দেবী মহাকালী আগমনী স্তুতি
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


দেবী আসছেন! বেজে ওঠে মহাশঙ্খ।
ঢাকের শব্দে, কাঁসরের ঝংকারে
আকাশ বাতাস প্রকম্পিত হয়।
চতুর্ভূজা মা কালী দেবীচণ্ডিকার আবির্ভাবে
তাঁর আগমনী বন্দনা গীতিতে
বিশ্ববাসীর কণ্ঠে ধ্বনিত হয়।


“কোথা তুমি শঙ্খ চক্র খড়্গ মহাস্ত্রধারিণী
কালী কপালিনী মা ছিন্নমস্তা!
তুমি ওঠো তুমি জাগো।
তুমি না জাগলে সন্তানকূল ঘুমিয়ে পড়বে।
সন্তানকে অভয় দাও মা আদ্যাশক্তি মহামায়া”।


তুমি শক্তি, তুমি ভক্তি!
তুমি কলাকাষ্ঠা, কালরূপে অবস্থিতা,
তোমার পূণ্য স্তবগাথায় দিকে দিকে
ধ্বনিত হোক মঙ্গলশঙ্খ, জ্বলে উঠুক
মঙ্গল দীপ, প্রজ্বলিত হুতাশনের
দেদীপ্যমান কিরণে ধরণীর কোণে কোণে
ঘনঘোর তমসা বিদুরিত হোক।
ধরণী হোক প্রাণময়ী। হে মা কল্যাণময়ী!
তোমার আগমনে সারা বিশ্বচরাচরে
বিশ্ববাসীর স্বীয় কল্যাণে বিশ্ববাসী
গেয়ে উঠুক–


তারা তুমি, তুমি মা কালী,
তুমি দুর্গা মহামায়া।
তুমি শক্তি, তুমি মা ভক্তি
তুমি কালরূপী ছায়া।


প্রণাম মন্ত্র:
কালী কালী মহাকালী কালিকে কালরাত্রিকে।
ধর্ম কাম প্রদে দেবী নারায়ণী নমোহস্তুতে।।


আর তো মাত্র দু দিন তারপর আসছেন মা রণচণ্ডী কালী কপালিনী মা ছিন্নমস্তা।  কবিতা আসরের ও সাহিত্য আসরের সকল কবি, লেখক, সাহিত্যিক, কাব্য-গীতিকার, চিত্রশিল্লী, আবৃত্তিকার ও সহৃদয় পাঠকবর্গকে জানাই শুভ দীপাবলীর আগাম শুভেচ্ছা। জয়গুরু!