করোনার সংগ্রাম- সচেতনার হাতিয়ার।
সবাই করো সংগ্রাম........ চতুর্থ পর্ব
              কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত আজ সারা বিশ্ব। অসুস্থ পৃথিবীর অসহায় মানুষেরা আজ মৃত্যুর মুখে প্রহর গুনছে। মারণ সংগ্রামের প্রথম ও প্রধান হাতিয়ার জন সচেতনতা। ঘন ঘন স্যানিটাইজার ব্যবহার করা মানেই করোনা ভাইরাস থেকে নিজেকে দূরে রাখা। মুখে থাকুক মাস্ক। কয়েকটি সাধারণ অভ্যাস মেনে চললে এ থেকে বেঁচে থাকা খুবই সহজ হয়ে যায়–


- ঘন ঘন ভালো করে হাত ধোয়ার অভ্যাস করতে হবে।


- যদি সম্ভব হয়, প্রতি ২ ঘণ্টা পর পর হাত ধোয়া উচিত।


- ভালো করে বলতে অ্যালকোহল বেসড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুতে পারলে ভালো।


- না পারলে ভালো সাবান বা হ্যাণ্ডওয়াশ দিয়ে পরিষ্কার করা উচিৎ।


- অন্তত ২০ সেকেণ্ড প্রবাহমান জলের নিচে হাতের তালু, আঙুলের ফাঁকা জায়গা, নখ ভালো করে ঘষে কবজি পর্যন্ত হাত ধোয়া।


- বাইরে থেকে এসে এবং খাওয়ার আগে অবশ্যই ভালো করে হাত ধুতে হবে।


- বাইরে বের হওয়ার সময় মাস্ক ব্যবহার করা ভীষণ জরুরি।


- আর যাদের উপসর্গ দেখা দেবে, তাদের থেকেও নিরাপদ দূরত্ব রেখে চলতে হবে।


- হাঁচি দেওয়ার সময় অবশ্যই নাক-মুখ ঢেকে হাঁচি দিতে হবে।


- প্রয়োজনে টিস্যু দিয়ে ঢেকে সেই টিস্যু ফেলে দিতে হবে যাতে সে টিস্যু থেকেও আবার জীবাণু না ছড়ায়।


- আর হাতের কাছে টিস্যু বা রুমাল না থাকলে হাতের কনুই বাকা করে সে ভাঁজ দিয়ে নাক ঢেকে হাঁচি দিতে হবে।


- হাতের তালু ব্যবহার না করাই ভালো। হাতের তালু দিয়ে সব জায়গায় স্পর্শ করা হয়, এজন্য হাতের তালু নাক বা মুখের কাছে নিলে তা থেকেও বাইরে থেকে শ্বাসনালীতে জীবাণু ঢুকার সম্ভাবনা থেকে যায়।


-এই ভাইরাস রোদে বেশিক্ষণ থাকলে নিষ্ক্রিয় হয়ে যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে। এজন্য বাইরে থেকে এসে ব্যবহৃত পোশাক-পরিচ্ছদ ভালো করে রোদে বা উচ্চ তাপমাত্রায় শুকাতে হবে। ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের পাবলিক প্লেস এড়িয়ে চলতে হবে।


- জ্বর-কাশি-সর্দি থাকলে তাদের থেকে নিরাপদ থাকতে  (অন্তত 3 ফুট) দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। করমর্দন পরিহারযোগ্য।


দিকে দিকে লক-ডাউন। তাই বাইরে বেরোবেন না। ঘরের কোণে বন্দী থাকুন। নোভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে নিজে দূরে থাকুন। সবাইকে দূরে রাখুন। নিজে বাঁচুন, অপরকে বাঁচান। সু্স্থ থাকুন, অপরকে সুস্থ রাখুন। জয়গুরু! জয়গুরু! জয়গুরু!


সবাই করো সংগ্রাম........ চতুর্থ পর্ব
                কবি- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


করোনা, করোনা! নোভেল ভাইরাস করোনা!
চীন থেকে এলো তাই বলে মেড ইন চাইনা।
হয়ে গেছে লক-ডাউন, যেও নাকো বাইরে,
পথেঘাটে কোন মানুষের দেখা নাহি পাইরে।


সাবান দিয়ে হাতদুটি করে নাও পরিস্কার,
তাহলেই হবে জানি, করোনার বহিস্কার।
মাস্ক দিয়ে মুখ ঢাকো সংক্রমণ এড়াতে,
নিজেকে বাঁচতে আর অপরকে বাঁচাতে।


হাঁচি কাশি গলাব্যথা, আর সর্দি যদি হয়,
সংক্রমণের লক্ষণ সেটা জেনো সুনিশ্চয়।
কাছে যদি থাকে কোন চিকিত্সক ডাক্তার,
করিয়ে নাও চেকআপ রোগে পাবে নিস্তার।


দিকে দিকে দেয় হানা করোনার ভাইরাস,
চীন থেকে এলে ধেয়ে মানবেরে করে গ্রাস।
বাঁচার তরে মানুষ আজ করে চলে সংগ্রাম,
ভাইরাস ও মানুষে আজ সংগ্রাম অবিরাম।


কে হবে জয়ী আজি? সেটা বলা ভারি শক্ত,
ভেবে ভেবে মানুষের মাথায় উঠে যায় রক্ত।
চিকিত্সা বিজ্ঞান বলে নাহি ভয়, নাহি ভয়,
বিজ্ঞানের বলে মানবের হবে জয় সুনিশ্চয়।