যা অধিষ্ঠাত্রী দেবী তুমি বীণাপানি,
শুভ্র বস্ত্রে সুসজ্জিতা, বিদ্যা-প্রদায়িণী।


তব করুণায় কবি হন কালিদাস,
লিখিলেন মহাকাব্য কবি বেদব্যাস।


রামায়ণ লিখিলেন হইয়া তস্কর,
রত্নাকর হইলেন রত্নের আকর।


শ্বেত আভরণা দেবী বীণাযন্ত্র হাতে,
হংস-বাহনা দেবী আসেন ধরাতে।


শঙ্খ, ঘণ্টা, ধুপ দীপ নানা উপচার,
দেবী গলে সুশোভিত শুভ্র পুষ্পহার।


আলপনা হয় আঁকা হেরি চারিভিতে
দেবী-স্তুতি পূজা-পাঠ হয় বিধিমতে।


রাখ শ্রী-চরণ মাগো মস্তক উপর।
দেহ জ্ঞান, বিদ্যা বুদ্ধি, মাগি এই বর,


পুষ্পাঞ্জলি শেষে হয় প্রসাদ বণ্টণ,
কবিতা লিখেন কবি শ্রীমান লক্ষ্মণ।